Call
অর্থনীতিঃ

অর্থনীতি বা ‌‌‌অর্থশাস্ত্র সামাজিক বিজ্ঞান-এর একটি শাখা যা পণ্য এবং কৃত্যের উৎপাদন, সরবরাহ, বিনিময়, বিতরণ এবং ভোগ ও ভোক্তার আচরণ নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷[১] সম্পদ সীমিত কিন্তু চাহিদা অফুরন্ত– এই মৌলিক পরিপ্রেক্ষিতে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য৷ অর্থনীতি শব্দটি ইংরেজি 'Economics' শব্দের প্রতিশব্দ। Economics শব্দটি গ্রিক শব্দ 'Oikonomia' থেকে উদ্ভূত যার অর্থ গৃহস্থালী পরিচালনা। [এল.রবিন্স] এর প্রদত্ত সংজ্ঞাটি বেশীরভাগ আধুনিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিনি বলেন, "অর্থনীতি মানুষের অভাব ও বিকল্প ব্যাবহারযোগ্যো সীমিত সম্পদের সম্পর্ক বিষয়ক মানব আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।" এল.রবিন্সের সংজ্ঞাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে এটি মানব জীবনের তিনটি মৌলিক বৈশিষ্টের উপর প্রতিষ্ঠিত, যথা অসীম অভাব, সীমিত সম্পদ ও বিকল্প ব্যবহারযোগ্য সম্পদ। অর্থনীতির পরিধিসমূহ বিভিন্ন ভাগে বা শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যেমনঃ

আধুনিক অর্থনীতিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, (১)ব্যাস্টিক অর্থনীতি ও (২)সামস্টিক অর্থনীতি৷ ব্যাস্টিক অর্থনীতি মূলত ব্যক্তি মানুষ অথবা ব্যবসায়ের চাহিদা ও যোগান নিয়ে আলোচনা করে থাকে৷ অন্যদিকে সামস্টিক অর্থনীতি একটি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জাতীয় আয়, কর্মসংস্থান, মুদ্রানীতি, ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করে৷ অন্য ভাবে বলা যায়যে, Micro Economics বা ব্যাষ্টিক অর্থনীতির লক্ষ্য হলো অর্থনীতির একটি বিশেষ অংশ বা একককে ব্যাক্তিগত দৃস্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা এবং Macro Economics বা সামষ্টিক অর্থনীতি অর্থনীতির সামগ্রিক বিষয়াদি বিশ্লেষণ করে থাকে।

লোক প্রশাসনঃ

আমরা জানি লোক প্রশাসন একটি গতিশীল  ফলিত সামাজিক বিজ্ঞান। সরকারি নীতি বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে প্রশাসনের কাজ । বর্তমান রাষ্ট্রসমূহ কল্যাণমূলক বিধায় দক্ষ প্রশাসনযন্ত্র ও ব্যবস্থাপনা রাষ্ট্রসমূহের মূল চালিকাশক্তি। মূলত এখান থেকেই লোক প্রশাসনের ধারণাটির উদ্ভব।
প্রশাসনের ইংরেজি শব্দ ‘ Administration' বা ‘Admijnister' শব্দ দুটি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।  শব্দ দুটির অর্থ যথাক্রমে সেবা ও ব্যবস্থাপনা।প্রশাসন শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কাজের ব্যবস্থাপনা।প্রশাসন হলো ঐধরনের সামগ্রিক কর্মতৎপরতা যাতে যুক্তিসঙ্গত সংগঠন, লোক ও সম্পদের যুক্তিযুক্ত ব্যবস্থাপনা আছে।এরূপ যুক্তিসঙ্গত কাজ কোন একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান , কোন ক্লাব, সংঘ,স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বা কোন সরকারি বেসরকারি সংস্থায় লক্ষ্য করা যায় । এসবের মধ্যেই নিহিত রয়েছে প্রশাসনের বীজ।ক্লাব -সংঘ ইত্যাদি ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কার্য পরিচালনাকে বলা হয় বেসরকারি প্রশাসন। অপরপক্ষে রাষ্ট্রের কেন্দীয়, স্থানীয়, আঞ্চলিক সরকারি সংস্থার কার্যাদিকে বলা হয় লোক প্রশাসন।

লোক প্রশাসন হচ্ছে প্রশাসনের বিস্তৃত অঙ্গনের একটি শাখামাত্র। সাধারণত রাষ্ট্রের ক্ষমতা প্রয়োগের জন্য রাষ্ট্র যে সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে তাই লোক প্রশাসন। রাষ্ট্রের সকল কর্ম বাস্তবায়িত হয় সরকারের মাধ্যমে। সুতরাং সরকারি কার্যই লোক প্রশাসন।
 বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী L. D. White এর মতে, "Public administration consists of all those operations having for their purpose the fulfillment or enforcement of public policy as declared by competent authority."
Mercy McQueen বলেন, " Public administration is administration related to the operations of government whether central or local."
তবে Dwight Waldo লোক প্রশাসনের অতি সুন্দর বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, প্রশাসন একটি বিষয় আর লোক প্রশাসন এর অংশবিশেষ।তাঁর মতে, " Public administration is the organization and management of man and materials to realize  the purpose of  government."অর্থাৎ সরকারের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যক্তি এবং উপকরণসমূহের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনার নাম লোক প্রশাসন।
সুতরাং বলা যায় , সরকার ও সংগঠনের মধ্যকার সম্পর্কই লোক প্রশাসন।
নগর পরিকল্পনাঃ

নগর পরিকল্পনা একটি কারিগরী ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ভূমির ব্যবহার এবং নাগরিক পরিবেশের নকশা প্রণয়ন করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে বায়ু, পানি, নগরের অবকাঠামো, পরিবহণ ব্যবস্থা, পরিষেবা ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। নগর পরিকল্পনার মাধ্যমে মানব বসতির সঠিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা হয়। নগরের সম্পদ (যেমন পানি, গ্যাস) কীভাবে মানুষের কাছে পৌছে দেয়া হবে, অবকাঠামোগত বিন্যাস ও স্থানভেদে ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতিকরণ ইত্যাদি বিষয় নগর পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। নগর সম্পর্কিত গবেষণা ও বিশ্লেষণ, কৌশলগত চিন্তা, স্থাপত্য, নগর নকশা, জনমত নিরীক্ষণ, নীতিমালা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনা নগর পরিকল্পনার বৃহৎ ক্ষেত্রের অন্তর্গত।[১] নগর পরিকল্পনার অন্যতম বিষয় নগরের কোন অংশবিশেষের নকশা প্রণয়ন করা। নগরের সার্বিক অবস্থা অনুসারে এবং বিভিন্ন বিষয়কে চিহ্নিত করে কোন নকশা প্রণয়ন করা হয়। নগরের সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নে নগর পরিকল্পনাবিদগণ কাজ করে থাকে।

ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শিল্প নগরীগুলোতে উদ্ভূত সমস্যার প্রতিক্রিয়া থেকে নগর পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়াই আধুনিক নগর পরিকল্পনার সূচনা করে। ঊনবিংশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শিল্প নগরীগুলোতে উদ্ভূত সমস্যার প্রতিক্রিয়া থেকে নগর পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রক্রিয়াই আধুনিক নগর পরিকল্পনার সূচনা করে। এছাড়া নগরের পুনঃউন্নয়ন বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও নগর পরিকল্পনা কাজ করে। বিশ্বের অনেক দেশে ক্রমশ বর্ধিষ্ণু নগরায়নের প্রেক্ষাপটে সঠিকভাবে নগরের উন্নয়নের ক্ষেরে নগর পরিকল্পনার প্রয়োগ করা হয়।[২] বিংশ শতাব্দীর শেষাংশে একটি ধারণা প্রবর্তিত হয় যে সকল ধরণের পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ননিশ্চিতকরণ।

সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ