কুঁড়ি থেকে ফুল কী ধরনের চলন?

চলন শব্দটির প্রকৃতি ও প্রত্যয় √চল্+অন।

যখন আলো, তাপমাত্রা, রাসায়নিক পদার্থ, বৈদ্যুতিক শক্তি যেকোন বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ কিংবা উদ্ভিদ-অঙ্গে স্থান পরিবর্তন ঘটে তখন তাকে প্রবৃত্ত বা আবিষ্ট সামগ্রিক চলন বা ট্যাকটিক চলন বা অভিমুখ্য চলন...

বহিঃস্থ উদ্দীপক আলোকের প্রভাবে যে ট্যাকটিক চলন দেখা যায় তাকে ফটোট্যাকটিক চলন বলে।

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন আলোক উৎসের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে আলোকবৃত্তি বা আলোকবর্তী চলন বা ফোটোট্রপিক চলন বলে।

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে জলবৃত্তি বা জলবর্তী বা হাইড্রোট্রপিক চলন বলে।

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে হয় তখন তাকে অভিকর্ষবৃত্তি বা অভিকর্ষবর্তী বা জিওট্রপিক চলন বলে।

উদ্ভিদ অঙ্গের চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিত না হয়ে উদ্দীপকের তীব্রতা উপর নির্ভর করে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন সেই প্রকার চলনকে ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাপ্তি চলন বলে।

উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন যখন আলোকের তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন তাকে ফোটোন্যাস্টিক বা আলোক ব্যাপ্তি চলন বলে।

উদ্ভিদ অঙ্গের সঞ্চালন বা চলন যখন উষ্ণতার তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন তাকে থার্মোন্যাস্টিক বা তাপব্যাপ্তি চলন বলে।

সূর্যের প্রতি সাড়া দিয়ে পিপড়ার চলন মেনোট্যাক্সিস এর উদাহরণ