শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

মনে করুন রাস্তায় যানজট৷ কিন্তু তাতে কি গন্তব্যে পৌঁছানো আটকায়? অলি–গলি খুঁজে আমরা ঠিক পৌঁছে যাই৷ প্রকৃতিও তাই করে৷ ইসকিমিক হৃদরোগের ফলে হার্টের প্রধান ধমনীগুলো যখন বন্ধ হতে শুরু করে তার আশপাশে সরু সরু যে ধমনী আছে (কোল্যাটারালস), যারা এমনিতে তেমন কোনও কাজ করে না, তাদের জাগিয়ে তুলতে শুরু করে সে৷ চওড়া ও রক্তের ঘাত বহন করার ক্ষেত্রে সক্ষম হতে শুরু করে তারা। যাতে রক্ত চলাচলে সুবিধা হয়৷ ফলে রক্তের অভাবে হার্টের যে পেশী ক্লান্ত হয়ে পড়ছিল, সামান্য কাজেই বুকে ব্যথা হচ্ছিল, তার পুনরুজ্জীবন শুরু হয়৷ হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোল্যাটারালরা একযোগে নেমে পড়লে ইসকিমিয়া জনিত বুকে ব্যথার প্রকোপ কমে, হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা কম থাকে ও ক্ষতি কম হয়৷ চিকিৎসার জন্য বেশ খানিকটা অতিরিক্ত সময় হাতে পাওয়া যায়৷

২০০৮ সালে ‘হার্ভার্ড হার্ট লেটার’-এ প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানালেন সপ্তাহে ৫–৭ দিন কম করে ২০–৩০ মিনিট ঘাম ঝড়ানো ব্যায়াম করলে, এমন ব্যায়াম যাতে হার্টকে তার সক্ষমতার সীমা অতিক্রম করতে হয়, তবে গিয়ে এ কাজ সম্ভব৷ তার জন্য এমন গতিতে হাঁটতে হয় যাতে ঠাণ্ডার মধ্যেও অল্প ঘাম হয় ও হাঁপিয়ে হলেও দু’–চারটা কথা বলা যায়৷ এই গতিবেগ ধরে রাখতে হয় কম করে ২০–৩০ মিনিট৷ তার পর আস্তে আস্তে কমাতে হয় গতি৷ যারা সাঁতার কাটেন, সাইকেল চালান, ঘাম ঝড়ানো খেলাধুলা করেন বা নাচেন, তারাও যদি ২০–৩০ মিনিট এভাবে হার্টরেট ধরে রাখতে পারেন, কাজ হয়৷

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্ট ভাল রাখতে নিয়ন্ত্রিত ব্যায়াম করা দরকার৷  কিন্তু শুধু ব্যায়ামেই সব হবে এমন নয়৷ মানুষের হার্টের গঠন ও কার্যপদ্ধতি এতই জটিল যে তার আচরণের ব্যখ্যা সব সময় পাওয়া যায় না৷ একজনের রোগ হয়ত ওষুধ, নিয়ম ও ব্যায়ামে বশে থাকে, সেই একই রোগে আর একজনের অপারশেন লাগে৷ আর কোল্যাটারালরা হাত–পায়ের রক্ত সংবাহনের ক্ষেত্রে যে রকম সক্রিয় ভূমিকা নেয়, হার্টে সব সময় তা হয় না৷ কাজেই খুব বুঝেশুনে পা ফেলা উচিত৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ