বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বিবাহবহির্ভুত সেক্স ক্ষেত্র বিশেষ বৈধ আবার ক্ষেত্র বিশেষ অবৈধ। ৪৯৭ ধারায় বলা হয়েছে যে কোন বিবাহিত ব্যক্তি যদি অন্য কোন বিবাহিত নারীর সাথে জেনেশুনে যৌন সম্পর্ক করে তাহলে তা ব্যভিচার বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে সেই পুরুষটির পাঁচ বছরের কারাদন্ড, অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান আছে।
তবে যে নারীর সাথে ব্যভিচার করা হয়েছে - তার ক্ষেত্রে আইনে কোন শাস্তির বিধান নেই।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০' এ বলা আছে-
"ষোল (১৬) বছরের কম বয়সী কারও সম্মতিক্রমে/অসম্মতিক্রমে যেকোনো ভাবেই তার সাথে দৈহিক মিলন করলেই তা দন্ডনীয় অপরাধ হবে এবং ধর্ষণকারী পুরুষ শাস্তি পাবে।
কিন্তু ষোল (১৬) বছরের অধিক বয়সী যদি কেউ সম্মতি দিয়ে 'বিনা বিবাহে' দৈহিক সম্পর্কে যায় সেক্ষেত্রে কিন্তু আইনগতভাবে কোন অপরাধ হচ্ছে না। অর্থাৎ বিবাহ বহির্ভুত সেক্স(প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ উভয়ের সম্মতি ক্রমে) বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বৈধ, সংবিধানের নারী ও শিশু দমন আইন ধারা 2000 অণুচ্ছেদ অনুযায়ী। আপনার প্রশ্নের যুক্তি অনুযায়ী, কেউ হোটেলে গিয়ে গোপনে দরজা বন্ধকরে সেক্স করার পরে ও পুলিশ সেটাকে কোন আইনে অপরাধ হিসাবে গন্য করে জেলে দেয় ? এখানে ব্যাখ্যা হচ্ছে, পুলিশ প্রশাসন তো জানে না যে ঐ মেয়েটি স্বেচ্ছায় সম্মতি দিয়ে সেক্স করছে নাকি প্রলোভন/ভয় ভীতি দেখিয়ে সেক্স করছে, সে কারণেই পুলিশ 'নারী ও শিশু নির্যাতন দমন' আইন ২০০০ এ অপরাধী সন্দেহ করে গ্রেফতার করতে পারে। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে পতিতাবৃত্তি স্বীকৃত হলেও নিয়ন্ত্রিত কিছু নীতিমালা আছে। প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ উভয়ের সম্মতিতে সেক্স করা কোনো অপরাধ না হলেও অনিবন্দিত হোটেলে যদি এটা করা হয় তখন তা অপরাধ। নারী পুরুষ উভয়ের সম্মতিতে বিবাহ বহিভূর্ত সেক্স হলেও পুলিশ গ্রেফতারের পর নারীপক্ষ অথবা নারীপক্ষের পরিবার যৌন কর্মের সেচ্ছা সম্মতি কে অস্বীকার করে তোলে আর পুলিশ এই সুযোগেই ধর্ষণের অভিযোগে এরূপ ঘটনাই উভয়কে গ্রেফতার করতে পারে। যদি পুলিশ গ্রেফতারের পরেও নারী নিজের সম্মতি বলে জবানবন্দি দেয় এবং নারীটি যদি অবিবাহিত হয় তাহলে পুলিশ ধর্ষণের মামলা দিতে পারবে না বা গ্রেফতার করতে পারবে না সেক্স করার জন্যে, তবে সরকারের অনুমোদিত স্থান (যেমন: পতিতালয়) ব্যতিত অননুমোদিত হোটেল ব্যবহার করার জন্যে মামলা দিতে পারে।