আসসালামু আলাইকুম। আমার বাবা আমার কাছে আমার প্রাইভেট কোচিং এর বেতন একসাথে রাখতে দিয়েছিলেন যাতে আমি মাসে মাসে স্যারদের বেতন দিতে পারি। ইতোমধ্যে আমার প্রাইভেট পড়া শেষ এবং আরো কিছু টাকা বাকি আছে। একদিন হঠাৎ আমার ল্যাপটপের জন্য একটি র্যাম কেনার প্রয়োজন পড়ে। বাবা র্যামের টাকা দিতে পারবেন না ভেবে আমি ওই জমানো টাকা থেকে নিয়ে বাবাকে না জানিয়ে র্যামটি কিনে ফেলি এবং মনে মনে ওয়াদা করি আমার সাধ্যমতো প্রতিদিন টাকা জমিয়ে সেই টাকাগুলোর সাথে এডজাস্ট করে দেবো। তাই প্রতিদিন কলেজে হেঁটে হেঁটে গিয়ে ভাড়া এবং টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে জমা করতে থাকি। কিন্তু কলেজ শেষ হয়ে যাওয়ায় জমানোর জন্য আর টাকা পাচ্ছি না। আমার নিজেরও কিছু উপার্জন আছে যা আমার ভবিষ্যতের পড়ালেখার জন্য বাবা রেখে দিয়েছেন। তাই আমি নিজের ওই উপার্জন থেকে আপাতত কিছু টাকা নিয়ে ওই টাকার সাথে এডজাস্ট করে দিতে চাচ্ছিলাম যেন আমার বাবার টাকায় আমার কোন হাত না থাকে। এর সাথে সাথে আমি নিজেও জমাচ্ছি অবশ্যই। এখন আমার প্রশ্ন হল, আমি যদি টাকাটা জমানো শেষ হবার আগেই মারা যাই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? (আমি অবশ্যই অনুতপ্ত এবং তাওবা করেছি)
0 likes | 2940 viewsফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় আমার বাবা আমার টিউশন ফিয়ের টাকা একসঙ্গে আমার কাছে রাখতে দিয়েছিলেন যেন আমি মাসে মাসে স্যারদের টাকা দিয়ে দিতে পারি। একসময় আমার ল্যাপটপের জন্যে ৪০০০ টাকার একটি র্যাম কেনার দরকার পড়ে এবং বাবা টাকা দিতে পারবেন না ভেবে আমি ওই টাকাগুলো থেকে বাবাকে না জানিয়ে র্যাম কিনে ফেলি। এর সাথে সাথে নিজের কাছে ওয়াদাও করি টাকাটা যত দ্রুত সম্ভব জমিয়ে ফেরত দিয়ে দেব। তাই রোজ কলেজে হেঁটে গিয়ে এবং টিফিন না খেয়ে জমাতে থাকি। ইতোমধ্যে ১২০০ টাকা জমে গিয়েছে। কিন্তু আমার কলেজ শেষ হয়ে গেছে, তাই টাকাগুলো জমাতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমার নিজের কিছু উপার্জন ছিলো যা বাবাকে দিয়ে দিয়েছিলাম এবং বাবা আমার ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিয়েছেন। নিজ উপার্জিত সে টাকাগুলো থেকে বাকি ২৮০০ টাকা আমার টিউশনির জন্য রাখা টাকাগুলোতে এডজাস্ট করে দিয়েছি যাতে আমার বাবার টাকায় আমার দেনা না থাকে। এবং তার সাথে সাথে আমি নিজেও সাধ্যমতো জমাচ্ছি। এখন আমার প্রশ্ন হলো, সম্পূর্ণ টাকা জমানোর আগেই যদি আমি মারা যাই, তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? (আমি যারপরনাই অনুতপ্ত এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবাও করেছি) এবং এ অবস্থায় আমার করণীয় কী? এটি কি আদৌ ঋণের মধ্যে পড়ে?
0 likes | 2857 views