Jjjj
আপনার প্রশ্ন থেকে বোঝা যায় বিয়েটা হয়েছিল পরিবারের সন্মতিতে এবং মেয়েটি তখন পরিবারের মতামতকে প্রাধণ্য দিয়েই বিয়েটা করেছিল। বিয়ে যেহেতু করেছিল তখন মেয়েটি কেন ছেলেটিকে মেনে নিতে পারছে না? তাহলে কি মেযেটা অন্য কাউকে ভালবাসে? মেয়েটি অন্য কাউকে যদি এখনো ভালবাসে তবে এখন তা অবৈধ্ । যেহেতু মেয়েটির স্বামী আছে । স্বামী থাকতে অন্য কোন পূরুষকে ভালবাসা অন্যায় । স্বামী যদি তার স্ত্রীকে মারধর অত্যাচার করে সেক্ষেত্রে স্ত্রী তালাক চােইতে পারে । প্রশ্নে যেহেতু স্বামীর অন্য কোন অত্যোচারের কথা বলা হয় নাই, বলা হয়েছে জোরপূর্বক শারিরীক মিলন করে।এটাতে স্বামীর অধিকার স্ত্রীর উপর ( তবে যদি কিনা স্ত্রী অসূস্থ থাকে) । স্বামী যদি স্ত্রীকে ডাকে আর স্ত্রী যদি ডাকে সাড়া না দিয়ে অন্য বিছানায় ঘুমায় তার প্রতি আল্লাহর লানদের কথা বলা হয়েছে । তবে হাদিসে বলা হয়েছে স্ত্রী যদি স্বামী থেকে আল্লাহ্র পানাহ চাইলে আল্লাহর নামের তা’যীম করে তাকে তা দেওয়া ওয়াজেব। মহানবী (সঃ) বলেছেন, “কেউ আল্লহর আশ্রয় প্রার্থনা করলে, তাকে আশ্রয় দাও। আর যে আল্লাহ্র নামে যাঞ্চা করবে, তাকে দান কর।”(আবূ দাঊদ, নাসাঈ) তার এক স্ত্রী তার নিকট আল্লাহ্র পানাহ চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি বিশাল সত্তার পানাহ চেয়েছ। সুতরাং তুমি তোমার মায়ের বাড়ী চলে যাও।’ ৫৮৮ (বুখারী ৫২৫৪ নং) এখন বিষয়টি কোন পরিস্থিতির উপর এখন তা দেখার বিষয় । তাই মেয়েটিকে বলবো আপনি ধৈর্য ধরুন এবং বদলা নেওয়া থেকে দূরে থাকুন।বাবা মা চেয়েছেন তাই তাদের পছন্দ মতো বিয়ে দিয়েছেন । এ কথা মেনে নিতে পারলে সুখ শান্তির বাগানে আবার বসন্ত ফিরে আসবে।