ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ এমন একটি খাদ্য, যা আমাদের নিকট সুস্বাদু তো বটেই, পাশাপাশি সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও খুবই কার্যকর। ডিমের সাদা অংশ ভিটামিন বি সমৃদ্ধ এবং কোলেস্টেরল মুক্ত। এছাড়াও ডিমের সাদা অংশ খাওয়ার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা, চলুন জেনে নেওয়া যাক, ডিমের সাদা অংশের উপকারিতা সম্পর্কিত কিছু তথ্যাদি -
দুর্বল হাড়ের পক্ষে উপকারী- ডিমের সাদা অংশ ক্যালসিয়ামে ভরপুর। এটি আপনার হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সহায়তা করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে আপনি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। এছাড়াও অস্টিওপোরোসিস, রিকেটস ও হাড়ের নানান গুরুতর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ডিমের এই সাদা অংশ।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে- রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যার জন্য ডিমের সাদা অংশ খুব উপকারী। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে, যা আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে পটাসিয়াম থাকে যা হৃৎযন্ত্রের সমস্যাগুলি থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় উপকারী- রক্তচাপ বেশি থাকলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা আপনার রক্তচাপের স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্লান্তি কাটাতে সহায়ক ডিম- ডিমের সাদা অংশ খেলে দেহে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়। যদি আপনি মাথা ঘোরা বা ক্লান্ত বোধ করার মতো সমস্যায় ভোগেন তবে দিনে একটি করে ডিম খান। ম্যাগনেসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ সমৃদ্ধ এই খাদ্য আপনার শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করবে।
পেশীর জন্য উপকারী- ডিমের সাদা অংশকে প্রোটিনের 'পাওয়ার হাউস' বলা হয়ে থাকে। ফলে মজবুত পেশী গঠনে সহায়ক ডিম। পেশী শক্ত রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ডিমের সাদা অংশ রাখতে পারেন।
কলা আমাদের নিকট খুবই সহজলভ্য এবং পরিচিত একটি ফল। কলা যেমন সুস্বাদু, তেমনি এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তবে কলার একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। আর তা হলো ফল হিসেবে যেমন এর কদর আছে, তেমনি সবজি হিসেবেও এর কদর কিন্তু কম নয়।
মূলত পাকা কলা খাওয়া হয় ফল হিসেবে আর কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। আসুন, আজ জেনে নেওয়া যাক, কাঁচা কলার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-
ওজন কমায় - ওজন কমাতে চাইলে খাদ্য তালিকায় রাখুন কাঁচা কলা। কাঁচা কলার ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় মেদ কমাতেও সাহায্য করে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে - রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্যেও কাঁচা কলা উপকারী। এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন বি৬ গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে টাইপ-টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে - পাকা কলার মতো কাঁচা কলাতেও প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রতিদিন ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম গ্রহণে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস হয়। তবে পটাসিয়াম সবার জন্য নিরাপদ নয়। উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে তাই কাঁচা কলা খাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত।
পেটের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে - কাঁচা কলা আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয়। কাঁচা কলা পেটের ভেতরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়। তবে অতিরিক্ত পেট ফোলার সমস্যা থাকলে কাঁচা কলা না খাওয়াই ভালো।
ডায়রিয়ায় কাঁচা কলা - কাঁচা কলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে চিকিৎসকেরা কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন।