শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত-- সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রত্যেককে চিন্তাশক্তি দান করেছেন যার মাধ্যমে আমরা আমাদের চারপাশের বাস্তবতা বুঝতে পারি। আমরা যখন চিন্তাভাবনা করতে শুরু করি তখন খুব সহজেই বুঝতে পারি আমরা কিভাবে পৃথিবীতে এসেছি এবং কোন উদ্দেশ্যে আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা না করাটা বোকামী ও উন্মাদনা ছাড়া আর কিছু নয়। ------- মানুষ যখন ধর্ম থেকে দূরে গিয়ে পার্থিব জীবন নিয়ে মত্ত থাকে তখনই চাহিদা-লোভের কবলে পড়ে। খাদ্দ্য,বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা + শিক্ষা এগুলো আমাদের অনিবার্য । কিন্তু এগুলোর আকাঙ্খা যখন মাত্রা ছড়িয়ে যায় তখন চাহিদার নতুন নতুন রূপ দেখা যায়। কোনো কিছু পাওয়ার পর আমরা তার জন্যে শুকরিয়া প্রকাশ করি না। বরং আমরা ‘কী নাই’ সেটা নিয়েই চিন্তা শুরু করি। কী নাই, সেই চিন্তাটা আমাদেরকে ব্যস্ত করে রাখে। যদি এভাবে শুরু করি যে, কী আছে-তাহলে কিন্তু অশান্তি অনেক কমে যায়। কারণ, যা আছে তা দিয়ে শুরু করতে হবে যা নেই তা অর্জন করার প্রচেষ্টায়। আমরা একটা পুরোপুরি বস্তুবাদী সমাজে বাস করছি। এখানে জীবনের উদ্দেশ্য হল সম্পদ জমা করা আর সর্বোচ্চ পরিমাণে জীবনের স্বাদ উপভোগ করা। আজ এ পৃথিবীর চাকচিক্য আমাদেরকে এমনভাবে ভোগবিলাসের চিন্তায় মগ্ন করে ফেলেছে যে, মানুষ যে কত দুর্বল তা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি না। যতটুকু নাহলেই না ততটুকু ত আমরা পূরণ করি কিন্তু এর বাইরে ভোগ বিলাসিতা গুলো আমাদের পুঁজিবাদী সমাজ আমাদের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়েছে । চাহিদা আর কিছুনা আমাদের মনের পিপাসা। সারাজীবন পানি খেলেও যেমন পানির চাহিদা শরীরে থাকবে, তেমনি মানুষের মনের , শরীরের, দৃষ্টির চাহিদা থাকবে।বর্তমানে এর জন্য পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা, আমাদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দায়ী। তবে প্রিমিটিভ সমাজেও এরকম চাহিদা ছিল তবে তার স্থান , কাল ও পাত্র ভিন্ন ছিল। মোটকথা আমাদের মনটা রাবারের মত যতবেশি টানা যায় বড় হয়। তেমনিভাবে চাহিদাও ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ