বিবিসি 29 নভেম্বর 2018 সালের একটি খবরে জানিয়েছে
বিশ্বে সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান 56 তম ।
খবরটির নিম্নরূপঃ
সামরিক খাত নিয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং গবেষণা করে, বিশ্বে সুপরিচিত এমন একটি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে যে সামরিক শক্তির বিচারে বিশ্বের ১৩৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৫৬তম।
তাদের তৈরি তালিকায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৫৭ তম ছিল, তবে চলতি বছরে দেশটি একধাপ উপরে উঠে এসেছে।
সামরিক শক্তি বিচারে সবার উপরে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র, আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার নামের এই গবেষণা সংস্থা এই তালিকা প্রকাশ করেছে। গত ১২ বছর ধরে সংস্থাটি এ ধরণের তালিকা প্রকাশ করছে।
সামরিক শক্তির বিচারে দুই প্রতিবেশী মিয়ানমার এবং ভারত বাংলাদেশের তুলনায় বেশ খানিকটা এগিয়ে আছে।
বিবিসি বাংলায় আরো পড়ুন
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সামরিক শক্তির পার্থক্য কতটা?
কেন নির্বাচন করছেন না ড. কামাল হোসেন
এখন কেন গণফোরামে যোগ দেওয়ার হিড়িক?
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তালিকায় ভারতের অবস্থান পঞ্চম এবং মিয়ানমারের ৩৫তম।
কেবল একটি দেশের সামরিক সরঞ্জামের সংখ্যা দিয়ে এই শক্তিমত্তার বিষয়টি নির্ণয় করা হয়নি। বরং দেশটির সামরিক সরঞ্জাম কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ, সেটিও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদসহ আরো কিছু বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে এই তালিকা তৈরিতে।
সামগ্রিক সামরিক শক্তি পরিমাপের ক্ষেত্রে সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীর শক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার-এর ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাজেট ১৫৯ কোটি মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের মে মাসে সুইডেন-ভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস এন্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিপ্রি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সামরিক ব্যয়ের চিত্র তুলে ধরে।
সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সামরিক খাতে ১২৩ শতাংশ ব্যয় বেড়েছে।
গবেষণা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে সামরিক খাতে ব্যয় ছিল প্রায় ৬,৬০০ কোটি টাকা।
কিন্তু ২০১৭ সালে সামরিক খাতে ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮,৮০০ কোটি টাকা।