শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
naeym

Call

রাসুল(সাঃ)বলেন তিনটি খেলা ছাড়া বাকি সব বাতিল ১তীর ধনুক ২প্রশিক্ষণ দানের ৩স্ত্রির সাথে হাস্য রসের খেলা, বিশেষ করে দাবা খেলা হারাম হওয়ার যুক্তি হল, এটা মানুষের মন মগজকে এমন ভাবে খেলায় মননিবেস করায়,যার ফলে ফরজ ইবাদত বন্দেগীর সময় গুলো কোন দিক দিয়ে চলেযাচ্ছে তা টেরই পায়না, দলিল:সুরা লুক্বমানের ৬নংআয়াতের তাফসির(সংক্ষিপ্ত তাঃ মাঃ ক্বুঃ ১৫২_১৫৩পৃঃ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
mdsaim

Call

এই প্রশ্নটা অনেকেই করে থাকেন যে ইসলাম কেন দাবা খেলাকে হারাম করেছে এর উত্তরে প্রথমে যেটা বলতে হয় ইসলাম সকল প্রকার মূর্তি হারাম করেছে তাই আপনি যখন দাবা খেলবেন তখন আপনাকে যে গুটি নিয়ে খেলতে হয় তা কিন্তু মূর্তি............ যেকোনো কাজ যা মানুষকে আল্লাহ্‌র স্মরণ থেকে বিরত রাখে তাই হারাম আবু হানিফা (র) , ইমাম মালিক (র) সহ আরও অনেক ইমাম এক্ষেত্রে একটা কুরআনের আয়াত প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছেন “হে মুমিনগণ!নিশ্চয় মদ,জুয়া,মূর্তি ইত্যাদি এবং লটারির তীর এসব গর্হিত বিষয় শয়তানি কাজ ছাড়া এর কিছুই নয় কাজেই এইসব বিষয় থেকে দূরে থাক,যাতে তোমাদের কল্যাণ হয়।শয়তান তো এটাই চায় যে মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের পরস্পরের মধ্যে হিংসা ও শত্রুতা এবং আল্লাহর স্মরণ এবং সালাত হতে তোমাদেরকে বিরত রাখে,সুতরাং এখনও কি তোমরা ফিরে আসবে?”(মায়েদাহ ৫:৯০-৯১) আল কুরতুবী (র) বলেছেন যে, এই আয়াত এটাই নির্দেশ করে যে পাশা বা দাবা খেলা হারাম সেখানে জুয়ার কোন অস্তিত্ত থাকুক আর নাই বা থাকুক কারণ আল্লাহ্‌ সুবহানাত’লা মদকে হারাম করেছেন এবং এর পেছনে কারণ ও বলে দিয়েছেন , আর কারণটা হচ্ছে শয়তান মানুষের মাঝে নেশা ও বাজির মাধ্যমে শত্রুটা ও বিদ্ধেস তৈরি এবং মানুষকে আল্লাহ্‌র স্মরণ এবং নামাজ থেকে বিরত রাখে । তাই এমন কোন খেলা যা তুচ্ছ জিনিসকে বড় করে তুলে এবং যারা ইহা খেলে তাদের মধ্যে শত্রুটা ও বিদ্ধেস জাগরিত করে সাথে সাথে আল্লাহ্‌র স্মরণ ও নামাজ থেকে বিরত রাখে তাও মদ খাওয়ার মতই হারাম । সুলাইমান ইবনে বুরাইদাহ তার পিতা বুরাইদাহ (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেছেন।রাসুল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যাক্তি পাশা খেলল সে যেন শূয়রের গোশত ও রক্তে হাত রাঙাল”।(মুসলিমঃ২২৬০) আবু মুসা আল আশারি (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুল (সাঃ) বলেন,“যে পাশা খেলল সে যেন আল্লাহ্‌ এবং আমাকে অমান্য করল”।(আবু-দাউদঃ৪১২৯,নাসিরুদ্দিন আলবানীর মতে সহীহ) একদিন দু’জন আনছার ছাহাবী তীর নিক্ষেপ প্রতিযোগিতা করছিলেন। হঠাৎ একজন বসে পড়লেন। তখন অপরজন বিস্মিত হয়ে বললেন, কি ব্যাপার। কষ্ট হয়ে গেল নাকি? জবাবে তিনি বললেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, প্রত্যেক বস্তু যা আল্লাহর স্মরণকে ভুলিয়ে দেয়, সেটাই অনর্থক (لَهْو) ... (নাসাঈ, ছহীহাহ হা/৩১৫)। এতে বুঝা যায় যে, বৈধ খেলাও যদি আল্লাহর স্মরণকে ভুলিয়ে দেয়, তবে সেটাও জায়েয হবে না। ইমাম বুখারী (রহঃ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, ‘প্রত্যেক খেলা-ধুলা (لَهْو) বাতিল, যদি তা আল্লাহর আনুগত্য থেকে উদাসীন করে দেয়’ (ফাৎহুলবারী ‘অনুমতি গ্রহণ’ অধ্যায় ৭৯, অনুচ্ছেদ ৫২; ১১/৯৪ পৃঃ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ