বিজ্ঞানী প্যাভলভ প্রতিবর্ত ক্রিয়া কে দুই ভাগে ভাগ করেন। যথা:
সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া এবং
অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
কোনো কাজ বারবার অনুশীলন করলে কিছুদিন পর মস্তিষ্কের সাহায্য ছাড়াই ওই কাজটি করা সম্ভব হয়, এইরকম প্রতিবর্ত ক্রিয়া শর্তসাপেক্ষ হওয়ার ফলে অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কে শর্তাধীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
যে প্রতিবর্ত ক্রিয়া শুধুমাত্র সুষুম্নামা কান্ড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং প্রতিবর্ত পথ অল্পসংখ্যক স্নায়ু কোষ দিয়ে গঠিত হয় তাকে সরল প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
যে প্রতিবর্ত ক্রিয়াতে সুষুম্নামা কান্ড ছাড়াও মস্তিষ্কের সাহায্যের প্রয়োজন হয় এবং প্রতিবর্ত পথে বহু সংখ্যক স্নায়ু কোষ থাকে তাকে জটিল প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদ্দীপনা যখন দেহের অভ্যন্তরের কোনো পেশি, টেন্ডন ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন হয় তখন তাকে গভীর প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা ডিপ প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
যে সমস্ত প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত অর্থাৎ জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বংশগত সূত্রে পূর্বপুরুষ থেকে প্রাপ্ত হয় তাকে সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদ্দীপনা যখন দেহের প্রান্তদেশ অর্থাৎ ত্বক, চোখ ইত্যাদি থেকে আসে তখন তাকে উপরিগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা সুপারফিসিয়াল প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।