আত্মা বলতে এমন একটি সত্ত্বাকে বুঝায় যা আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমাদের চিন্তাধারা এই আত্মা দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত বলে ধরা হয়ে থাকে। আমাদের চালাচ্ছে এই আত্মা আবার এই আত্নাই যখন চলে যাবে তখন আমাদের মৃত্যু । অর্থাৎ অদৃশ্য এক সত্ত্বা যা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা যে “আমি” শব্দটা ব্যবহার করি এই “আমি” দ্বারা যা বুঝানো হয় তাই হচ্ছে আত্মা ।
আত্মা কথাটি আপনার অপরিচিত নয় । আত্মার হলো মানব দেহের পরিচালক বা সফটয়্যার । আত্মা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের এর অর্থ জানতে হবে । ইংরেজী soul = আত্মা , উপদেবতা , অপদেবতা , প্রেতাত্মা । ভিত করনের উপাদান । spirit = [একই] . আত্মার আরও একটি ইংরেজী প্রতিশব্দ আছে ।আর তা হলো wraith . তবে wraith অর্থ সাধারন আত্মাকে বুঝায়না । জীবিত ব্যক্তির প্রেতাচ্ছায়াকেই wraith বলে । বাংলাতে আত্মা কি ? আত্ম বা স্বয়ং শব্দটি থেকে আত্মা শব্দের উত্পত্তি । এখন প্রশ্ন হলো আত্মা জিনিসটা কি ? আত্মা মানে হলো নিজের আপন বস্তু । কাহারও অতি নিকটতম বস্তুকে আত্মা বলে ।এখান থেকে এসেছে আত্মীয় ও আত্মহত্যা ইত্যাদির মত শব্দ । আপনি জানেন আপনার শরীরে দুই ধরনের সত্বা বিদ্যমান । তন্মধ্যে একটা হলো প্রাণ আর অপরটা হলো রুহ বা আত্মা । চমকাবেন না কারণ প্রাণ আর আত্মা এক নয় । কারণ যদি ঘুমের মাঝে আত্মাটি বাহিরে যায় তাহলে আপনার ঐচ্ছিক পেশীসমুহ কিভাবে কাজ করে ? ঐচ্ছিক পেশিসমুহ হলো হৃদপিন্ড , লিভার , শাসনালিকা ইত্যাদি ।আমরা সকলেই জানি যে ঘুমের মাঝে আত্মাটা বাহিরে যায় । কিন্তু সত্যিই কি আত্মা বাহিরে যায় ? এসম্পর্কে আমি কোন বিজ্ঞানীদের উক্তি ব্যবহার করিনা , কারণ আমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীর [রাসুলুল্লাহ সাঃ] ও সরাসরি কুরআন থেকে এর উদ্ধৃতি দেওয়ার চেষ্ট করি । আত্মার ব্যপারে আমার আল্লাহ বলতেছেন যে "তার পর আমি তোমাদিগকে দ্বিতীয় মৃত্যু হতে জীবিত করি যাহা তোমাদের পরকালকে স্বরণ করে দেয় । " তাহলে চিন্তা করেন । আমাদের ধারণাটি এইযে আত্মাদেহ করলেই মৃত্যু হয় । তাহলে প্রতিদিন ঘুমের মাঝে আত্মা দেহ থেকে চলে যায় । এটা আধুনিক বিজ্ঞান দারা প্রমাণিত । ঘুমের সময় আত্মার বাহিরে থাকার ফলেই কোন ঘুমন্ত ব্যাক্তিকে ডাকলে একটু দেরিতে ওঠে , সঙ্গে সঙ্গে ওঠার ক্ষমতা কারও নেই । কারণ এই সময়টা দেহ ও আত্মার মধ্য যথেষ্ট ব্যবধান থাকে ।তাছাড়া মানুষের দেহে বিদ্যুত্ আছে । আমরা প্রতিনিয়ত বিদ্যুত্ ব্যবহার করে বেঁচে থাকি ।আমরা প্রতিটি শরীরে যে পরিমাণ বিদ্যুত্ রাখি তা পাশাপাশি ১০ মিটার দুরে রাখলেও তারা মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এমন জোর পারষ্পরিক বল প্রয়োগ করবে তা অভিকর্ষ বলের প্রায় ২৮ গুন বেশি । যাই হোক , আমাদের শরীরের বিদ্যুত্ উত্পন্ন হয় কিভাবে ? একটা পরিচিত নাম DNA . [ deoxy rybo nuclice acid ] . এই ডিএনএ তে আত্মার মিকোফিভেকেশন শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুত্ উত্পন্ন করে । প্রতিটি কোষের মাইটোকন্ড্রিয়াতে [ power house of sell ] রক্তের লোহিত রক্তকণিকার সাথে যুক্ত হিমেগ্লোবিন ও অক্সিজেন , অক্সিহিমোগ্লোবিন রুপে গিয়ে দহন হয় । ফলে প্রচুর তাপ উত্পন্ন হয় । আর এই তাপকে বিদ্যুত্ শক্তিকে রুপান্তর করে আত্মা । চলবে.... [ বিশেষ কারণে আজকে পুরো পোষ্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি । এটি আগামি কাল পূর্ন করা হবে । আমার এক বন্ধু ..... Vut Bd Fm আত্মা বিষয়ে জানতে চেয়েছিল , তাকে জানাই অভিনন্দন । ....
মানুষ দেহ ও আত্মার সমষ্টি ইসলাম সম্পর্কে মোটামুটি যাদের জানা আছে, তারা নিশ্চয়ই জানেন যে, পবিত্র কুরআন বা হাদীসে প্রায়ই মানুষের দেহ ও আত্মা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। সবাই জানেন যে, পঞ্চেন্দ্রিয়ের সাহায্যে অনুভবযোগ্য এই দেহ সম্পর্কে ধারণা করা আত্মার তুলনায় অনেক সহজ। আর আত্মা সম্পর্কে ধারণা অর্জন যথেষ্ট জটিল ও দুর্বোধ্য। শীয়া ও সুন্নি, উভয় সমপ্র দায়ের কালাম (মৌলিক বিশ্বাস শাস্ত্র) শাস্ত্রবিদ এবং দার্শনিকদের মধ্যে আত্মা সম্পর্কিত মতামতের ক্ষেত্রে যথেষ্ট মতভেদ বিরাজমান। তবে এটা একটা সর্বজন স্বীকৃত বিষয় যে, ইসলামের দৃষ্টিতে দেহ ও আত্মা দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির অস্থিত্ব। মৃত্যুর মাধ্যমে মানবদেহ তার জীবনীশক্তি হারায় এবং ধীরে, ধীরে তা ধ্বংসপ্রাপ্ত ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। কিন্তু আত্মার বিষয়টি মোটেও এমন নয়। বরং জীবনীশক্তি মূলতঃ আত্মা থেকেই উৎসরিত। যতক্ষণ পর্যন্ত আত্মা দেহের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবে, দেহও ততক্ষণ ঐ আত্মা থেকে সঞ্জীবনীশক্তি লাভ করবে। যখনই আত্মা ঐ দেহ থেকে পৃথক হবে এবং (মৃত্যুর মাধ্যমে) দেহের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করবে, তখনই দেহ নিজীব হয়ে পড়বে