আমি একটি লেপ্টপ কিনতে চায়। কিনার আগে কি কি দেখে নেওয়া উচিৎ।কোন লেপ্টপ কিনব দয়া করে  বলবেন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Junait

Call

লক্ষণীয় বিষয়গুলো:

১. ব্যাটারি ব্যাকআপ ল্যাপটপের জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার। যারা অফিস বা ব্যক্তিগত কাজে বেশির ভাগ সময় বাহিরে কাজ করেন তাদের জন্য বেশি ব্যাটারি ব্যাকআপ সম্পন্ন ল্যাপটপ কেনাই অ্যাবশক। অধিকাংশ ল্যাপটপের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়নের হয়ে থাকে। ব্যাটারিতে যত বেশি সেল থাকবে , ব্যাটারির ব্যাকআপ সময় ততটাই বেশি হবে। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় এর ব্যাকআপ সময়টা দেখে কেনা উচিৎ।

২.সাধারন কাজ যেমন-গান শোনা, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, মুভি দেখা অন্যান্য ছোটখাটো কাজের জন্য কম বাজেটের ল্যাপটপ কেনাটাই সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে মুভি দেখা যদি আপনার নেশা হয় তাহলে একটু বড় স্ক্রিন দেখে ল্যাপটপ নেওয়া ভাল।

৩. গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্সের কাজের জন্য একটু হাই-কনফিগারেশনের ল্যাপটপ দরকার। এজন্য ল্যাপটপ কেনার বাজেটটা বড়াতে হবে। কারন হাই-কনফিগারেশনের ল্যাপটপের দাম খানিকটা বেশী। ল্যাপটপের CPU ও GPU এর সক্ষমতা কেমন তা দেখে নিতে হবে। এছাড়া প্রসেসরের ক্লক স্পিড বেশী হলে ল্যাপটপের কাজের স্পীড বেশী হবে। কিন্তু সাধারণ কাজের জন্য এই স্পীড লক্ষণীয় নয়। ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্সের মত ভারী কাজের জন্য Core i3, i5, i7 সিরিজের ল্যাপটপ কেনা অত্যাবশ্যক।

৪. ল্যাপটপ কেনার সময় এর হার্ডডিস্ক, র‍্যাম কত তা দেখে নিতে হবে। কারন গেম খেলা, ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্সের কাজের জন্য কমপক্ষে 4 GB DDR3 র‍্যাম নেবার চেষ্টা করতে হবে। DDR3 র‍্যামের স্পিড ভালো।

৫.ল্যাপটপে কি কি পোর্ট আছে তা দেখে কেনা ভাল। যেমন- USB port, HDMI port, LAN port , ইত্যাদি পোর্ট আছে কিনা তা চেক করে নেওয়া উচিৎ। বর্তমানে হাই ডেফিনেশন মুভি ও গেমস খেলার জন্য HDMI Port দরকার।

৬. বহনযোগ্যতা ল্যাপটপের অন্যতম একটি দিক। ল্যাপটপের ওজন একটু কম দেখে কেনা ভাল। এতে ল্যাপটপ বহন করতে সুবিধা হবে। এছাড়া কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার, ব্যাগ ইত্যাদি অন্যান্য জিনিসপত্র ল্যাপটপের সঙ্গে আছে কিনা তা বুঝে নিতে হবে। এছাড়া অনুমোদিত ডিলার, আমদানিকারক, বিশ্বস্ত দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনতে হবে। এতে ওয়ারেন্টি পেতে কোন ঝামেলা হয় না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ