তেতুল খেলে শরীরের ক্ষতি হয়-এমন একটা ধারনা চালু আছে বহু দিন ধরে। মুরবিবদের কেউ কেউ বলেন তেতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়। তবে এর আদ্যোপান্ত ঘাটতে গিয়ে সে রকম কিছু পাওয়া যায়নি। বরং জানা যায়,হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী তেতুল। হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুন। তেতুলের কিছু উপকারিতার কথা নিচে তুলে ধরা হলো।
তেতুলের কিছু উপকারিতা :
-
তেতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
-
রক্তে কোলষ্টেরল কমায়।
-
তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে।
-
এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
-
শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেতুল।
-
এতে টারটারিক এ্যাসিড থাকায় খাবার হজমে সহায়তা করে।
-
শরবত করেও খাওয়া যেতে পারে তেতুল।
-
পেটের বায়ূ, হাত-পা জ্বালায় এ শরবত কার্যকর পথ্য।
-
তিন-চার দানা পুরনো তেতুলের এক কাপ রসের সঙ্গে চিনি বা লবন মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ভেষজ চিকিৎসকরা।
-
তেতুল গাছের বাকলেও উপকার আছে। শুকনো বাকলের প্রলেপ ক্ষতাস্থানে লাগালে ক্ষত সারে।
-
বুক ধড়ফর করা, মাথা ঘোরানো ও রক্তের প্রকোপে তেতুল উপকারী।
-
কাচা তেতুল গরম করে আঘাত পাওয়া স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে।
-
পুরনা তেতুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়।
-
পুরনো তেতুল খেলে কাশি সারে।পাকা তেতুল খেলে কাশি সারে।
-
পাকা তেতুলের খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।তেতুলে 1
-
তেতুলে খাদ্যশক্তির পরিমান নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি।
-
আয়ূর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যথিক ওষুধ, তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় তেতুল।
-
তেতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়।
-
মুখে ঘা বা ক্ষত হলে পাকা তেতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।
পুষ্টিগুণ :
তেতুলে ক্যালসিয়ামের পরিমান সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুন বেশি। আয়রনের পরিমান নারিকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুন বেশি। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক পরিমানে আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা তেতুলে মোট খনিজ পদার্থ ২.৯ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ২৮৩ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩.১ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ৬৬.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৭০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১০.৯ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৬০ মাইক্রোগাম ও ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম।
সুত্র : ইন্টারনেট