স্বামীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমি কাউকে অন্যের প্রতি সিজদা করার আদেশ দিতাম তবে আমি স্ত্রীদের আদেশ দিতাম তাদের তাদের স্বামীদের সেবা করতে। (তিরমিযি) হজরত কায়স ইবনে সাদ (রা.) বর্ণনা করেন, আমি হীরায় গেলাম এবং তাদেরকে (হীরাবাসীদেরকে) তাদের নেতাদের সিজদা করতে দেখলাম। আমি চিন্তা করলাম, সিজদা লাভের ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চেয়ে আরো অধিক হকদার। তাই আমি তাঁকে বললাম, আমি হীরাবাসীদেরকে তাদের নেতাদের সিজদা করতে দেখেছি; অথচ আপনি সিজদা লাভের ব্যাপারে তাদের চেয়ে আরো অধিক বেশি হকদার। তিনি আমাকে বললেন, বল দেখি, যদি তুমি আমার কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম কর তবে কি তাতে সিজদা করবে? আমি উত্তর করলাম, না। অত:পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে সিজদা কর না। যদি আমি কাউকে অন্য কারো উদ্দেশ্যে সিজদা করার আদেশ দিতাম তবে স্ত্রীদেরকে আদেশ দিতাম তাদের স্বামীদের সিজদা করতে। তা সেসব দায়িত্বের কারণে যা আল্লাহ তাআলা স্বামীদের প্রেক্ষিতে স্ত্রীদের উপর অর্পণ করেছেন। (আবু দাউদ, আহমাদ) রোজা রাখতে স্বামীর অনুমতি হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন নারী তার স্বামীর অনুমতি ব্যতিত রোজা রাখতে পারে না। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ) হাদিসের ভাষ্যকারগণ বলেন, এ থেকে কেবল নফল রোজা উদ্দেশ্য। কোন স্বামীকেই আল্লাহর হুকুমের বিরুদ্ধে আদেশ প্রদানের অনুমতি দেয়া হয় নি। যদি সে তা করে তবে স্ত্রী তার আনুগত্য করবে না। স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে, অথচ সে তা প্রত্যাখ্যান করে। আর স্বামী রাগান্বিত অবস্থায় রাত্রী যাপন করে, তখন ফেরেস্তারা সারা রাত্রী তার (স্ত্রীর) উপর অভিশাপ দিতে থাকে। ( বুখারি, মুসলিম) হজরত তালাক ইবনে আলী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তার কামনা পূরনের জন্য আহবান করে, তখন সে যেন তার আহবানে সাড়া দেয়, যদিও সে চুলায় ব্যস্ত থাকে। (তিরমিযি) স্বামীর আহবান প্রত্যাখ্যান করার নিন্দা হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঐ সত্ত্বার শপথ, যার হাতে আমার জীবন! যখন কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বিছানায় আহবান করে এবং সে তা ফিরিয়ে দেয়, তখন যিনি জান্নাতে আছেন’ তার উপর অসন্তুষ্ট হয়, যতক্ষণ না তার স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট হয়। (বুখারি, মুসলিম) যিনি জান্নাতে আছেন’ থেকে উদ্দেশ্য হলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআলা। স্বামীর প্রতি একজন স্ত্রীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল তার শারিরীক চাহিদা পূরণ করা। যেমনটি ইতোপূর্বে উল্লিখিত হয়েছে। এই অধিকার আল্লাহ তাআলা প্রদান করেছেন। তাই যদি কোন নারী তার স্বামীর চাহিদা পূরণে সাড়া না দেয়, তবে সে যেন আল্লাহ তাআলারই আদেশ অমান্য করল এবং এর মাধ্যমে সে তার অসন্তুষ্টি লাভ করল। (বুখারি, মুসলিম) স্বামীর সম্পদ যথাযথভাবে হেফাজতের প্রতিদান হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন নারী তার স্বামীর উপার্জন থেকে আল্লাহর রাস্তায় দান করে, যদিও তার অনুমতি ব্যতিত হয়, স্বামী তার অর্ধেক সওয়াব লাভ করবে। (বুখারি, মুসলিম) হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোন স্ত্রী তার গৃহ থেকে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট না করে দান করে, তার জন্যে তার প্রতিদান রয়েছে। কারণ, সে দান করেছে। তাতে স্বামীরও প্রতিদান রয়েছে। কেননা, সে তা উপার্জন করেছে। কারও প্রতিদান এতে অন্যের প্রতিদানের চেয়ে কম হবে না। (বুখারি, মুসলিম) সবকিছু থেকে বোঝা যায় স্বামীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিয়ের আগ পর্যন্ত মা ই তার কাছে 

বেশী মূল্যবান । বিয়ের পরে স্বামী 

বেশি মূল্যবান । স্বামী কে রাজি খুশী 

রাখা তার দ্বায়িত্ব । এ নিয়ে অনেক 

হাদিস ও আছে । 

" কোনো স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তার 

স্বামী যদি স্বীকার করে যে সে তার 

স্ত্রীর উপর রাজি এবং খুশি তাহলে সে 

স্ত্রী জান্নাতে চলে যাবে অনুরূপ স্বামী 

যদি বলে যে সে তার স্ত্রীর উপর 

রাজি এবং খুশি না তাহলে সে স্ত্রী 

জাহান্নাম  চলে যাবে "

এজন্য বলা যেতেই পারে স্বামী বেশী মূল্যবান । 

আমি দুঃখিত হাদিসের reference 

টা মনে পড়ছে না এই মুহুর্তে । 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত এখানে মায়ের মর্যাদা বুঝানো হয়েছে। তবে হাদীসটি উলামায়ে কেরামের ঐক্যমতে এই শব্দে জাল বা বানোয়াট । রাসূল সাঃ থেকে সহীভাবে এই হাদীসটি প্রমাণীত নয়। 

অার স্বামীর পা‌য়ের নি‌চে স্ত্রীর বে‌হেস্ত এটা সম্পুর্ন ভি‌ত্তিহীন ভুয়া বা‌নোয়াট কথা।

একজন সন্তা‌নের ক‌া‌ছে তার মা‌য়ের মূল্য ও মর্যাদা সব‌ থেকে বে‌শি অার মা‌য়ের মর্যাদার সা‌থে অন্য কা‌রো তুলনা করাটাও চরম অন্যায়। একজন স্ত্রীর কা‌ছে তার স্বামীর মর্যাদাও অ‌নেক ত‌বে সেটা মা‌য়ের সা‌থে তুলনা করা যা‌বে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ