যদি আমি কোনো private university থেকে pharmacy নিয়ে ৪ বছর পড়াশোনা করি তাহলে কি ধরনের চাকরি পেতে পারি । আর যদি BBA (English) । কোন টা ভালো হবে? ?
Share with your friends

ফার্মাসিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ারঃ সময় পরিবর্তনের সঙ্গে পাল্টে যায় চাহিদা। পাল্টায় চাকরিক্ষেত্রও। এতে পরিবর্তন ঘটে সুযোগ-সুবিধার। সময়ের এই পরিবর্তনশীলতার স্র্রোতে সবার আগে গা-ভাসাতে পারে তারুণ্যই। ঠিক আজকের এই দিন থেকে পনের বা বিশ বছর পেছনে তাকান। তখন যেসব বিষয়-আশয়ের চাহিদা ছিল এখন তার চাহিদা বা গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। এ পরিবর্তনটা খুবই স্বাভাবিক। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তারুণ্যের বিবেচনায় থাকা অন্যতম পেশা হচ্ছে ফার্মাসিস্ট। বর্তমানে যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করে কাজের সুযোগ সহজে পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফার্মেসি। এ বিষয়ে পড়ালেখা শেষ করার আগেই মিলে যেতে পারে চাকরি। তবে এক্ষেত্রে দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব অল্প সময়ে এখানে প্রমোশনও মিলে। চলুন, আজ জেনে নিই এই পেশার আদ্যোপান্ত_ লক্ষ্যস্থির : এখন মাধ্যমিকে এসেই অনেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় ক্যারিয়ারের। সেই ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক তো দূরের কথা! তবে এ পেশাটাকে আপন করতে আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। সবাই জানি, উচ্চ মাধ্যমিকের পরই একজন শিক্ষার্থী তার ক্যারিয়ারের পথে হাঁটে। ক্যারিয়ার যেদিকে নিতে চায় সেই বিষয়টাকেই আপন করে নেয় উচ্চ মাধ্যমিকের পর। তাই ক্যারিয়ার গঠনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে পরিপূর্ণ ধারণা থাকা একান্ত আবশ্যক। আপনি আপনার পছন্দের ক্যারিয়ারের জন্য কোথায় কোন বিষয়ে ভর্তি হবেন, ভর্তির যোগ্যতা, ফলাফল, ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া এসব জানা। আর পড়াশোনা শেষে দেশ- বিদেশে চাকরির সুযোগ আছে কি-না, সংশ্লিষ্ট চাকরিতে বেতন বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন, এসব বিষয়কেও বিবেচনায় রাখতেই হবে। এসব বিষয় বিবেচনায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে এবং দেশের বাইরে ফার্মাসিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও সমৃদ্ধ পেশা। তাই উচ্চ মাধ্যমিকের পর এই পেশায় আসতে ফার্মেসি বিষয়টাকে আপন করে নিন। কাজের কাজি : আপনি পড়াশোনার হিসাব চুকিয়ে চাকরি নেওয়ার পর যেসব কাজের মুখোমুখি হবেন তা হচ্ছে_ ওষুধ গবেষণা, প্রস্তুত, মান নিয়ন্ত্রণ, সংরক্ষণ, সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, বিপণনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাজ। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ওষুধের ফর্মুলেশন, উৎপাদন, ওষুধের মানোন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ ও নিশ্চিতকরণ, স্থিতিশীলতা, গবেষণাসহ নানা ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টরা কাজ করেন। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিংয়ে তাদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর বাইরে সরকারি অফিসগুলোর মধ্যে কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা, আর্মড ফোর্সেস, সরকারি হাসপাতাল, ওষুধ প্রশাসনসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন উচ্চ পদে ফার্মাসিস্টরা চাকরি পান। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ফার্মাসিস্ট পদে, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, ফার্মেসি ম্যানেজার ছাড়াও প্রশাসনিক ও তথ্য বিভাগে তাদের কাজের সুযোগ রয়েছে। আবার যারা শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িত থাকতে চান, তারা শিক্ষকতা, গবেষণা, স্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশাসনিক দপ্তরেও কাজের সুযোগ পেতে পারেন। এবার আপনিই ঠিক করেন কোন কাজটাকে আপন করবেন। তবে যেই পথেই হাঁটুন থাকতে হবে আপনার একাগ্রতা আর দায়িত্বশীলতা। চাকরি যোগ্যতা : ফার্মাসিস্ট হতে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি ফার্মেসি কোর্স ডিগ্রি নিতে হবে। এরপর এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স শেষ করে কাজে নামতে পারেন। মাস্টার্স শেষ না করেও আপনি চাকরিতে নেমে পড়তে পারেন। তবে এ জন্য ফার্মেসি কোর্স চালু আছে এমন সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। এ ছাড়া ১৫টির ওপর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে জীববিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান থেকে অবশ্যই ভালো ফল থাকতে হবে। এরপর ভর্তি পরীক্ষার কঠিন যুদ্ধে উত্তীর্ণ হওয়ার পালা। তবে মাথায় রাখতে হবে, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি না নিলে ফার্মেসি কাউন্সিল অব বাংলাদেশ কর্তৃক প্রফেশনাল সনদপত্র পাওয়া যাবে না! পাঠশালা : বাংলাদেশে স্নাতক পর্যায়ে ফার্মেসি শিক্ষা সবার আগে চালু হয় ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠা করে দেশে নতুনধারার পেশাভিত্তিক শিক্ষার যুগোপযোগী বিষয়ের আবির্ভাব ঘটায়। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ পরে তিনটি বিভাগে বিভক্ত হয় এবং গড়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদ হিসেবে। তারপর প্রায় ২৩ বছর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে কোনো প্রোগ্রাম চালু হয়নি। ১৯৮৭ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে স্নাতক কোর্স চালু করে। এরপর একে একে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এই পথে হাঁটে। বেতন-ভাতা : ফার্মেসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি বি ফার্ম শেষে যে কোনো ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানিতে এক মাসের ইন্টার্নি সম্পন্ন করতে হয়। এরপর বাছাই পরীক্ষায় যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলেই কাঙ্ক্ষিত চাকরি মেলে। শুরুতেই বেতন পাওয়া যায় ২৫-৩০ হাজার টাকা। তার পর আস্তে আস্তে তা ছয় মাসের মাথায় ৫০-এ গিয়ে ঠেকে। কাজ দিয়ে দুই থেকে তিন বছরের মাথায় ১ লাখ টাকাও বেতন পাওয়া সহজ এখানে! সুযোগ-সুবিধা : বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পে স্ব্বয়ংসম্পন্ন এবং ক্রমবর্ধমান এই শিল্পের মূল চালিকা ফার্মাসিস্টদেরই হাতে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০০-এর মতো ওষুধ প্রস্তুত ও বিপণনকারী কোম্পানি সক্রিয়। এসব কোম্পানি দেশের চাহিদা পূরণ করে আন্তর্জাতিক বাজারেও ওষুধ রফতানি করছে। এসব কোম্পানির প্রোডাকশন, প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, ট্রেনিংসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষকতা, গবেষণা এবং দেশের বাইরে কাজ করার সুযোগ তো আছেই। তবে দেশে বসেই আপনি পেতে পারেন বিদেশের সব সুযোগ-সুবিধা! ক্যারিয়ার বিস্তৃতি : বাংলাদেশের ফার্মাসি গ্র্যাজুয়েটরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আমেরিকা, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সম্মানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড ২৩০০-এর ওপর ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে মাত্র ১ হাজারের মতো দেশের বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কাজ করছেন। আর বাকি প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন ফার্মাসিস্ট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ওষুধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের ৬৩ শতাংশ আবার আমেরিকায় কাজ করছে। ফার্মাসিস্টরা ড্রাগ এক্সপার্ট। তারা ড্রাগ কনসালট্যান্ট হিসেবেও কাজ করতে পারেন। সুত্রঃ দৈ‌নিক সমকাল। আর BBA (English) বল‌তে কি বু‌ঝি‌য়ে‌ছেন বুঝ‌তে পা‌রি‌নি, কারন Engish এর উপর কোন বি‌বিএ কোর্স নাই। বি‌বিএ করা হয় কমা‌র্সের বিষয়গু‌লোর উপর।

Talk Doctor Online in Bissoy App