দাঁতের ক্ষয় হওয়া নিয়ে অনেকেরই চিন্তার অবকাশ নেই। তবে বড়দের সহ অনেক কম বয়সের ছোট বাচ্চাদের অতি তাড়াতাড়ী দাঁতের ক্ষয় দেখা যায়। দাঁত ভালো রাখার ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেক দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে খাওয়ার পর, ঘুমানোর পূর্বে দাঁত ব্রাশ করা অনেক জরুরি, এই কথাটি সকলেরেই ভালোভাবে জানা রয়েছে। কিন্তু জেনে থাকা স্বত্বেও প্রত্যেক রাতে দাঁত ব্রাশ করা প্রয়োজন মনে করি না। সেই জন্য দিনে দিনে দাঁতের ক্ষয় হওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মাড়িতে ব্যথা হওয়ার কারণে মাড়ি ফুলে গিয়ে নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি হয়। দাঁতের ক্ষয় রোধ থেকে বাঁচতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে দাঁতের ক্ষয় রোধ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ঘরোয়া উপায়ে দাঁতের ক্ষয়রোধ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।



দাঁতের ক্ষয় রোধের ঔষধ
অনেক ভেষজে তৈরিকৃত আয়ুর্বেদিক টুথপেস্ট রয়েছে। যা দাঁতের সকল প্রকার ক্ষয় বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি কাজ করে। রাসায়নিক উপাদান এর পরিমাণ কম থাকে সেরকম টুথপোস্ট ব্যবহার করা। শাক সবজি খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন মালটা, আঙ্গুর, পেঁপে, লেবু, আনারস এবং বাদাম সহ চর্বি জাতীয় প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যুক্ত রাখুন।


দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়: ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার খাওয়া দাঁতের জন্য অনেক উপকারি। এসব খাবারে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট সলিউবল প্রকৃতি দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে অনেক সাহায্য করে। হলুদে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জীবাণু ধ্বংস করে। দাঁতের ক্ষয় রোধের জন্য হলুদ গুড়ার সাথে অল্প পরিমাণে গরম পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে ক্ষয় হওয়া আক্রান্ত দাঁতের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। পুরো এক গ্লাস অল্প গরম পানিতে এক চামুচ লবণ (পরিমাণ মত) মিশিয়ে কুলকুচি করুন। লবণ যুক্ত পানি মুখে এক মিনিট ধরে রাখুন।



কি খেলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে দাঁত ও মাড়ি শক্ত হয়। দুধে থাকা ক্যাসেইন যা মুখের ক্ষরীয়ভাব দুর করে। পনি ও দুধ-জাতীয় উন্নত খাবার যা মুখে লালা তৈরী করে এবং মুখ, দাঁত পরিষ্কার রাখে। উচ্চ আঁশ জাতীয় ভিটামিন সবজী ও ফল ভালো ভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। আঁশ জাতীয় খাবার খেলে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকে। যে সকল সবজী ও ফল এ ভিটামিন ও খনিজ থাকায় যা শরীরের জন্য অনেক ভালো রাখে এবং অনেক রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

কাঁচা পেঁয়াজ খেলে দাঁত এবং মাড়ি প্রাকৃতিক ভাবে ভালো থাকে। কাঁচা পেঁয়াজের গন্ধ মন্দ হলেও তা নিয়মিত খেলে মুখের অনেক ব্যাক্টেরিয়ার ধ্বংস করতে সহায়তা করে। দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখতে অনেক সাহায্য করে। কাঁচা পেঁয়াজ দাঁত সুস্থ্য রাখতে খুব ভালো এ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ।

যে কোন খাওয়ার ফলে দাঁতের বিভিন্ন অংশে খাবার আটকে থাকে এবং দীর্ঘ সময় খাবার আটকে থাকার ফলে ব্যাক্টেরিয়ায় সৃষ্টি হয়। সঠিক পরিমাণে পানি পান করলে আটকে থাকা খাবার দূর হয়ে যায় এবং দাঁত ক্ষয় হওয়া থেকে সংক্রমণের সৃষ্টি হয় না। খাওয়ার পরে কুলকুচি করে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। পানি কুলকুচি দাঁতের জন্য প্রাকৃতিক পরিষ্কার। মিষ্টি পানি যেমন, চা অথবা কফি খাওয়ার পর কুলকুচি করা প্রয়োজন তা না হলে দাঁতের ক্ষতি বৃদ্ধি পেতে আরো...


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে