আমি শুনেছি clash of clans এর town hall নাকি পবিত্র কাবা শরিফ এর প্রতিরুপ এর মতো করে তৈরি করা হয়েছে,যেমন, town hall 9,যা আমরা প্রতিনিয়ত ভাঙছি। আর এর আবিস্কারক নাকি ইসলামের শত্রু,,. এসব কি সত্যি?  দয়া করে আমাকে সঠিক তথ্য জানান? 


Share with your friends
Unknown

Call

#9 একটা জিনিস যখন খ্যাতি অর্জন করে তখন তার পিছনে লাগার মতো মানুষের অভাব হয়না। এমনিতে এর অ্যানিমেটেড চরিত্র, আজেবাজে চ্যাট বা এর পিছনে টাকা অপচয় করা এগুলো ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বর্জনীয়। কিন্তু টাউন হল ৯-কে কা'বা ঘরের সাথে তুলনা করাটা একদম বোকামি, বা বলা যায় ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি। ক্ল্যাশ ক্ল্যান্সের ক্রিয়েটরদের কেউই ইসলামের বিরোধী নন। আর এটি স্পেশাল ভাবে আইওএস এর জন্য তৈরি করা হয়েছিলো, সাফল্য পাওয়াতেই অ্যান্ড্রয়েডের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আসলে এসব অপপ্রচারের সুচনাকারীরা হয় ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান্সের প্রতি ঈর্ষান্বিত নাহয় ইসলামকে হাস্যকর বানাতে উদ্ধত। ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল সাইটে এরকম প্রচুর কান্ড প্রতিদিনই দেখা যায়, অথেনটিক না হলে এসবের সাপোর্ট করা চরম বোকামি। মাথায় রাখবেন, সত্যিই যদি ইসলামকে কোথাও অবমাননা করা হয় তাহলে সেটা মিডিয়ায় অবশ্যই আসবে, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকবেনা।

Talk Doctor Online in Bissoy App

১. ইসলাম মানুষের জন্য উপকারী খেলাধুলা, শরীর চর্চা, প্রতিযোগিতা ও বিনোদনের অনুমতিদিয়েছে। যেমন, সাতার, দৌড় ও তীর নিক্ষেপ। ইত্যাদি। ইরশাদ হয়েছে, ﻛﻞ ﺷﺊ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ ﺫﻛﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻬﻮ ﻭﻟﻌﺐ ، ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺃﺭﺑﻌﺔ : ﻣﻼﻋﺒﺔ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ، ﻭﺗﺄﺩﻳﺐ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻓﺮﺳﻪ ، ﻭﻣﺸﻰ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺑﻨﻰ ﺍﻟﻐﺮﺿﻴﻦ، ﻭﺗﻌﻠﻴﻢ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺍﻟﺴﺒﺎﺣﺔ . প্রত্যেক এমন জিনিস যা আল্লাহর জিকির নয়, তা ক্রীয়া ও কৌতুকের অন্তর্ভূক্ত। কিন্তু চারটি জিনিস তার ব্যতিক্রম। এক. স্ত্রীর সঙ্গে হাস্যরস করা। দুই. কাউকে ঘোড়ায় উঠার প্রশিক্ষণ দেয়া। তিন. দু’টি লক্ষ্য নির্ণয়ের জন্য চলা। চার. কাউকে সাতার শিক্ষা দেয়া। (কানযুল উম্মাল-৪০৬১২) অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﺍﻟﻘﻮﻯ ﺧﻴﺮ ﻭﺍﺣﺐ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺆﻣﻦ ﺍﻟﻀﻌﻴﻒ ‘শক্তিশালী মুমিন দুর্বল মুমিন অপেক্ষা আল্লাহর নিকট উত্তম ও অধিক প্রিয়।’ (কানযুল উম্মাল-৫৪০) ২. অশ্লীলতা ও বিদ্বেষ মুক্ত, চেতনা উদ্দীপক ও অর্থবহ কবিতা, সঙ্গীত ও সাহিত্য চর্চা ইসলাম সমর্থন করে। একাধিক হাদীস থেকে জানা যায়, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) ইরশাদ করেন,কাফেরদের বিরুদ্ধে হযরত হাস্সান বিন সাবেত (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এর ঈমানদীপ্ত কবিতার উচ্চ প্রশংসা করে তাকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি জিহাদের ময়দানে চেতনা উদ্দীপক কবিতার নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻀﻊ ﻟﺤﺴﺎﻥ ﻣﻨﺒﺮﺍ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﻳﻘﻮﻡ ﻋﻠﻴﻪ ﻗﺎﺋﻤﺎ ﻳﻔﺎﺧﺮ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ‘রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) হযরত হাস্সান বিন সাবেত (রাদিয়াল্লাহু আনহু) জন্য মসজিদে নববীতে একটি মেম্বার তৈরি করে দেন, যেখানে দাড়িয়ে তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম) এর পক্ষ থেকে গর্ব প্রকাশ করতো। (তিরমিজী শরীফ-২৮৪৬) ইসলাম যেমন খেলাধুলা ও বিনোদন সমর্থন করে না ১. যেসব খেলাধুলা ও বিনোদনের জাগতিক ও পরকালীন কোনো উপকার নেই। যা মানুষকে আল্লাহর স্মরণ ও ধর্মীয় জীবন থেকে বিমুখ করে দেয়। সমাজে বিশৃংখল ও বিবাদ সৃষ্টি করে। যেমন, গান ও বাদ্য, মদ ও জুয়া, দাবা ও কবুতর বাজি। ইত্যাদি। হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ﺇﺫﺍ ﻣﺮﺭﺗﻢ ﺑﻬﺆﻻﺀ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻠﻌﺒﻮﻥ ﺑﻬﺬﻩ ﺍﻷﺯﻻﻡ ﻭﺍﻟﺸﻄﺮﻧﺞ ﻭﺍﻟﻨﺮﺩ ﻭﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻣﻦ ﻫﺬﻩ ﻓﻼ ﺗﺴﻠﻤﻮﺍ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻭﺇﻥ ﺳﻠﻤﻮﺍ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﻓﻼ ﺗﺮﺩﻭﺍ ﻋﻠﻴﻬﻢ ‘যখন তোমরা এমন লোকদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করবে যারা (ভাগ্য নির্ণয়ের জন্য) তীর, দাবা ও পাশা দিয়ে খেলছে, তখন তাদেরকে তোমরা সালাম দিবে না। আর তারা তোমাদেরকে সালাম দিলে তার উত্তরও দিবে না।’ (কানযুল উম্মাল-৪০৬৪৪) উপরোক্ত হাদিস আর কোরানের আয়াত থেকে এটা স্পষ্ট যে, যে খেলা মানুষ কে শ্রমবিমুখ করে,তা খেলা ইসলাম সমর্থন করে না। সুতরাং clash of clan খেলা বৈধ নয়।

Talk Doctor Online in Bissoy App

আপনি উত্তর ভালোভাবে জানার জন্য এই link এ যেতে পারেন http://www.somewhereinblog.net/blog/AfreenSumu/30097566

Talk Doctor Online in Bissoy App