সাহাবীঃ যে ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় রাসূলে করীম(সাঃ) কে একটুক্ষণের জন্যে হলেও দেখেছেন,অন্তত একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি সাহাবী। কথাগুলো মেশকাত শরীফের ভাষায় বলা যায়।

যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে –

ক। রাসূলুল্লাহ(সাঃ)-এর সাহচর্য লাভ করেছেন বা খ। তাকে দেখেছেন এবং তার একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন অথবা গ। তাকে একবার দেখেছেন এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করেছেন তাকে ‘সাহাবী’ বলে।

তাবেয়ীঃ যিনি বা যারা ঈমানের সাথে কোন সাহাবীর সাহচর্য লাভ করেছেন,তার নিকট থেকে ইসলামী জ্ঞান আহরণ করেছেন এবং সাহাবীদের অনুকরণ অনুসরন করেছেন তাদেরকে ‘তাবেয়ী’ বলে। কোন কোন মুহাদ্দিসের মতে সাহাবী থেকে যিনি অন্তত একটি হাদীস রেওয়ায়েত করেছেন।

তাবে তাবেয়ীঃ একই নিয়ম অনুযায়ী যিনি বা যারা তাবেয়ীদের সাহচর্য লাভ করেছেন বা একটু সময়ের জন্যেও দেখেছেন,তাদের অনুকরণ অনুসরণ করেছেন এবং ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করেছেন তারাই ‘তাবে তাবেয়ী’।

রেওয়ায়েতঃ হাদীস বা আছার বর্ণনা করাকে ‘রেওয়ায়েত’ বলে।

রাবীঃ হাদীস বা আছার বর্ণনাকারীকে ‘রাবী’ বলে।

রেওয়ায়েত বিল মা’নাঃ অর্থের গুরুত্ব সহকারে হাদীস বর্ণনা করাকে ‘রেওয়ায়েত বিল মা’না’ বলে।

রেওয়ায়েত বিল লবজিহিঃ হুবহু অর্থাৎ নবী করীম(সাঃ)-এর সাহাবী,তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ীনদের মুখনিঃসৃত শব্দ গুলিসহ হাদীস বর্ণনা করাকে ‘রেওয়ায়েত বিল লবজিহি’ বলে। এ ধরনের হাদীসের গুরুত্ব সব চাইতে বেশী।

মুনকার ও রেওয়ায়েতঃ যে দুর্বল বর্ণনাকারী রেওয়ায়েত বা হাদীস তদপেক্ষা সর্ব বর্ণনাকারীর রেওয়াতের পরিপন্থী হয় তাকে ‘মুনকার রেওয়ায়েত’ বলে।

দেরায়াতঃ হাদীসের মতন বা মূল বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যুক্তির কষ্টিপাথরে যে সমালোচনা করা হয় হাদীস বিজ্ঞানের পরিভাষায় তাকে দেরায়াত বলে।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে