শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শ্রী চৈতন্যদেব ১৪৮৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি  জন্ম গ্রহণ করেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কোন অমুসলিম কোনদিন বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবো না। একমাত্র আল্লাহপাকের মনোনীত দ্বীন গ্রহণ না করলে কাউরে বেহেশতের চাবি দেয়া হইবো না। 


ইসলামই হইলো সেই মনোনীত দ্বীন, একমাত্র সত্য ধর্ম। 

বাদবাকি সব মিথ্যা। যারা মিথ্যা ধর্ম পালন করে তাদের উপরে আল্লাহপাকের লানত।


 আল্লাহপাক তাদের কঠোর শাস্তি দিবেন। অনন্তকাল দোজখের আগুনে পুড়াইবেন। সেইখানে নানান জাতের শাস্তি। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বিধর্মীরা জান্নাত যেতে পারবে না। এমন কিছু লোক আছেন যারা মুসলিমদের মাঝে ছিলেন, ইসলামের কথা শুনেছেন, ইসলাম সম্পর্কে জানা তাদের জন্য সহজ ছিলো, এরপরও তারা ইসলাম সম্পর্কে অনুসন্ধান করেননি ও মুসলিম হয়নি। তাদের জন্য জাহান্নামই নির্ধারিত থাকবে।

কুরআনের সূরা আলে ইমরানে (৩:৮৫) নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে, ইসলাম ছাড়া অন্য বিধান গ্রহণ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। যদিও বিধর্মীরা বহু প্রকারের সৎকাজ করে থাকেন। এ সকল ভালো কাজের কারণে পরকালে পুরস্কার হিসাবে জান্নাত পাবে না।

আল্লাহ কুরআনে বলেন: “যারা আল্লাহর দ্বীন গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে তাদের দৃষ্টান্ত এরূপ যে, তাদের সৎকাজগুলো হবে ভস্মস্তূপের মতো। ঝড়-ঝঞ্ঝার দিনে প্রচণ্ড বায়ু বেগে সে ভস্মস্তূপ যেমন শূন্যে উড়ে যাবে, ঠিক সে সৎকাজগুলোর কোনো অংশেরই তারা লাভ করবে না। কারণ আল্লাহর দ্বীনের প্রতি অবিশ্বাস তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে বহু দূরে নিয়ে গিয়েছিলো।” (১৪/সূরা ইবরাহীম:১৮)।

অর্থাৎ যারা আপন প্রভু আল্লাহর সাথে অবাধ্যতা ও পাপাচারের আচরণ করেছে এবং দাসত্ব-আনুগত্য ও ইবাদাত-বন্দেগীর সেসব পন্থা অবলম্বন করতে অস্বীকার করেছে- যার আহ্বান নিয়ে এসেছিলেন আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম (নবীগণ), তাদের জীবনের পরিপূর্ণ কার্যকলাপ এবং সারা জীবনের কাজ ও চরিত্রের মূলধন অবশেষে এমন ব্যর্থ ও অর্থহীন হয়ে পড়বে, যেনো একটা বিরাট ভস্মস্তূপ ধীরে ধীরে জমে উঠে পাহাড় পর্বতের আকার ধারন করেছে; কিন্তু একটি দিনের প্রচণ্ড বায়ুতে তার প্রতিটি ভস্মকণা শূন্যে বিলীন হয়ে যাবে। তাদের প্রতারণামূলক সুন্দর সভ্যতা ও কৃষ্টি-কালচার তাদের বিস্ময়কর শিল্পকলা ও স্থাপত্য শিল্প, বিরাট বিরাট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ললিতকলা, প্রভৃতি অনন্ত সম্ভার এমন কি তাদের উপাসনা-আরাধনা, প্রকাশ্য সৎকাজগুলো, দান-খয়ারত ও জনহিতকর কার্যাবলী একটা বিরাট ভস্মস্তূপ বলেই প্রমাণিত হবে। তাদের এসব গর্ব অহংকারের ক্রিয়াকলাপ আখেরাতের বিচার দিনে বিচারের দাঁড়িপাল্লায় কোনো ওজন বা গুরুত্বের অধিকারী হবে না।

আল্লাহ আরও বলেন: “তোমাদের মধ্যে যারা দ্বীন ইসলাম থেকে ফিরে যাবে এবং কুফরী (বা অবাধ্যতার) অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের সকল সৎকাজগুলো বিনষ্ট হয়ে যাবে। তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী এবং তারা (সেখানে) থাকবে চিরকাল।” (২/সূরা আল বাকারাহ:২১৭)

যুক্তিসঙ্গত কারণেই ইসলাম সৎ কাজ গৃহীত হওয়ার জন্য ঈমান (বা বিশ্বাসকে) কে শর্ত বলে নির্ধারণ করেছে। আল্লাহ বলেন, এবং যে সৎ কাজ করবে, সে পুরুষ হোক অথবা নারী, তবে যদি সে মুমিন (বা বিশ্বাসী) হয়, তাহলে এসব লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কণামাত্র জুলুম করা হবে না। (৪/সূরা আন নিসা:১২৪)

যে ব্যক্তিই সৎ কাজ করবে- সে পুরুষ হোক বা নারী হোক- তবে শর্ত এই যে, সে মুমিন হবে- তাহলে দুনিয়াতে তাকে পূত-পবিত্র জীবনযাপন করাবো এবং (আখিরাতে) এমন লোকদের আমাল (বা কাজ) অনুযায়ী উৎকৃষ্ট প্রতিদান দেবো।” (১৬/সূরা আন নাহল:৯৭)

এবং যে সৎ আমাল করবে- পুরুষ হোক বা নারী হোক যদি মুমিন হয়, তাহলে এমন লোক সকলেই জান্নাতে প্রবেশ করবে যেখানে তাদেরকে অগণিত জীবিকা সম্ভার দান করা হবে।” (৪০/সূরা আল মুমিন:৪০)

উপরিউক্ত আয়াতগুলোতে সৎ কাজের জন্যে পুরষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেক বারেই এ শর্ত আরোপ করা হয়েছে যে, সৎ কাজ সম্পাদনকারীকে অবশ্যই মুমিন হতে হবে। ইসলামী বুনিয়াদী আকীদাগুলোর প্রতি ঈমান আনার পরই সৎ কাজের পুরষ্কার পাওয়া যাবে। অর্থাৎ, ঈমান হলো সৎ কাজ গৃহীত হবার পূর্বশর্ত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ