টেস্ট খেলায় নিম্নবর্ণিত ছয় ধরনের ফলাফলের যে-কোন একটি হতে পারে:
১. চারটি ইনিংসের সব কয়টি সম্পন্ন হলে - চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংকারী দল প্রতিপক্ষের রান সংখ্যা অতিক্রমের পূর্বেই অল-আউট হলে তৃতীয় ইনিংসে ব্যাটিংকারী ‘ক দল’ রান পার্থক্যের কারণে বিজয়ী হবে। যেমন: ‘ক দল’ ৫৮ রানে বিজয়ী হয়েছে। অত্যন্ত দূর্লভ ঘটনা হিসেবে দুই সহস্রাধিক টেস্টে মাত্র দুইবার উভয় দলের রান সংখ্যা সমান হয়ে টাইয়ে পরিণত হয়েছে।
২. চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংকারী দল কোন কারণে প্রতিপক্ষের সর্বমোট রানের সংগ্রহকে ছাঁপিয়ে গেলে - খেলাটি শেষ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে চতুর্থ ইনংসে ব্যাটিংকারী দলের উইকেট পতনের পর যে কয়টি উইকেট অবশিষ্ট থাকবে তা জয়ের মানদণ্ড হবে। যেমন: ‘খ দল’ নয় উইকেটে জয়ী হয়েছে।
৩. তৃতীয় ইনিংসে কোন দল দুইবার ব্যাটিং করার পরও প্রতিপক্ষের একবার ইনিংসে সংগৃহীত রানের চেয়েও কম সংগ্রহ করলে - চতুর্থ ইনিংসের খেলা ছাড়াই শেষ হয়ে যাবে। একবার ব্যাটিংকারী দলকে ইনিংসসহ প্রতিপক্ষের দুই ইনিংসে সংগৃহীত রানের সাথে ব্যবধান করে জয় নির্ধারণ করা হবে। যেমন: ‘খ দল’ ইনিংস ও ২৯৩ রানের ব্যবধানে জয়ী। অথবা, ‘ক দল’ ইনিংস ও ২০৩ রানে বিজয়ী।
৪. সময়ের অভাবে খেলায় ফলাফল না আসা’র বিষয়টি স্বাভাবিক ঘটনারূপে বিবেচিত। খেলার শেষদিনে এটি হয়ে থাকে ও ফলাফল ড্র আকারে উল্লেখ করা হয়। এ ফলাফলে কোন দলকেই বিজয়ীরূপে ঘোষণা করা হয় না। খেলাটিতে কোন দল ভালো অবস্থানে ছিল তা বিবেচ্য বিষয় নয়। ড্র হবার ক্ষেত্রে বৃষ্টি প্রধান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আবহাওয়ার এ প্রভাব ছাড়াও কোন দলের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীর কারণেও এটি হতে পারে।
৫. মাঠ খেলার অনুপযোগী হলে খেলাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এ ধরনের ঘটনা তিনবার হয়েছে। ১৯৭৫ সালে লিডসের হেডিংলিতে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলাটি ভাংচুর ও মারামারিতে পরিত্যক্ত হয়। ১৯৯৮ সালে জ্যামাইকার কিংস্টনের সাবিনা পার্কে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলাটি বিপজ্জ্বনক মাঠ হিসেব ঘোষণা করা হয়। ২০০৯ সালে অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বিপজ্জ্বনক মাঠরূপে ঘোষণা করে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
৬. অপারগতা প্রকাশের মাধ্যমে খেলার ফলাফল প্রদান। কোন একটি দল খেলার মাঠে প্রবেশ করতে ও খেলতে অপারগতা প্রকাশ করলে আম্পায়ারদ্বয় প্রতিপক্ষকে খেলায় বিজয়ীরূপে ঘোষণা করবেন। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একবারই এ জাতীয় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ২০০৬ সালে পাকিস্তান দল ইংল্যান্ড গমন করে। ওভালে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে বলে ক্ষত সৃষ্টির বিতর্কে পাকিস্তান দল জড়িয়ে পড়ে।