আল্লাহতালা সুদ কে করেছেন হারাম আর ব্যবসা কে করেছেন হালাল। কেন ব্যাংকের অতিরিক্ত টাকা সুদ। আপনি ব্যাংকে যে টাকা রেখেছেন সেই টাকা ব্যাংকে না রেখে ব্যবসা কেন করছেন না?????? বিষয়টা ভেবে দেখুন। পরিশ্রম ছাড়া কোন পারিশ্রমিক হতে পারেনা। আর আপনি ব্যংকে যে টাকা রাখেন তার নিরাপত্তা রয়েছে। অর্থাৎ আপনার লোকষান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং লাভ হবে। যেখানে লাভ/ক্ষতির সম্ভবনা থাকেনা তাই সুদ। যেমন ব্যবসা করতে গেলে লাভ/ক্ষতি দুয়ি থাকার সম্ভবনা থাকে।
ইসলামী শরীয়ায় লেনদেনের ক্ষেত্রে চুক্তির শর্তানুযায়ী শরীয়াহ সম্মত কোনরুপ বিনিময় ব্যতীত মূলধনের উপর অতিরিক্ত যা কিছু গ্রহণ করা হয় তাকে সুদ বলে। কুরআনে ২০টি আয়াত রয়েছে, যাতে সুদের কথা উল্লেখ রয়েছে, যদিও এর সবগুলো আয়াতে শব্দগতভাবে এর সরাসরি উল্লেখ নেই। তবে এটি সরাসরি বেশ কয়েকবার কুরআনে উল্লেখিত হয়েছে৷ সূরা বাকারার ২৭৫, ২৭৬, ২৭৮, সুরা আল-ইমরানের ১৩০ নং আয়াতে, সূরা নিসার ১৬১ ও সূরা আর-রুমের ৩৯ নং আয়াতে। “যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।” (সুরা বাক্বারা, আয়াত নং ২৭৫) “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা অবশিষ্ট আছে, তা পরিত্যাগ কর, যদি তোমরা মুমিন হও।” (সুরা বাক্বারা, আয়াত নং ২৭৮) তাছাড়া, সুদের গুনাহ সম্পর্কে রাসূল (সঃ) এমন কিছু উক্তি করেছেন, যেটা অন্যকিছুর ক্ষেত্রে করেন নি। “হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, সুদের গুনাহর সত্তরতি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষুদ্র স্তর হলো আপন মাকে বিবাহ (যেনা) করা। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২২৭৪)