Unknown

Call

জাতীয় সংসদের ৩০০ জন সদস্যের প্রত্যেকে এক একটি নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যে কোনো নির্বাচনী এলাকা থেকে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে মহিলাদের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিধান রয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রণীত আদি সংবিধানে জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য অতিরিক্ত ১৫ টি আসন ১০ বছর মেয়াদে সংরক্ষিত ছিল। ৩০০ সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যগণ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ জন এবং  সংরক্ষণের সময়সীমা ১৫ বছর করা হয়। এ সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য কোনো সংরক্ষিত আসন ছিল না। ১৯৯০ সালে সংবিধানের দশম সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলাদের জন্য  পরবর্তী ১০ বছর মেয়াদে ৩০টি আসন সংরক্ষিত রাখা হয়। মহিলাদের এই  সংরক্ষিত  আসনের মেয়াদ ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়। এরপর ২০০৪ সালের ১৭ মে গৃহীত সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন ২০০৪ অনুযায়ী সংসদে মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে এ সংখ্যা ৪৫-এ উন্নীত করা হয়। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে (২০১১) মহিলা আসন সংখ্যা ৫০ করা হয়। তবে সাধারণ আসনেও মহিলাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিধান প্রচলিত আছে।

সংসদ নির্বাচনের পর সংসদ-সদস্যদের শপথ গ্রহণ করতে হয়। সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে নববই দিনের মধ্যে কিংবা স্পীকার কর্তৃক যথার্থ কারণে বর্ধিত তারিখের মধ্যে সংসদ-সদস্য যদি শপথ গ্রহণ ও শপথপত্রে স্বাক্ষর না করেন কিংবা অনুরূপ ঘোষণা বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না করেন, তবে তাঁর সদস্যপদ বাতিল বলে গণ্য হয়। সংসদের অনুমতি না নিয়ে কোনো সদস্য একাদিক্রমে নববই দিন অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকলে তাঁর আসন শূণ্য হয়ে যায়। কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে সকল সদস্যের আসন শূণ্য হয়। সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী অনুসারে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্য দল ত্যাগ করতে পারেন না। সংবিধানের ৭০(১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি যদি সেই দল থেকে পদত্যাগ করেন বা দলের  বিপক্ষে ভোট দেন অথবা দলের নির্দেশ অমান্য করে সংসদে অনুপস্থিত থাকেন বা ভোটদানে বিরত থাকেন, তবে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। কোনো সদস্য স্বতন্ত্র র্প্রাথী হিসেবে নির্বাচিত হলে তিনি যেকোনো দলে যোগ দিতে পারেন। তবে একবার কোনো দলে যোগ দিলে তিনি আর দল ত্যাগ করতে পারেন না। কোনো ব্যক্তি সংসদের একাধিক আসনের জন্য প্রার্থী হতে পারেন। একাধিক আসনে জয়লাভ করলেও কেবল একটি আসনেই তাঁর প্রতিনিধিত্ব করার বিধান আছে এবং শূণ্য আসন পূরণের জন্য উপ-নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ