শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
manik

Call

চমকপ্রদ মহাশূণ্যে আলোকীয় বস্তুই বেশি । তাই অবশ্যই এর শ্রেণীবিভাগ থাকবে । সাধারণত আমরা একটা তারাকে যতটা উজ্জ্বল মনেকরি সেটাকে 'অ্যপারেন্ট ব্রাইটনেস' বলে । আর উজ্জ্বল্য তারাদের একসাথে যে উজ্জ্বলময় মনে হয় সেটাকে ধ্রুব প্রভা বা 'অ্যাবসোলুইট ব্রাইটনেস' বলে । তবে উজ্জ্বল্যতা সম্পর্কে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৩০ অব্দে ১০০০টি তারার প্রভা মেপেছিলেন হিপ্পারকাস ।তিনি তারাগুলোকে অ্যাপারেন্ট ব্রাইটনেস অনুসারে ৬টি শ্রেণীতে ভাগ করেন । সর্বোচ্চ উজ্জ্বল , এর চেয়ে কম উজ্জ্বল , এর চেয়ে কম উজ্জ্বল একটা পর্যায়ক্রমিক প্রভার শ্রেণীবিন্যাস তৈরী করেছিলেন ।পরবর্তিতে শ্রেণী বিন্যাসকে সাজান একটু ভিন্ন মানের মাধ্যমে ।উজ্জ্বল তারার প্রভা স্থির করা হয় ০.০ (শূণ্য) । বেশি প্রভাময় তারাকে ঋনাত্মক মান পাই । যেমন , সূর্যের উজ্জ্বল্যতা -26.5 প্রভা , চাঁদের প্রভা -12.5, অভিজিৎ বা ভেগার প্রভা 0. ।চিত্রা বা স্পাইকার প্রভা 1.0 । আর সবচেয়ে প্রভাময় তারা লুব্ধক বা সিরিয়াসের প্রভা -1.4 । আর দ্বিতীয় প্রভাময় তারা অগস্ত্য বা ক্যানোপাসের প্রভা -0.7 । তারার আলোক বর্ণালী ছট্টার উপর ভিক্তি করেও এর শ্রেণী বিন্যাসও আছে ।এদের স্পেকট্রামের অবস্থা দেখেই আমরা তারাটির বায়ুমণ্ডল , উপরপৃষ্ঠ , ভেতর অংশের বিবরণ জানা সম্ভব । সবচেয়ে গরম তারাগুলোকে বিন্যস্ত করা হয় O Class এ । এগুলোর তাপমাত্রা 40000 কেলভিন বা তার বেশি । এদের রং নীলতম । তারপরের শ্রেণীটার নাম B Class, এদের তাপমাত্রা 18000 কেলভিন ও রং নীলাভ । এরপরবর্তী A Class তারা । এদের তাপমাত্রা 10000 কেলভিন এবং রং নীলাভ সাদা । পরবর্তী F Class তারা রয়েছে । এদের মধ্যাকার তাপমাত্রা 7000 কেলভিন এবং রং সাদা । G Class তারাদের তাপমাত্রা 5500 এবং এদের রং হলদে সাদা । পরে K Class তারার স্থান । এদের তাপমাত্রা 4000 কেলভিন ও রং কমলা । সর্বশেষ M Class তারাদের মধ্যাকার তাপমাত্রা 3000 কেলভিন এবং এগুলো সবচেয়ে লাল । মহাবিশ্বের 99% তারায় M Class এর ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ