যাতে নিজের টাকায় পড়তে পারি বাড়ির অবস্অবস্থা ভালো নয়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আইইবি (IEB) এর অধীনে এএমআইই (AMIE) তে ভর্তি হতে পারেন। এবং তা হতে পারেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ এর ঢাকা, রাজশাহি, খুলনা কিংবা চট্টগ্রামের যে কোন শাখায়। বছরে ২ বার ভর্তি করা হয়, ফেব্রুয়ারি ও অগাস্টে। কোন ভর্তি পরীক্ষা নেই। যতজন আসবে তত জনকেই ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় ৬,৫০০.০০ টাকা জমা দিতে হয়। প্রথম ভর্তি হওয়ার ১ বছর পর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। পরবর্তিতে আবার ৬ মাস পর পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এএমআইই এর পরীক্ষাসমূহ BUET, RUET, KUET এবং CUET এ এপ্রিল ও অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত হয়। ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স, সিভিল, মেকানিক্যাল ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এই বিষয়গুলোতে ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তির যোগ্যতা ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি এবং সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে ৪.০০ এর মধ্যে। এইচএসসি পাস কেউ চাইলে ভর্তি হতে পারে, তবে তার এইচএসসি'র পর ২ বছরের কারিগরী অভিজ্ঞতার সনদ থাকতে হবে। এখান থেকে পাস করার পর বিসিএস সহ যে কোন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্য আবেদন করা যাবে। MIST (BUP), BUET, RUET, KUET, JU, JnU এবং CUET থেকে কিংবা কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিতে পারবেন। ২ টি সেকশন এ ও বি। এ সেকশনে ১১ টি এবং বি সেকশনে ১১ অর্থাৎ মোট ২২ টি বিষয়। এ সেকশনে পাস করার পর বি সেকশনে অধ্যয়ন করা যাবে। প্রতিটি বিষয়ের পাস মার্ক ৪০। বছরে ২ টি সেমিস্টার (মার্চ ও সেপ্টেম্বর) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ৪৫ দিন পূর্বে ফর্ম ফিলাপ করতে হয়। পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য কোন ক্লাস সুবিধা নেই। তাই পাস করার জন্য এখানে নিজের উদ্যমই হচ্ছে শেষ কথা। ফর্ম ফিলাপের সময় প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১,২০০.০০ টাকা ও ১,০০০.০০ টাকা সেশন ফি দিতে হবে। এক সেমিস্টারে সর্বোচ্চ ৪ টি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যায়। মোটামুটি ৪২,০০০.০০ টাকায় ডিগ্রি শেষ করা যাবে যদি অন্য সব বিষয় ঠিক থাকে অর্থাৎ কোন বিষয়ে ফেল না করেন কিংবা কোন সেমিস্টার বিরতি না দেন কিংবা প্রতি সেমিস্টারে ৪ এর কম বিষয় নেন ইত্যাদি। তবে কেউ ভালো করতে চাইলে আইইবি এর অভ্যন্তরে প্রতি বিষয়ের জন্য ২,৫০০.০০ টাকা করে ফি দিয়ে কোচিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। সব বিষয়ের কোচিং এর জন্য ৫০,০০০.০০ থেকে ৫৫,০০০.০০ টাকা লাগতে পারে। কোন বিষয়ে অনুত্তীর্ন না হলে মোটামুটি সারে তিন বছরের মধ্যে আপনি ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন। এখান থেকে পাস করে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার হার প্রায় ১৫% বা তারও কম। এটি সরাসরি কোন বিএসসি কোর্স না। এটি একটি মেম্বারশিপ পরীক্ষা যা বিএসসি সমমান। এই পরীক্ষা নেয় বুয়েট (আপনি বুয়েটের কোন পরিচয়ই বহন করতে পারবেন না) কিন্তু সনদ প্রদান করে আইইবি। প্রতি বছর ভর্তি হয় ৪,০০০-৫,০০০ কিন্তু পাস করে ৭০-৮০ জন। আসলে এখানে পড়াশুনার চাপ না থাকা কিংবা চাকরির পাশাপাশি পড়া কিংবা বুয়েট কর্তৃক তৈরীকৃত প্রশ্নে পাস করা একটু কস্টকর। আসলে নিজ উদ্যমটাই আসল। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ