সেটা যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং স্থায়িত্বের
ওপর নির্ভর করবে।
যদি উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু
হয়, তাহলে আমেরিকা মিত্র বাহিনী গঠন
করবে। মিত্রপক্ষে ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স,
দক্ষিণ কোরিয়া
এবং অন্যান্য অনেক দেশ থাকতে পারে।
রাশিয়ার সঙ্গে আমেরিকার পুরনো শত্রুতা
হিসেবে রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান
নিতে পারে। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়ার সঙ্গে
ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালোই। তাই বলা যায় না,
তারা কোন পক্ষে অবস্থান নেয়।
চীন উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়া
স্বাভাবিক। কিন্তু ইদানীং চীনও উত্তর
কোরিয়াকে বেশ একটা সাপোর্ট করছে না।
এছাড়া জাপান থাকতে পারে উত্তর
কোরিয়ার পক্ষে। জাপান থাকলে জার্মানিও
এই দলে আসাটা স্বাভাবিক। কারণ, আমেরিকা
ও ব্রিটেনের সঙ্গে জার্মানির পূর্ব শত্রুতা।
ইরান থাকতে পারে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে।
পাকিস্তানও থাকতে পারে। পাকিস্তান উত্তর
কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নিলে এদিকে আবার
ভারত চলে যাবে আমেরিকার পক্ষে।
মোটকথা, বড় ধরনের একটা ঝামেলা বাঁধবে।
উভয় পক্ষে বেশ কয়েক দেশের পারমাণবিক
বোমা আছে।
একদিকে আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারত, ফ্রান্স...
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, চীন, জাপান
ইরান এবং পাকিস্তান।
.
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খুব কম
দেশেরই পারমাণবিক বোমা ছিল।
তাও এখনকার মতো শক্তিশালী ছিল না।
অথচ তখনই জাপানের দুইটা শহর
পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর বর্তমানে
এত এত দেশের পারমাণবিক বোমা,
রাসায়নিক বোমা এবং শক্তিও অনেক বেশি...
তাই বলা যায়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেলে
পৃথিবীর অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাবে।
এমনকি কয়েকটি দেশ পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে
যেতে পারে। অনেকেই বলছেন, উত্তর
কোরিয়া পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে
যাবে। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী থেকে
সব মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ...
অবস্থা খুবই ভয়াবহ।
.
এগুলো জাস্ট একটা পরিসংখ্যান ও
ধারণা। কিন্তু বাস্তবে কখন কী ঘটে, বলা
যায় না।
১৯১৪ সালে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানজ ফার্ডিনান্ডকে হত্যাই মূলত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করে। ১৯১৪ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানজ ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত...
1 Answers
2520 views
Close ×
ভিডিও কলে পরামর্শ নিতে প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ