শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Shohag3

Call

ইসলামে জিনা বা ব্যভিচার সম্পূর্ণ হারাম। মহানবী সা. স্পষ্ট বলেছেন, কোনো মুসলিম যখন জিনা করে তখন আর সে মুসলমান থাকে না। ঈমান তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর তওবা ও প্রায়শ্চিত্ত করলে আবার সে মুসলমান হতে পারে। কোনো পতিতা যখন এই জিনাকে তার জীবন জীবিকা ও অভ্যাস হিসাবে বেছে নেয়, তখন সে আর মুসলিম নারী থাকে না। জিনা ছেড়ে দিয়ে প্রকৃত তওবা করে নতুন করে ঈমান আনার আগ পর্যন্ত তাকে মুসলিম নারী হিসাবে গণ্য করার ব্যবস্থা নেই। এজন্য ইসলামের ইতিহাসে কোনো মুসলিম পতিতা গত দেড় হাজার বছরে পাওয়া যাবে না। একবার জিনা করলে যেখানে মৃত্যুদন্ড অবধারিত, সেখানে বছরের পর বছর লাইসেন্স করে ঘোষণা দিয়ে জিনা করে গেলেও সে দাবী করলেই মুসলমান থেকে যাবে এটি ইসলামী শরিয়তের আইন হতে পারে না। কারও ব্যক্তিগত অভিরুচি বা অবুঝ নামধারী কোনো মুসলমানের মতামত হতে পারে। এজন্য বিশেষ সম্প্রদায়ের তৈরি বেশ্যালয়ে নাম লিখিয়ে চলে যাওয়া মুসলিম নারীদের শতশত বছর আগে থেকেই প্রকৃত উলামা মাশায়েখগণ অমুসলিম ঘোষণা করে রেখেছেন। গোনাহ ত্যাগ করে তওবা ও কালেমা পাঠ ছাড়া তাদের মুসলিম সমাজে তোলার কোনো উপায় নেই। এজন্য তাদের জানাজা ও মুসলিম কবরস্থানে দাফন যুগ যুগ ধরে নিষিদ্ধ আছে। সম্প্রতি এ নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে, অনেকে মানবতার দোহাই দিয়ে তাদের পক্ষে উকালতি ও মায়াকান্না জুড়ে দিয়েছেন। তাদের উচিত, এমন খারাপ কাজ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা, পুনর্বাসন করা, তওবা ও ঈমানের ব্যবস্থা করা এবং অত:পর জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা। কোনো কিছু না বোঝে একটি গর্হিত অপরাধকে উপেক্ষা এবং ভাগ্যাহত এসব নারীর সামগ্রিক কল্যান চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু দাফন নিয়ে ক্ষেপে উঠার কোনো কারণ নেই। কোরআন সুন্নাহ ও শরীয়ত মতো ইসলামের বিধান চলে। কোনো ব্যক্তির আবেগে শরীয়তের বিধান ভেঙ্গেচুরে সমান করে ফেলা যায় না।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ