অনেকে এই ধারণা করে যে, জাহিলিয়াতের যামানায় যে সমস্ত মূর্তি তৈরী করা হত একমাত্র ঐ গুলিই হারাম। এ যুগে অধুনিক ছবি অর্ন্তভূক্ত নয়। এটা বড়ই আবাক হওয়ার কথা। মনে হচ্ছে, তারা যেন ছবিকে হারাম করে যে সমস্ত হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে তা শ্রবণই করেনি। তার মধ্য থেকে কয়েকটি হাদীস নিম্নে উল্লেখিত হল: আয়েশা (রাঃ) একটি ছোট বালিশ ক্রয় করেছিলেন। তাতে ছবি আকা ছিল। ঘরে প্রবেশের সময় রাসূল (সাঃ) এর দৃষ্টি এতে পতিত হলে তিনি আর ঘরে প্রবেশ করলেন না। আয়েশা (রাঃ) তার মুখ মণ্ডল দেখেই তা বুঝতে পারলেন। তিনি বললেন: আমি আল্লাহ ও তার রাসূলের নিকট তওবা করছি। আমি কি গুনাহ করেছি? রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞেস করলেন: এই ছোট বালিশটি কোথায় পেলে? তিনি বললেন: আমি এটা এ জন্য খরিদ করেছি যাতে আপনি এতে হেলান দিয়ে বিশ্রাম করতে পারেন। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন: যারা এই সমস্ত ছবি অঙ্কন করেছে কিয়ামতের মাঠে তাদেরকে আযাব দেয়া হবে। তাদের বলা হবে: তোমরা যাদের সৃষ্টি করেছিলে. তাদের জীবিত কর। অতঃপর তিনি বললেন: যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতাা প্রবেশ করে না। (বুখারী ও মুসলিম ) তিনি আরো বলেছেন: কিয়ামতের মাঠে ঐ সমস্ত লোকেরা (যারা ছবি আঁকে তারা আল্লাহর সৃষ্টির মতই কিছু করতে উদ্যত হয়) সবচেয়ে বেশি আযাব ভোগ করবে যারা আল্লাহর সৃষ্টির মত সৃষ্টি করে। (বুখারী ও মুসলিম ) যে সমস্ত ছবি বা মূর্তি জায়েয, গাছপালা, চন্দ্র, তারকা, পাহাড় পর্বত, পাথর, সাগর, নদ-নদী, সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, পবিত্র স্থানের ছবি যেমন কাবাঘর মদীনা শরীফ, বাইতুল মোকাদ্দাস, বা অন্যান্য মসজিদের ছবি, এ সম্বন্ধে ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন: যদি তোমাকে ছবি বা মূর্তি বানাতেই হয়, তবে কোন বৃক্ষ বা এমন জিনিসের ছবি আঁক যাদের জীবন নেই।