শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Pori Moni

Call
      বাংলাদেশের জাতীয় ফুল "অথবা"
                   আমার প্রিয় ফুল

ভূমিকা : যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে
সে দেশেতে কলমি কমল কনক হয়ে হাসে
সে আমাদের জন্মভূমি মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
শাপলা বাংলাদেশের জাতীয় ফুল। এটি আমাদের অতি পরিচিত একটি ফুল। এটি বর্ষাকালীন ফুল হলেও অন্যান্য ঋতুতেও এ ফুল ফোটে বলে এটি জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে।

প্রকারভেদ : বাংলাদেশের গ্রামের বিল-ঝিল, পুকুর, ডোবা ইত্যাদি যেকোনো জলাশয়েই এ ফুলের প্রাচুর্য দেখা যায়। এ ফুল বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। যেমন—সাদা, লাল ও বেগুনি। এ তিনটি রঙের মধ্যে সাদা রঙের শাপলাই জাতীয় ফুলের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

প্রাপ্তিস্থান ও সময় : বর্ষাকালে বাংলাদেশের জলাশয়গুলো যখন পানিতে ভরে যায়, তখন চারদিক শোভিত করে শাপলা ফুটে এক অপরূপ দৃশ্যের সূচনা করে। জ্যোত্স্না প্লাবিত রাতে বিলে-ঝিলে ফুটে থাকা শাপলা ফুল যখন মৃদু-মন্দ বাতাসে দুলতে থাকে, তখন দেখলে মনে হয় যেন এক ঝাঁক নক্ষত্র নীল আকাশ থেকে পানিতে নেমে এসেছে।

বর্ণনা : শাপলা জলজ উদ্ভিদ। এটি স্রোতবিহীন জলাশয়েই সাধারণত জন্মে। শাপলার মূল জলাশয়ের নিচে কাদার মধ্যে ডুবে থাকে। জলাশয়ের পানি বাড়লে এর ডাঁটাও বাড়তে থাকে। এর পাতা গোলাকৃতি ও আকারে থালার চেয়েও অনেক বড় হয়। থালার মতো বড় বড় পাতার ওপরে লম্বা ডাঁটাসহ বিভিন্ন রঙের শাপলা ফুটে জলাশয়ে ভেসে ওঠে। কুঁড়ি অবস্থায় শাপলা অনেকটা কলার মোচার মতো হয়ে থাকে। কুঁড়িটি আস্তে আস্তে ফুটে দু-একদিনের মধ্যেই পূর্ণতা পায়।


উপকারিতা : শাপলা ফুল শুধু তার সৌন্দর্য দিয়ে আমাদের মন ভরায় না, এটি একটি উপকারী ফুলও বটে। শাপলার ডাঁটা গ্রামাঞ্চলে, এমনকি শহরেও অনেকে সবজি হিসেবে খেয়ে থাকে। লাল রঙের শাপলা ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গ্রামবাংলার ছেলে-মেয়েরা এ ফুল দিয়ে মালা গাঁথে। মঞ্চসজ্জার কাজেও এ ফুল ব্যবহৃত হয়। শাপলার ফুল থেকে আলুর মতো বড় বড় ফল হয়। এ ফল থেকে খই ও মোয়া তৈরি করা হয়।

উপসংহার : শাপলা ফুল বিনা যত্নে ও বিনা পরিশ্রমে জন্মে বাংলার প্রকৃতিকে মোহনীয় করে তুলছে। এই ফুল প্রাচুর্য, বর্ণ ও সৌন্দর্যের দিক থেকে তাই বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের মর্যাদা পেয়েছে। তাই তো আমরা গেয়ে উঠি— প্রিয় ফুল শাপলা ফুল
প্রিয় দেশ বাংলাদেশ
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ