শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

যুক্তিবাক্যের সংজ্ঞা সম্পর্কিত আলোচনা বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে করা যায়। যেমন- পদের দিক দিয়ে, অনুমানের দিক দিয়ে এবং অবধারণের দিক দিয়ে। পদের দিক দিয়ে বলতে গেলে, দু’টি পদের মধ্যে কোন সম্পর্কের বর্ণনাকে যুক্তিবাক্য বলে। এ বর্ণনা যেমন স্বীকৃতিমূলক হতে পারে অথবা অস্বীকৃতিমূলক হতে পারে। যেমন- ‘সোনা হয় মূল্যবান।’ এখানে ‘সোনা’ ও ‘মূল্যবান’ দুটো পদের সম্পর্ককে স্বীকার করা হয়েছে। অনুরূপভাবে, ‘পারদ নয় কঠিন’ – যুক্তিবাক্যে ‘পারদ’ ও ‘কঠিন’ দু’টি পদের সম্পর্ককে অস্বীকার করা হয়েছে। কাজেই উভয়কেই যুক্তিবাক্য বলা যায় ।

অনুমানের দিক থেকে বলতে গেলে, অনুমান বা যুক্তিতে ব্যবহৃত প্রতিটি বাক্যকে যুক্তিবাক্য বলা হয়। অথাৎ যুক্তিবাক্য হল অনুমানের একটি অংশ। যেমন- সকল মানুষ হয় মরণশীল রহিমা হয় একজন মানুষ রহিমা হয় মরণশীল। উল্লিখিত যুক্তিতে ব্যবহৃত তিনটি ব্যাক্যের প্রতিটি এক একটি যুক্তিবাক্য। 

অবধারণের দিক দিয়ে যুক্তিবাক্যের সংজ্ঞা দেওয়া যেতে পারে। দু’টি ধারণাকে মনে মনে তুলনা করে পরস্পর যুক্ত করার মানসিক প্রক্রিয়া হল অবধারণ। আর অবধারণ যখন ভাষার মাধ্যমে প্রকাশ পায় তখন তাকে বলে যুক্তিবাক্য। যেমন- সকল শিশু হয় সরল। এক্ষেত্রে ‘শিশু’ ও ‘সরল’ ধারণার সংযোজিত রূপের ভিত্তিতে গঠিত অবধারণ ভাষায় প্রকাশিত হবার ফলে যুক্তিবাক্যে রূপান্তরিত হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ