শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

চাষের সময় সমতল অঞ্চলে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর ও পাহাড়ি এলাকায় মার্চ থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বোনা যায়। গাজর বীজ থেকে অঙ্গুর বের হতে ৭-১০ দিন সময় লাগে।   জমি তৈরি ১. গাজরের শেকড় মাটির বেশ ভেতরে প্রবেশ করে; তাই জমি ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি গভীর করে চাষ দিতে হবে। ২. ৪ থেকে ৫টি চাষ ও মই দিয়ে জমি ভালোভাবে তৈরি করতে হবে। ৩. জমির ঢেলা ভেঙ্গে মাটি ঝরঝরে করতে হবে। ৪. জমিতে ৮-১০ ইঞ্চি দূরে দূরে সারি তৈরি করতে হবে।   সার প্রয়োগ কৃষকদের মতে গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে গাজর চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদি স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।   বীজের পরিমাণ একরে বীজ লাগবে দেড় থেকে ২ কেজি। বীজ বোনার ৮০-৯০ দিন পর প্রথম ফসল ওঠে। ২০×১০ সেন্টিমিটার দূরত্ব গাছ থাকবে।   পরিচর্যা ১. ঘন চারা গাছগুলো নিড়ানি দিয়ে বা চক্রবিদ্যা চালিয়ে গাছ পাতলা করে দিতে হবে। গাজর চাষে আগাছানাশক ওষুধ কার্যকরী। শুষ্ক ও বেশি আর্দ্র ২ রকম জমিই গাজর চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক। কাজেই জমিতে পানির চাহিদা বুঝে সেচ দিতে হবে। ২. চারা গজানোর ৮-১০ দিন পর ৪ ইঞ্চি দূরে দূরে একটি করে সবল চারা রেখে বাকী চারাগুলো তুলে ফেলতে হবে। ৩. জমিতে আগাছা থাকলে পোকামাকড়, রোগ জীবাণু ও ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হয়। তাই জমিতে আগাছা জন্মালে তা তুলে ফেলতে হবে।   রোগ বালাই গাজরের হলুদ ভাইরাস রোগ গাজরে খুব একটা রোগ বালাই ও পোকামাকড় দেখা যায় না। তবে অনেক সময় লীফ হপার পোকার মাধ্যমে গাজরে হলুদ ভাইরাস রোগ দেখা যায়। এর আক্রমণে গাজরের ছোট বা কচি পাতাগুলো হলুদ হয়ে কুঁকড়িয়ে যায়। পাতার পাশের ডগাগুলো হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ