আসমা বিনতে আবুবকর (রা.)-এর উপাধি 'যাতুন নিত্বাক্বাইন' কখন দেওয়া হয়েছিল?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Ayesha

Call

আবু বকর (রা.) এর পরিবার ইতিহাসের অন্যতম বিস্ময়; এক বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী। আবু বকর (রা.) এর চার প্রজন্ম তথা তিনি, তার বাবা আবু কোহাফা, তার ছেলে আবদুর রহমান ও তার নাতি আবু আতিক মুহাম্মাদ সবাই রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সাহাবি ছিলেন। এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী আর কোনো পরিবার ইতিহাসে পাওয়া যায় না। এ পরিবারেরই অন্যতম সদস্য হলেন আবু বকর তনয়া আসমা (রা.)। (আল ইসাবাহ ফি তামইয়িজিস সাহাবাহ : ৬/২৫০)। বিখ্যাত লেখক, গবেষক ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা বলেন, ‘এ সৌভাগ্যবান সাহাবিয়ার পরিচয় প্রদানে এতটুকুই যথেষ্ট যে, তাঁর পিতা আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ছিলেন রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে হিজরতকারী ও ইসলামের প্রথম খলিফা। মা কুতাইলা বিনতু আবদিল উয্যা। পিতামহ আবু বকরের বাবা সাহাবি আবু কুহাফা বা আবু আতীক। উম্মুল মোমিনিন আয়েশা (রা.) তার বোন। রাসুলুল্লাহর (সা.) হাওয়ারি বিশেষ সাহায্যকারী যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা.) তার স্বামী ও সত্য এবং ন্যায়ের পথে শহীদ আবদুল্লাহ ইবন যুবাইর তার ছেলে। হিজরতের ২৭ বছর আগে ৫৯৫ হিজরিতে মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন। ইসলামের প্রথম যুগে ঈমান আনয়নকারীদের মধ্যে তিনি আঠারোতম ব্যক্তি।’ (সুওয়ারুম মিন হায়াতিস সাহাবিয়াহ : ১/৪৭)। তাকে জাতুন-নিতাকাইন বা দুটি কোমর বন্ধনীর অধিকারিণী বলা হয়। কারণ, মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সময় তিনি রাসুল (সা.) ও তার বাবার জন্য থলিতে পাথেয় ও মশকে পানি গুছিয়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার মুখ বাঁধার জন্য ধারেকাছে কোনো রশি খুঁজে পেলেন না। অবশেষে নিজের কোমরের নিতাক বা বন্ধনী খুলে দু-টুকরো করে একটি দ্বারা থলি ও অন্যটি দ্বারা মশকের মুখ বেঁধে দেন। এ দেখে রাসুল (সা.) তার জন্য দোয়া করেন, আল্লাহ যেন এর বিনিময়ে জান্নাতে তাকে দুটি ‘নিতাক’ দান করেন। এভাবে তিনি ‘জাতুন নিতাকাইন’ উপাধি লাভ করেন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ২/২৯০-২৯১, তাবাকাত ৮/২৫০)। তথ্যসূত্র : অালোকিত বাংলাদেশ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ