সাদৃশ্য : পানিবাহিত এবং বায়ুবাহিত রোগ- উভয়েই হল সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে বায়ু বা পানির মাধ্যমে খুব দ্রুত একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। এটাই উভয় রোগের সাদৃশ্য।

বৈসাদৃশ্য : পানিবাহিত ও বায়ুবাহিত উভয়ে সংক্রামক হলে এদের মধ্যে বৈসাদৃশ্য রয়েছে। যেমন-

* পানিবাহিত সংক্রমিত হয় পানির মাধ্যমে। দূষিত পানি পান করলে, দূষিত পানি দিয়ে হাত বা থালা-বাসন ধুলে দূষিত পানির মাধ্যমে এ রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে।

* আবার বিভিন্ন খাবার যেমন- রাস্তার খোলা খাবার, আমড়া, শসা, ফুচকা ইত্যাদির সঙ্গে দূষিত পানির খুব নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সবার অজান্তে এসব খাবারের মধ্য দিয়েও পানিবাহিত রোগ বিস্তার লাভ করে।

অপরদিকে, বায়ুবাহিত রোগের বিস্তার ঘটে দূষিত বায়ুর মাধ্যমে। * বিভিন্ন প্রাণঘাতী বায়ুবাহিত রোগের জীবাণু যেমন- যক্ষ্মা, হাম, বসন্ত, বাতাসের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে খুব দ্রুত অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে।

* আবার বায়ু দূষণের ফলে হাঁচি-কাশি, হাঁপানি, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ বায়ুবাহিত নানা সাধারণ রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। * দূষিত বায়ুর জন্য মানুষের শ্বাসকষ্টও বাড়ছে। চীনের বেইজিং শহরের অধিবাসী পাহাড়ি এলাকা থেকে বিশুদ্ধ বাতাস কিনে তা ব্যবহার করে।

সুতরাং পানি ও বায়ুবাহিত রোগের মধ্যে ওপরের সাদৃশ্য বা মিল এবং অসাদৃশ্য বা অমিল রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ