শুধু ভালো লাগার উপর ডিপেন্ড করলে চলবেনা, আপনি কোন ক্ষেত্রে ভালো করতে পারবেন সেটাই মুখ্য বিষয়।
CSE (প্রধান কনসেন্ট্রেশন)- কম্পিউটারের লজিক্যাল গঠন, পোগ্রামিং, অ্যালগরিদম, সিকিউরিটি, অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাটা প্রসেসিং ইত্যাদি।
এছাড়াও অপশনাল হিসেবে সার্কিট ডিজাইন, VLSI ডিজাইন, কন্ট্রোল সিস্টেম, রোবটিক্স ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করা যায়।
EEE (প্রধান কনসেন্ট্রেশন)- ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগনাল প্রসেসিং, সার্কিট ডিজাইন, মাইক্রো-ইলেকট্রনিক্স, ন্যানোটেকনোলজি, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, হার্ডওয়্যার অপারেট করার মতো সীমিত পোগ্রামিং ইত্যাদি।
অপশনাল হিসেবে মেকাট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল মেটেরিয়াল সায়েন্স, VLSI ডিজাইন*, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েব ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা করা যায়।
চাকুরীর বাজারে EEE গ্র্যাজুয়েটদের চাহিদা বাংলাদেশের সাপেক্ষে মোটামুটি সন্তোষজনক হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে এর কাঙ্ক্ষিত গ্রোথ ১%।
অন্যদিকে CSE'র প্রতি স্টুডেন্টদের নির্বিচার আগ্রহের ফলে এর মূল্যায়ন বাংলাদেশে কিঞ্চিৎ কমে গেলেও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ২০২১ সাল নাগাদ এর আনুমানিক জব গ্রোথ ১৩%।
উল্লিখিত ডাটার দিকে তাকিয়ে লাভ নেই, আপনাকে নিজের দক্ষতার উপর নজর দিতে হবে। যদি ভালো করেন, তবে উভয় সাবজেক্ট থেকে বেশ ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। আমার অভিজ্ঞতা অনুসারে, ম্যাক্সিমাম EEE গ্র্যাজুয়েট শেষমেশ তাদের মেইনস্ট্রিম ক্যারিয়ার বাদ দিয়ে পোগ্রামার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে CSE গ্র্যাজুয়েটরা পড়ার চাইতে ২০-২৫ হাজার টাকা বেতনের জব করার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ধূলিসাৎ করে। তাছাড়া বাংলাদেশে CSE কারিকুলাম খুব একটা সন্তোষজনক নয়, ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে নিজের উপর বেশি নির্ভরশীল হতে হয়। যারা সীমিত সিলেবাস অতিক্রম করে বাড়তি কিছু শিখতে পারে তারাই বড় কোনো জব করতে পারে।
তো, সিদ্ধান্ত নিজ দায়িত্বে নিন। আপনিই বলতে পারবেন কোন লাইনে আপনার জন্য সৌভাগ্য অপেক্ষা করছে।
আরেকটি কথা না বললেই নয়, এই বিষয় দুটিতে ক্যালকুলাস, লিনিয়ার আলজেবরা, ম্যাট্রিক্স, ডিসক্রিট ম্যাথম্যাটিকস ও পদার্থের বিভিন্ন ফরমুলা এবং থিওরি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা করা হয়, এগুলোতে দক্ষ না হলে বিপদে পড়বেন।