বর্তমানে রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস, রাজনৈতিক কার্যকলাপের উদ্দেশ্য ও গতিপ্রকৃতি, চাপ সৃষ্টিকারী গােষ্ঠীর ক্রিয়াকলাপ, ভােটদাতাদের নির্বাচনী আচরণ প্রভৃতি রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু মনােবিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর পক্ষে এগুলি সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যথেষ্ট কষ্টকর। এছাড়া, বর্তমানে সৈন্যবাহিনী গঠন, সরকারি কর্মচারী নিয়ােগ, বিচারপতিগণ কর্তৃক বিচারকার্য সম্পাদন, অপরাধের কারণ অন্বেষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও সরকারকে মনস্তত্ত্বের সাহায্য গ্রহণ করতে হয়। তাই বলা যায় মনােবিজ্ঞানের মধ্যেই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিকড় নিহিত রয়েছে।