জন্মনিয়ন্ত্রণের ১৫ ধরনের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। আপনার স্বাস্থ্য এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করবে যে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল জন্মনিয়ন্ত্রক কোনটি হবে। আপনার সেক্স লাইফ কি আপনাকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে? আপনার জন্য কোন জন্মনিয়ন্ত্রক সবচেয়ে ভাল হবে তা ঠিক করার আগে কিছু ব্যাপার চিন্তা করে দেখতে হবে। এই তথ্য জানার পর আপনার নিকটস্থ পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিকে গিয়ে আপনার জন্য কোন পদ্ধতি ভাল হবে তা নিয়ে আলোচনা করুন। মনে রাখবেন নিজেকে যৌনবাহিত রোগ থেকে বাঁচানোর একমাত্র উপায় হল প্রতিবার যৌন সম্পর্কের সময় কনডম ব্যবহার করা।
দম্পতিদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশ কয়েকটি ভাল পদ্ধতি রয়েছে। যেমনঃ ১) স্বামী নিজে বেরিয়ার মেথড কিংবা কনডম ব্যবহার করতে পারেন। একটি টেম্পোরারি পদ্ধতি এবং এর বহুবিধ সুবিধা রয়েছে। বিয়ের পরপর পরিকল্পিত ভাবে যৌন মিলন অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। এই সময় আবেগের প্রাধান্য থাকে। তাই সবদিক বিবেচনা টেম্পোরারি পদ্ধতি এই সময় সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা। ২) নতুন দম্পতিদের জন্মনিরোধক হিসেবে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হচ্ছে ওরাল contraceptive পিল কিংবা খাবার বড়ি। এই ওরাল পিল নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রী খাবে। প্রতি মাসে কিংবা মাসিক ঋতুস্রাবের প্রথম কিংবা পঞ্চম দিন বড়ি খেতে শুরু করতে হয়। প্রতিদিন রাতে খাবারের পর বড়ি খেলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে কিংবা ভুলে গেলে পরদিন সকালে খেয়ে নেয়া যায়। তবে খাবার বড়ি খাওয়া শুরু করার পর অনেকের প্রথম প্রথম কিছু অসুবিধা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ বমিভাব, মাথা ঘোরানো ইত্যাদি। এসব অসুবিধা খুবই সাময়িক এবং অল্পদিন পর কোনো চিকিৎসা ছাড়া কেটে যায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। ৩) IUCD (intrauterine, contraceptive ডিভাইস) এটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত জন্মনিরোধক পদ্ধতি গুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাবার বড়ি যেখানে গ্রহণযোগ্য না। যেমনঃ ডায়াবেটিস, এজমা কিংবা হাঁপানি, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সিটি কিংবা কপার-টি সবচেয়ে ভালো। কপার-টি যেকোনো পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে নেয়া যায় এবং যখন ইচ্ছা আবার খুলে ফেলা যায়। এটি একটি সহজ ও নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি এবং তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ৪) ছন্দ পদ্ধতি কিংবা সেফ পিরিয়ড পদ্ধতি, যদি নতুন বিবাহিত স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব নিয়মিত থাকে তবে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা যায়, কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা জটিলতা নেই। মাসিক ঋতুস্রাবের প্রথম দশ দিন এবং শেষ দশ দিন মোটামুটি ভাবে নিরাপদ এবং উপরিউক্ত সময়ে মিলিত হলে গর্ভ সঞ্চারের সম্ভাবনা কম থাকে। ৫) জন্মনিরোধক ফোম কিংবা জেলি, জেলি কিংবা ফোম যৌন মিলনের অন্তত পাঁচ মিনিট আগে ব্যবহার করা উচিত। এই পদ্ধতির বিশেষ কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এর ফেইলিউর রেট বেশি। কাজেই শুধু এই পদ্ধতির উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এই পদ্ধতি সবচেয়ে ফলপ্রস হয়, যদি একই সাথে স্বামী কনডম এবং স্ত্রী ফোম ব্যবহার করেন।