Sakib Ahmed

Call

পড়াশোনার জন্য যখন একজন শিক্ষার্থী দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য একটি দেশে যান, তখন এই যাওয়ার প্রক্রিয়াটাকেই স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়।

যা থাকতে হবে:

১) একজন শিক্ষার্থীর অবশ্যই জন্ম সনদ ও পাসপোর্ট থাকতে হবে।

২) বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ১২ বছরের পড়াশোনা অর্থাৎ এইচএসসি বা সমমানের পাস হতে হবে।

৩) একাডেমিক রেজাল্ট সর্বনিম্ন ৩.০ হতে হবে। অর্থাৎ এসএসসি ও এইচএসসি মিলে সর্বনিম্ন ৬.০ হতে হবে।

৪) আপনার আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিসটেম) থাকতে হবে। আপনার স্ট্যান্ডার্ড স্কোর ৬.৫ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনার স্কোর যদি ৬.৫ না হয় তাহলে আপনাকে অল্প সময়ের জন্য ইএসএল (ইংলিশ অ্যাজ সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রোগ্রাম নিতে হবে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা আইইএলটিএস না করেই সরাসরি ইএসএল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চায়। এ ক্ষেত্রে ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আইইএলটিএস করে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

৫) আপনাকে আগের শিক্ষার ধরন অনুযায়ী অর্থাৎ বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্যের ব্যাকগ্রাউন্ড অনুযায়ী বিষয় বা প্রোগ্রাম সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ বিজ্ঞানের ছাত্রের কলার বিষয় সিলেক্ট করা উচিত নয়। অনেকেই এ ভুলটা করে থাকেন। ফলে ভিসা পান না।

৬) প্রত্যাশিত বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের রিকোয়ারমেন্ট ফিলআপ করেই অ্যাডমিশন বা অ্যাকসেপট্যান্স লেটার ইউনিভার্সিটি বা কলেজ থেকে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে যদি আপনার লেটারটি নন কন্ডিশনাল হয় তাহলে খুব ভালো। টিউশন ফির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। টিউশন ফি বেশি হলে এফোর্ড করতে পারবেন না।

৭) আপনাকে অবশ্যই ন্যূনতম ৬ মাসের অর্থাৎ প্রথম সেমিস্টারের টিউশন ফি ভিসার আগে কলেজ বা ইউনিভার্সিটিকে দিতে হবে। এটা ভিসা পাওয়ার জন্য ভালো। যদি টিউশন ফি ভিসার আগে না দেন, তবে ভিসা অফিসার আপনাকে গরিব ছাত্র হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। সুতরাং ভিসার আগেই টিউশন ফি দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

৮) আপনার ব্যাংক স্পন্সর থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে কেউ আপনার স্পন্সর হতে পারে। তবে ফার্স্ট ব্লাড স্পন্সর হওয়া সর্বোত্তম। যিনি আপনার স্পন্সর হবেন, তার সোর্স অব ইনকাম দেখাতে হবে।

৯) বর্তমানে অনেক ইউনিভার্সিটি বা কলেজে পোস্ট গ্রাজুয়েট পড়াশোনা করার জন্য জিআরই, জিএমএটি জরুরি। সুতরাং শিক্ষার্থীদের এ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।

১০) যারা পিএইচডি করতে চান, তাদের আইইএলটিএসে গুড ইউজার গ্রেডসহ ন্যূনতম ২-৫ বছরের রিসার্চ পেপার ও পাবলিকেশন থাকতে হবে।

১১) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেটসহ ইন্টারভিউ প্রিপারেশন থাকতে হবে। তবে সব দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

১২) যে দেশে যাবেন, সে দেশের অ্যাম্বাসি থেকে ডকুমেন্ট চেকলিস্ট অনুযায়ী ভিসার অ্যাপ্লিকেশন ও ডকুমেন্টস তৈরি করতে হবে। যা অ্যাম্বাসি থেকে জেনে নিতে পারবেন।

১৩) এসবের বাইরেও অ্যাম্বাসি কর্তৃপক্ষ যে কোনো অ্যাডিশনাল ডকুমেন্টস চাইতে পারে। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মাথায় রাখতে হবে।

Talk Doctor Online in Bissoy App