শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ওযুর সহিত মাসজিদে প্রবেশ করিলে, কারো সাথে কথাবার্তা না বলে বসার পূর্বে দুই রাক'আত নামাজ পড়া সুন্নাত। ইহাকে 'দুখুলুল মাসজিদ' বলে। এই নামাজদ্বয় জুম'আর দিনের জন্যে খাছ নয়। সবদিনেই পড়া যায় এবং সবাই পড়িতে পারে। সহীহ হাদীসে এই নামাজের অনেক ফযীলতের কথা উল্লেখ হয়েছে।

'তাহিয়্যাতুল মসজিদ' নামাজের নিয়তঃ

বাংলা নিয়তঃ"আমি দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল মসজিদের' নামাজ আদায় করছি।'নোটঃআরবীতে কিংবা বাংলায় মুখে উচ্চারণ করা জরুরী নয়, বরং যে কোনো ভাষায় মনে মনে নিয়ত করাই যথেষ্ট।

নামাজ পড়ার নিয়ম সাধারণ সুন্নাত ও নফল নামাজের ন্যায় যেকোন সূরা-কিরাত দ্বারা ' তাহিয়্যাতুল মাসজিদ'-এর নামাজ আদায় করা যায়। উভয় রাকাআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলাতে হবে এবং আখেরী বৈঠক আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা সব পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।

'তাহিয়্যাতুল মসজিদ' সম্পর্কে কতিপয় মাসায়েল

কেউ কেউ মনে করেন যে, মাসজিদে প্রবেশ করে প্রথমে একটু বসে তারপর উঠে এই নামাজ পড়তে হয়। কিন্তু তাদের এই ধারণা ঠিক নয়। কেননা নিয়ম হলো বসার পূর্বেই আদায় করা। এর দ্বারা সাওয়াবও বেশী হয়। তবে কিছুক্ষণ বসার পরেও পড়া যায়। কিন্তু এর দ্বারা সাওয়াব কম হয়।

সময় কম হলে করণীয়

যদি কোন ব্যক্তি মাসজিদে প্রবেশ করে দেখে যে, সময় বেশী নেই। এখনর "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" পড়তে গেলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়া যাবে না কিংবা ফরয নামাজ ছুটে যাবে, তাহলে সে তখন "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" পড়বে না; বরং সুন্নাত বা ফরজ নামাজ আদায় করবে এবং সুন্নাত বা ফরয নামাজের মধ্যেই "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" - এর নিয়ত করবে। ইনশাআল্লাহ, এর দ্বারা সুন্নাত এবং ফরয আদায়ের সাথে সাথে "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" এর সাওয়াবও লাভ হবে।(আহকামে যিন্দেগী)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ