শুধু শরীর গঠনে নয় , রূপচর্চায়ও মধুর ব্যবহার সর্বজন বিদিত। মধু যে কোনো ধরনের ত্বকেই ব্যবহার করা যায়। স্বাভাবিক , তৈলাক্ত, শুষ্ক কিংবা রুক্ষ যে কোনো ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন। মধু ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ঘাটতি কমায়, উজ্জ্বল আভা আনে, বলিরেখাও দূর করে দেয়। মধু যুগ যুগ ধরে প্রমাণিত একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। তাই তো গ্রিক সুন্দরীরা তাদের যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত মধু পান করতেন। কিংবদন্তী সুন্দরী ক্লিওপেট্রাও তার মুখে মধু ব্যবহার করতেন। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মিসরের মায়েরা শিশুদের মধু পান করাতেন। এ ছাড়া মধু সহযোগে বিভিন্ন ক্রিম তৈরি করে মুখে লাগানো এমনকি, শুধু মধু ক্রিমের মতো ব্যবহার করলে মুখের বিভিন্ন দাগ দূর হয়ে উজ্জ্বলতা, মসৃণতা ফিরে আসে। মধুর নিয়মিত ব্যবহার মুখের ব্রণ দূর করতেও শতভাগ কাজ করে। ত্বকের যত্নে মধুর সঙ্গে চাইলে আপেল বা কমলার রস, সামান্য মুলতানি মাটি, একটু টক মিশিয়ে একসঙ্গে বেল্গন্ড করে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। নিজের ত্বককে সহনশীল রাখতে নিম ও মধুর ব্যবহার আপনার ত্বকে এনে দিতে পারে অভাবনীয় সব লাবণ্যতা। তাই নিয়মিত রূপচর্চায় নিম আর মধুর সঙ্গেই থাকুন।
মৌমাছির চাক হতে সংগৃহীত মধুকে আমরা কে না চিনি। মধুর গুণ সম্পর্কেও আমাদের সবার কিছুটা হলেও জ্ঞান আছে। সকল কিছুর মহা ঔষধ রূপে কাজ করে আসছে মধু।
সৌন্দর্য্য রক্ষার্থে মধু বিশেষ ভুমিকা পালন করে। আমরা হয়তো সবাই এ সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে জানি না। আসুন সবার পরিচিত এই মধু কাজে লাগাই সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে।
সৌন্দর্য্য ধরে রাখতে মধুর ব্যবহার—
এ নিয়মটি যদি আপনি দৈনিক পালন করতে পারেন তবে আপনার শারীরিক গঠন সঠিক থাকবে। মেদ-ভুরি হবে না। বয়সের সাথে আপনার চামড়া ঝুলে পরবে না। আপনার স্কিন হবে ঠিক যেমনটি আপনি চান।
ত্বক সংক্রান্ত সকল সমস্যার সমাধান হচ্ছে মধু। মধুর সঠিক প্রয়োগ জানা থাকলে এর উপকার আপনি অনুধাবন করতে পারবেন। কারণ ত্বক ঠিক রাখা, ব্রণের দাগ দূর করা, মেদ কমানো সকল কিছুর সঠিক সমাধান করতে পারে একমাত্র মহা ঔষধ মধু।
অর্থাৎ আপনার সৌন্দর্য্যকে সব সময় ধরে রাখতে বিশেষ ভুমিকায় থাকবে মধু।