ডা. লুৎফুর রহমান : অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে বংশগত হৃদরোগ। সাধারণত বয়স ৪০ এর পরে হৃদরোগের ব্যাপারে সচেতন হতে বলা হলেও বংশগত হৃদরোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়সসীমা থাকেনা বলে এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সাবধানতা প্রয়োজন।
সুষম খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ধূমপান পরিহার, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন। কেননা, চর্বির মাত্রা বৃদ্ধিই হৃদযন্ত্রের রক্তনালীর ব্লক ও হার্ট অ্যাটাকের মত মারাতœক জটিলতার সূত্রপাত ঘটায়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যতটা সচেতনতা প্রয়োজন, ঠিক ততটাই সচেতনতা দরকার রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে। সেই সাথে নিয়মিত অর্থাৎ বছরে দুই এক বার কার্ডিয়াক চেক আপ করা আবশ্যক এবং শারীরিক পরিশ্রম যেমন প্রতিদিন ৩০ – ৪০ মিনিট হাঁটার কোন বিকল্প নাই। কোন কোন ক্ষেত্রে রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে শারীরিক পরিশ্রমের সাথে ওষুধ সেবন করতে হতে পারে। রক্তে চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রণই পারে বংশগত হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে।
পরিচিতি : বিভাগীয় প্রধান (কার্ডিয়াক), ল্যাবএইড হাসপাতাল/ মতামত গ্রহণ : মো.এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
তথ্যসূত্র: amadershomoy.com
Published: 11, August 2018.