১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এর প্রভাবে তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তান এর শাষক গোষ্ঠীর অভ্যন্তরে কিছুটা হলেও প্রতিক্রিয়া হয়।
প্রথমতঃ একমাত্র ভাষা হিসাবে উর্দু কে পূর্ব পাকিস্তানে চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
দ্বিতীয়তঃ ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পাক-ভারত যুদ্ধে "ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট" সাহসিকতাপূর্ন অংশগ্রহনে বাংলা ভাষা পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাথমিক স্কুল এ ঐচ্ছিক ভাষা হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়। পশ্চিম পাকিস্তানের রেডিও - টিভিতে "বাংলা বোলচাল" এরম মত ভাষা শিক্ষা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
তৃতীয়তঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পথিকৃত এই ভাষা আন্দোলন।
চতুর্থতঃ বহু ভাষার দেশ ভারতে র ভাষা ভিত্তিক রাজ্যগুলোকে অধিকতর স্বায়ত্বশাষন প্রদান। যাতে করে ভারতে ভাষা ভিত্তিক আন্দোলন গড়ে না উঠে বা ভাষা ভিত্তিক আন্দোলনের বীজ বপন না হয়, যেটা হলে হয়তো ভারতে ভাষা ভিত্তিক কিছু কিছু রাজ্যে বিচ্ছিন্নতা বাদী আন্দোলন বা স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয়ে কিছু রাজ্য আলাদা বা স্বাধীন হয়ে যেতে দিক নির্দেশনা পেত।