নক্ষত্র বালিয়াড়ি কাকে বলে?

মরুভূমির বৃহৎ প্রস্তরখন্ড কে কেন্দ্র করে ঢিবির আকারে বালুকারাশি ক্রমাগত সঞ্চিত হয়। বালির এই সঞ্চিত ঢিপিকে বালিয়াড়ি বলে ।

বায়ুর গতি সমান্তরালে এবং বহুদূর বিস্তৃত দীর্ঘ বালিয়াড়িকে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বা সিফ বালিয়াড়ি বলে।

কোন কোন মরুভূমি অঞ্চলে প্রবল বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বালিয়াড়ি গুলিকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরে গিয়ে সঞ্চিত হতে দেখা যায়, এদের চলন্ত বা অস্থায়ী বালিয়াড়ি বলে।

অনেক সময় ঘূর্ণি বায়ুপ্রবাহের প্রভাবে মস্তকবালিয়াড়ির কিছুটা আগে অপর একপ্রকার বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় । একে অগ্রবর্তী বালিয়াড়ি(Advanced Dune)বলে ।...

পুচ্ছ বালিয়াড়ির পরবর্তী পর্যায়ে যে বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়, তাকে পরবর্তী বালিয়াড়ি (Wake Dune)বলে ।

প্রাথমিক ঢালের ঠিক বিপরীত দিকে সৃষ্ট অপ্রধান ঢালযুক্ত শৈলশিরার মতো আকৃতিবিশিষ্ট বালিয়াড়ি কে উল্টানো বালিয়াড়ি বলে।

অধিবৃত্তীয় বালিয়াড়ি প্রসারিত হতে হতে দীর্ঘ, সংকীর্ণ ও সমান্তরাল ঢালযুক্ত বালিয়াড়ি সৃষ্টি হলে, তাকে চুলের কাঁটার ন্যায় বালিয়াড়ি (Hairpin Dune) বলে ।

তিমি মাছের পৃষ্ঠদেশের মতো সমতল শিখরবিশিষ্ট বালিয়াড়িকে দ্রাস বালিয়াড়ি (Drush Dune) বা তিমিপৃষ্ঠ বালিয়াড়ি (Whaleback Dune) বলে ।

অনেকগুলি বার্খান বালিয়াড়ি পরস্পরযুক্ত হয়ে দীর্ঘ সাপের দেহের মতো আকৃতিতে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করলে, তাকে অ্যাকলি বালিয়াড়ি(Alkle Dune)বলে ।

তীব্র ঘূর্ণিবায়ুর আঘাতে পরপর অনেকগুলি বালিয়াড়ি ভেঙে গেলে বায়ুপ্রবাহের পথে বেশ সংকীর্ণ কিন্তু খুব লম্বা বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয় । এইপ্রকার দীর্ঘ অথচ সংকীর্ণ বালিয়াড়িকে সিফ বালিয়াড়ি (Seif Dunes) বলে...