আমাদের শরীরের ভেতরের ও বাইরের প্রতিটি অংগ-প্রত্যঙ্গেরই নির্দিষ্ট কিছু কাজ রয়েছে। যখন আমাদের মন খারাপ হয় বা কোন কিছু নিয়ে আমরা অনেক বেশি বিষণ্ণ হই, তখন আমাদের শরীর ও মস্তিষ্ক-দুটোকেই অতিরিক্ত কাজ করতে হয়। আর এই অতিরিক্ত কাজ করার সময় বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ ও হরমোন নিঃসৃত হয়। কিন্তু এগুলো আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নয়। তখন শরীরকে এমন কিছু ব্যবস্থা করতে হয়, যেন এই অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ও হরমোন শরীর থেকে বাইরে চলে যায়। আর আমাদের শরীর চোখের পানির মাধ্যমেই এই কাজটি করে থাকে।
যখন চোখের পানির মাধ্যমে এসব রাসায়নিক পদার্থ ও হরমোন শরীর থেকে বাইরে চলে যায়, তখন আমাদের দুঃখ বা বেদনাবোধের তীব্রতাও ধীরে ধীরে কমে আসে। এজন্যই অনেকক্ষণ কাঁদার পর মানুষ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
কান্না-কাটি নিয়ে মজার কিছু তথ্য
(১) স্বাভাবিকভাবে মেয়ে শিশুদের চেয়ে ছেলে শিশুরা বেশি কাঁদে।
(২) অনেক দেশে ছেলেদের কাঁদা বারণ। কারণ এটিকে তাদের দুর্বলতা বলে ধরা হয়।
(৩) আবার অনেক দেশে ছেলে বা মেয়েকে প্রকাশ্যে কান্না-কাটি করতে বারণ করা হয়। কারণ, এতে পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়।
(৪) কখনো কখনো আমরা হাসতে হাসতে কেঁদে ফেলি, আবার কাঁদতে কাঁদতে হেসে দিই।