Call

একবিংশ শতাব্দির চোখ ধাঁধানাে বিঘ্রান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি আমাদের আশ্চর্যান্বিত করেছে, কয়েকশো বছর পূর্বে যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি। ত এয়ার কন্ডিশন, গাড়ী, ফাইভ স্টার হােটেল, উন্নততর যােগাযােগ ব্যবস্থা যা পৃথিবীকে কে ছােটো করে দিয়েছে। এই বিজ্ঞানের উদ্দেশ হয় সমস্ত বিশ্বকে দুর্দশা মুক্ত করা বা, দুর্দশা কমিয়ে আনা এবং তার ফলে সাধারন মানুষ আরো সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে লাস করতে পারবে। সুতরাং আমাদের উচিত্র সবথেকে উন্নত দেশ-লিতে এই প্রযুক্তি কি করছে দেখা। লারা 'আমরা আশা করতেই পারি ভালবাসা, শান্তি ও সমৃদ্ধি নাগরিকদের মধ্যে থাকবে। যদিও বর্তমানে তার বিপরীত বৈশিষ্ট্যই দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের অর্থনীতির নিয়ন্ত্রনকারী দেশগুলি যেমন 'মেরিকা, জাপান যদিও ভারতের থেকে শতগুন বিজ্ঞান এ প্রযুক্তিতে উন্নত, তবুও আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে সেখানেই ধনী ও যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবনতা সবথেকে বেশী। লােকেরা কোনাে না কোনো ভাবে ঐ লেশগুলিতে এই অবস্থা প্রশমনের চেষ্টা করছে। সবসময়ই তারা উৎকন্ডিত, হতাশাগ্রস্থ এবং কিস্তি, দর্শনগতভাবে ব্রাহাজ চেতনা জীম খ আজকাল আমেরিকায়, শ্রমবিশ্বাহ বন্ধুর মাধ্য বিছেলের (ডাইভোর্স) হার ৭৫%। অধিক থেকে অধিকতর লােককে বিশেষ করে পাশ্চাত্য দেশের ষ্ট্রবিত্ত শ্রেণীর লােক ) রাত্রিতে ঘুমের বড়ি খেয়ে ঘুমাতে হয় শ্রার তারা নিয়মিত ঘনত্ববিদদের নিকট ছোটে। লােকেরা এত বেশী আতঙ্কিত, যে অতিথিদের বিভিন্নভাবেআড়ালে রাখতে চায় এবং সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ক্মবলম্বন করে। এই প্রকার অপসংস্কৃত্রি বর্তমানে ভারতের শহরগুলিতে দেখা যাচ্ছে। লােকগুলাে যেন রোবােটের ম নুভূতিহীন, যন্ত্রের মতো চালিত হচ্ছে। আবেগ বলে কোনােকিছু নেই। যদিও বা আছে ত্রাও মিথ্যা ভাবপ্রবণতা।  
যদি কেউ বাড়ীর বাইরে গিয়ে, নেশা, নারীসঙ্গ, জোচ্চুরি এড়িয়ে সফলতার সঙ্গে জীবিত অবস্থায় সন্ধ্যার পর পুনরায় বাড়ী ফিরে আসে। তাহলে বুঝতে হবে সে বিশেষ সৌভাগ্যবান।  
জাগ্রত চেতনা— কুত্তীয় খণ্ড অশকে দেখে হাসবে? তারা কি পরস্পরের মধ্যে ভালােবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলবে? একন বড়জোর আশা করতে পারে যে ঘটনাটা হবে এরকম--তায়া চিৎকার করবে, কামড়াকামড়ি করলে এবং একে অপরকে মেরে ফেলবে। ঠিক অনুরূপ ঘটনাই আজকালকার সমাজে দেখা যায়। যদি জ্ঞানই শক্তি হয় তাহলে আমাদের সেই জ্ঞানে কি মূল্য আছে যা বর্তমান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থ। বর্তমান দিনে সারা বিশ্ব যে সমস্যার সম্মুখীন, জাতে সৱৱ ৱালীতিবীদ, পুলিস, বিচার ব্যবস্থা প্রভৃতির প্রতি দােষারোপ করে লাঙ্গ নেই। আমরা ভেতর থেকেই উদ্বিগ্ন, তাই অন্যকেও উদগদিতে চাই। আমাদের মনের এই গতিপ্রকৃতির মূল্যায়ন করতে হবে এবং তখনই বােঝা সম্ভব হবে মনসংযমের কৌশল।  
 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ