শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তা জানা নাই কিন্তু এর গুরুত্ব কতটুকু তা দিলাম। . এখন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। শিল্প বিপ্লবের পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ঘটনা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নজিরবিহীন উন্নতির ফলে গোটা বিশ্ব আজ গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দূরকে এনেছে চোখের সামনে, অসাধ্যকে করেছে সাধন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশ্বের সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকা-ের মূল হাতিয়ার। যে জাতি তথ্য- প্রযুক্তিতে যতবেশি দক্ষ তাদের সার্বিক অবস্থাও ততবেশি উন্নত। একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্ব পরিম-লে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল করতে হলে তথ্য-প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। কারণ একবিংশ শতাব্দির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ দুই-ই আবর্তিত হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তিকে ঘিরে। তথ্য-প্রযুক্তিই আগামী দিনে জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে এবং শিক্ষা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করবে। বিশ্বায়নের সমস্ত আঙিনায় তথ্য-প্রযুক্তির বিশাল অবদানের ফলে সম্ভাবনাময় যে নয়া অর্থনীতির আদল গড়ে উঠেছে, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা কতটা প্রস্তুত সে ব্যাপারে পর্যালোচনা করা বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তথ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থাপনা এবং বিতরণের জন্য ব্যবহৃত প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির সমন্বয়কে তথ্য-প্রযুক্তি বলা হয়ে থাকলেও প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের সঙ্গে এটি অত্যন্ত ঘনিষ্টভাবে জড়িত। প্রাথমিক শিক্ষায় শিখন ব্যবস্থায় ডিজিটাল মুদ্রণ ব্যবস্থার বই প্রস্তুত করণে যেসব কালার কমিউনিকেশন করা হয়েছে তা অত্যন্ত চমৎকার। কোমলমতি শিশুদের মনে খুব তাড়াতাড়ি এর রেখাপাত ঘটবে। প্রতিটি বিষয়ের শিখনফল নিশ্চিত করতে হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। সেই ধারা অব্যাহত থাকলেও প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কম্পিউটারের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অর্জন করাসহ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের কৌশল জানতে হবে। শিক্ষকদের এ বিষয়ে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও তাদের আন্তরিকতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। পারস্পারিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও বেগবান করতে হবে। শিক্ষকদের শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট, যেমন শিক্ষক বাতায়ন (িি.িঃবধপযবৎং.মড়া.নফ) ই- বুক (ঊৎৎড়ৎ! ঐুঢ়বৎষরহশ ৎবভবৎবহপব হড়ঃ াধষরফ. গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে শ্রেণি কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। কোনো দেশকে জ্ঞান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্ব পরিম-লে নিজ অবস্থান সুদৃঢ় ও উজ্জ্বল করতে হলে তথ্য- প্রযুক্তি বিকাশের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনি অঙ্গীকার ছিল, তথ্য-প্রযুক্তির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ বিকাশের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন। এই উন্নয়ন সাধন করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থাকে তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলতে হবে। আর সেটা শুরু করতে হবে প্রাথমিক স্তর থেকে। মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কম্পিউটার শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে। সেখানে কম্পিউটার ল্যাব তৈরি হয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্তর শেষ করে তার শিক্ষাজীবন শেষ করে থাকে। সেক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের ধারণা প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্রত নিয়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সরকার তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নে নানা পদক্ষেপের মধ্যে ২০১৩ সালে মাধ্যমিক স্তরে এবং ২০২১ সালে প্রাথমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে আমরা জানি। এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন ও আইসিটি ইনকিউবেটর গড়ে তোলা উচিত। প্রাথমিক স্তরের জন্য তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক স্বতন্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষার কারিকুলামকে যুগোপযোগী ও সর্বাধুনিক করণের জন্য একটি স্থায়ী তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষা বিভাগ গঠন করতে হবে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি অন্যতম একটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমার ধারণা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ