I am student. I study BA Honors in Philosophy from the Dhaka College. I am Freelancer and Digital Marketing .
পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বসবাস করে আমরা যেমন চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ দেখে অভ্যস্ত পৃথিবীর সর্বত্র চিত্রটা কিন্তু এমন নয়। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে আমাদের দেশে প্রায় ১১২০ জন মানুষ বাস করে, আশ্চর্য হলেও সত্য এই পৃথিবীতেই এমন অনেক দেশ রয়েছে যেখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ জনের চেয়েও কম! এরকম জনবিরল দেশের কথা শুনতে কার না আগ্রহ জাগে? তাই সারা বিশ্বের সবচেয়ে কম ঘনবসতি পূর্ণ ১০ টি দেশ নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদনটি।
১০. মৌরিতানিয়া পশ্চিম আফ্রিকায় সাহারা মরুর পাড়ে অবস্থিত মৌরিতানিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে কম ঘনবসতি পূর্ণ দেশের তালিকায় রয়েছে ১০ম স্থানে। দেশটির পুরো নাম ইসলামিক রিপাবলিক অফ মৌরিতানিয়া। আয়তন ১,০৩০,০০০ বর্গকিমি যা মোটামুটি বাংলাদেশের মত ছয়টি দেশের আয়তনের সমান। কিন্তু জনসংখ্যা মাত্র ৪০ লক্ষ যা প্রায় ঢাকা শহরের মিরপুর এলাকার জনসংখ্যার সমান। মৌরিতানিয়া প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও পশ্চিমের আটলান্টিক উপকূল টুকু ছাড়া বাকি দেশটুকু যেন পুরোটাই ধু ধু মরুভূমি। তাই মরুকন্যা মৌরিতানিয়ার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৩.৪ জন!
০৯. সুরিনাম বাংলাদেশের মানুষের কাছে সুরিনাম দেশটি খুব বেশি পরিচিত নয়। আর হবেই বা কেন দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি প্রতিবেশি ব্রাজিলের মত তো আর ফুটবল পরাশক্তি নয়। সুরিনাম দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে ছোট দেশ। তবে এর আয়তন কিন্তু বাংলাদেশের চেয়েও বেশি! ১৬৫,০০০ বর্গকিমি আয়তনের দেশ সুরিনামের জনসংখ্যা মাত্র ৫৬৬,০০০! জনসংখ্যার ঘনত্ব হিসাব করলে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২.৯ জন মানুষ বাস করে সুরিনামে। মূলত দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীদের নিয়ে গঠিত এই দেশটির উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর আর দক্ষিণে পুরোটাই আমাজন জঙ্গল। সুরিনামের রাজধানীর নামটিও কিন্তু বেশ অদ্ভুত। বলা বাহুল্য দেশের অর্ধেক মানুষই বাস করে রাজধানী “পারামারিবো”তেই।
০৮. আইসল্যান্ড ইউরোপের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ আইসল্যান্ড। ছোট্ট কিন্তু অপূর্ব সুন্দর এই দশটি রয়েছে তালিকার ৮ম স্থানে। ২০১৬ ইউরোর মূলপর্বে খেলার সুবাদে আমাদের দেশের মানুষের কাছে আইসল্যান্ড এখন বেশ পরিচিত। আয়তন ১০৩,০০০ বর্গকিমি এবং জনসংখ্যা ৩০৯,৬৭২। আইল্যান্ডের জনসংখ্যার ঘনত্ব মাত্র প্রতি বর্গকিমি তে মাত্র ৩.১ জন । আইসল্যান্ডকে বলা হয় বজ্রপাতের দেশ। দেশটি সম্পর্কে আরেকটি কথা না বললেই নয় জনসংখ্যার ঘনত্বে পিছিয়ে থাকলে মাথাপিছু নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্তির হিসাবে আইসল্যান্ড সবার চেয়ে কিন্তু এগিয়ে!
০৭. অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বিশ্বে একচেটিয়া আধিপত্য আর উন্নত জীবন যাত্রার কারণে অস্ট্রেলিয়া আমাদের দেশের মানুষের কাছে খুবই পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার কথা শুনলেই মনের অজান্তে আমাদের চোখে ভেসে ওঠে সিডনি অপেরা হাউজ, এমসিজি কিংবা ক্যাঙ্গারুর ছবি। তবে প্রায় আড়াই কোটি জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া এই তালিকায় জয়গা করে নিয়েছে তার আয়তনের বিশালত্বের কারণে। প্রায় ৭৬,৯০,০০০ বর্গকিমি আয়তনের দেশ অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৫০টি বাংলাদেশের আয়তনের সমান। তাই জনসংখ্যার ঘনত্বও মাত্র প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ৩.০৯ জন। অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ উপকূল জুড়ে গড়ে উঠেছে মেলবোর্ন, সিডনি বা পার্থের মত শহর তবে উত্তর ও মধ্য অস্ট্রেলিয়ায় কিন্তু লক্ষ লক্ষ বর্গমাইল জুড়ে কেবল ধুধু মরুভূমি!
০৬. ফ্রেঞ্চ গায়ানা এই তালিকায় ৬ষ্ট স্থানে রয়েছে ফ্রেঞ্চ গায়ানা। ফ্রান্সের অধীনের থাকা এই দেশটির আয়তন ৮৩,৫৩৪ বর্গকিমি এবং লোকসংখ্যা আড়াই লাখের মত। প্রতি বর্গকিলোমিটারে এখানে মাত্র তিনজন মানুষ বাস করে। দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ফ্রান্সের এই উপনিবেশটি কিন্তু সুরিনামের প্রতিবেশী।
০৫) নামিবিয়া দেশটির সাথে আমাদের অনেকেরই পরিচয় ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ হিসাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবেশী দেশ নামিবিয়ার আয়তন যা প্রায় পাঁচটা বাংলাদেশের সমান তবে জন সংখ্যা মাত্র। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটারে মাত্র নামিব ও কালাহারি মরুভূমির মাঝখানে অবস্থিত দেশটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সাব-সাহারা অঞ্চলের মধ্যে সর্বনিম্ন! নামিবিয়াতে কালাহারি মরুভূমির অংশ; Image Source: www.worldatlas.com ০৪. মঙ্গোলিয়া নামটা শুনে নিশ্চয়ই চোখের সামনে ভেসে উঠছে দুর্ধর্ষ যোদ্ধা চেঙ্গিস খানের ছবি! পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের মালিক ছিল কিন্তু এই মঙ্গোলরাই। উত্তরে ইউরেশিয়ার স্তেপ এবং দক্ষিণে গোবী মরুভূমির মাঝখানে অনবাদি এই দেশটি প্রাচীনকাল থেকে যাযাবর অশ্বারোহীদের বিচরণক্ষেত্র। বলা হয়ে থেকে মোঙ্গল শিশুদের জন্মই হয় ঘোড়ার উপর আর ঘোড়ার উপরই কাটে তাদের সারা জীবন। ১,৫৬৬,000 বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ত্রিশ লক্ষ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে মাত্র ২ জন যা সার্বভৌম দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম!
০৩. পিটকেয়ার্ন্স আইল্যান্ড চার্লস নর্ডহফ এবং জেমস নর্মানহলের বিখ্যাত উপন্যাস “পিটকেয়ার্ন্স আইল্যান্ড” দ্বীপটিকে পরিচিত করেছে লক্ষ পাঠকের কাছে। এই সিরিজের বাকি দুটি উপন্যাস “মেন ইগেনস্ট সি” এবং “মিউটিনি অন বাউন্টি” ( বাংলায় বাউন্টিতে বিদ্রোহ নামেই পরিচিত উপন্যাসটি)। দিগন্ত বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানের এই ছোট্ট দ্বীপটির আয়তন মাত্র ৫০ বর্গকিমি। তবে অবাক করা ব্যাপার হল ইংল্যান্ডের অধীনে থাকা এই দ্বীপের জনসংখ্যা মাত্র ৪৭ জন। তাই প্রতি বর্গ কিলোমিটারে এই দ্বীপের এক জনেরও কম মানুষ বাস করে।
০২. ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ বলা হয়ে থাকে ফকল্যান্ড দ্বীপের জন্য ম্যারাডোনার “ঈশ্বরের হাত”এর অবতারণা। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে তিনি হাত দিয়ে যে বিতর্কিত ম্যাচ উইনিং গোলটি করেন, সেটা আজও “হ্যান্ড অফ গড” নামে জনপ্রিয় হয়ে আছে কোটি ভক্তের মানসপটে। খোদ আর্জেন্টিনায় এই গোলটিকে দেখা হয় ইংল্যান্ডের কাছে ফকল্যান্ড যুদ্ধে হারের বদলা হিসাবে। দীর্ঘ দিন মালিকানা দাবি করে আসা আর্জেন্টিনা ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে যুদ্ধে হেরে দ্বীপপুঞ্জটিও হারায়। উল্লেখ্য আর্জেন্টিনার দক্ষিণে অবস্থিত এই দ্বীপপুঞ্জের অবস্থান দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি। তেল সমৃদ্ধ ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের আয়তন প্রায় ১২,২০০ বর্গকিমি। জনসংখ্যা মাত্র তিন হাজার। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২৬ জন।
০১. গ্রীনল্যান্ড সবচেয়ে কম ঘনবসতিপূর্ণ দেশের তালিকায় সবার উপরে জায়গা করে নিয়েছে গ্রীনল্যান্ড। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই দ্বীপটি কিন্তু সার্বভৌম নয়, ডেনমার্কের একটি অঙ্গরাজ্য মাত্র। সাড়ে ২১ লক্ষ বর্গকিমি আয়তনের এই দ্বীপটিতে বাস করে মাত্র ৫৭ হাজার মানুষ। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতিবর্গকিলোমিটারে মাত্র .০৩। যার মানে দাঁড়ায় এই দ্বীপের প্রতি ৩৩ বর্গকিলোমিটারে মাত্র ১ জন মানুষ বাস করে। পূর্বে আর্কটিক সাগর থেকে পশ্চিমে কানাডা পর্যন্ত বিস্তৃত সুবৃহৎ।
এই দ্বীপটি বছরের বড় একটা সময় বরফেই ঢাকা থাকে। এই গ্রীনল্যান্ডে গেলে হয়ত মানুষের পরিবর্তে আপনার দেখা হয়েও যেতে পারে শ্বেত ভল্লুকের সাথে!
>যোগাযোগমাধ্যম, টেলিযোগাযোগব্যবস্থা, রাস্তাঘাটের মান, বিদ্যুৎ-সুবিধা, বিমানে আসন পাওয়া এবং নাগরিকদের শারীরিক সুস্থতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সেরা ১১টি দেশের এই তালিকা প্রকাশ করা হয় একটি দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অবকাঠামো। যে দেশের অবকাঠামো যত মজবুত, সে দেশের অর্থনীতিও তত শক্তিশালী। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) অর্থনৈতিক পার্থক্যের বড় কারণ এই অবকাঠামো। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা সূচক’ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার অবকাঠামোতে সেরা ১১টি দেশের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তালিকাটি তৈরিতে দেশগুলোর যোগাযোগমাধ্যম, টেলিযোগাযোগব্যবস্থা, রাস্তা-ঘাটের মান, বিদ্যুৎ-সুবিধা ইত্যাদির পাশাপাশি বিমানে আসন পাওয়া এবং নাগরিকদের শারীরিক সুস্থতার মতো বিষয়ও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ তালিকার শীর্ষ দুটি স্থান দখল করেছে এশিয়ার হংকং ও সিঙ্গাপুর। তালিকাটি তৈরি করতে গিয়ে বিজনেস ইনসাইডার-এর পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ২০০৭-০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশগুলোতে অবকাঠামোর মান আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। আর তাদের স্থানগুলো দখলে নিয়েছে এশিয়ার কয়েকটি দেশ। বিজনেস ইনসাইডার-এর তৈরি অবকাঠামোয় বিশ্বসেরা ১১ দেশের তালিকাটি এমন— ১ হংকং: টেলিযোগাযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের মানে অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে থাকায় অবকাঠামোর দিক থেকে সেরা দেশের মর্যাদা পেয়েছে হংকং। অবকাঠামোগত অন্যান্য সুবিধার প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেরা দশে রয়েছে দেশটি। তবে বিমান ভ্রমণে আসন পাওয়ার দিক থেকে এ দেশের অবস্থান ১৭তম। ২ সিঙ্গাপুর: বিমান যোগাযোগ ও বন্দর-সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিশ্বের সব দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে সিঙ্গাপুর। ফিক্সড টেলিফোন সংযোগ ও মুঠোফোন ব্যবহারে দেশটি যথাক্রমে ২৯ ও ১৪ নম্বরে আছে। দেশটি সম্পর্কে ডব্লিউইএফ বলছে, উচ্চমানের অবকাঠামো, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি আদর্শ দেশ সিঙ্গাপুর। ৩ নেদারল্যান্ডস: বন্দর-সুবিধা ও রাস্তাঘাটের মানের দিক থেকে ইউরোপের নেদারল্যান্ডস সবচেয়ে উন্নত দেশ। সেই সঙ্গে শিক্ষা, অবকাঠামো ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা থাকায় দেশটি উন্নত অবকাঠামোর তালিকায় প্রথম দিকে স্থান করে নিয়েছে। তবে বিমানভ্রমণে আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশটি আছে ২৩ নম্বরে। ৪ সংযুক্ত আরব আমিরাত: সড়ক ও আকাশপথে যোগাযোগের অবকাঠামোয় বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। বিদ্যুতের মানের দিক দিয়ে দেশটি অবশ্য কিছুটা পিছিয়ে আছে। তবে সার্বিকভাবে উন্নত আর্থিক ব্যবস্থাপনার ফলে দেশটি অবকাঠামোতে অনেক এগিয়ে গেছে। ৫ জাপান: রেল যোগাযোগ অবকাঠামোয় বিশ্বে সবচেয়ে উন্নত হচ্ছে জাপান। বিমানে আসন পাওয়ার ক্ষেত্রেও চতুর্থ স্থানে আছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ। তবে বন্দর অবকাঠামোয় ২২ নম্বরে আছে দেশটি। শারীরিক সুস্থতা বিবেচনায় কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর এই দেশ আছে বিশ্বের শীর্ষস্থানে। ৬ সুইজারল্যান্ড: বিদ্যুৎ সরবরাহ ও রেল যোগাযোগ অবকাঠামোতে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে সুইজারল্যান্ড। তবে বন্দর অবকাঠামো-সুবিধায় ৪৭ ও সড়কপথ অবকাঠামোতে নবম স্থানে আছে দেশটি। ২০০৭ সালের বিশ্ব আর্থিক মন্দায় দেশটির অবকাঠামোর মান আগের চেয়ে কিছুটা দুর্বল হয়েছে বলেও জানিয়েছে ডব্লিউইএফ। ৭ জার্মানি: বিমানে আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে ৬ নম্বর দেশ জার্মানি। রেলপথ অবকাঠামোতেও শীর্ষ দশে আছে দেশটি। আর বন্দর-সুবিধায় ১৪তম এবং বিদ্যুতের মানের ক্ষেত্রে ২০ নম্বরে আছে জার্মানি। ৮ ফ্রান্স: ফ্রান্সের রেল ও সড়ক অবকাঠামো মানের দিক থেকে বিশ্বে যথাক্রমে ৬ ও ৭ নম্বর স্থানে আছে। বন্দর-সুবিধার ক্ষেত্রে দেশটি অনেকটা পেছনে রয়েছে, অবস্থান ২৬তম। আর বিদ্যুতের মানের দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান ১৪ নম্বরে। গত কয়েক বছরে অবকাঠামো-সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কিছুটা পেছালেও সার্বিক অবকাঠামোগত মান দেশটিকে এগিয়ে দিয়েছে।
৯ যুক্তরাজ্য: বিমানে আসন পাওয়ার দিক থেকে যুক্তরাজ্যের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়, আর বিদ্যুৎ সরবরাহের মানে নবম। তবে সড়ক ও আকাশপথের অবকাঠামোয় দেশটির অবস্থান যথাক্রমে ২৯ ও ১৯। তবে এ দেশে রেলপথে যাতায়াত খরচ ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, আবার সময়মতো রেল গন্তব্যে না পৌঁছানোর বদনামও রয়েছে। ১০ স্পেন: কয়েক বছর আগে অবকাঠামো খাতে অপব্যয়ের কারণে স্পেন পিছিয়ে পড়েছে। তা সত্ত্বেও দেশটি রেল অবকাঠামোয় বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে আছে। বিমানে আসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও এ দেশের অবস্থান শীর্ষ দশে। এ ছাড়া স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর অবকাঠামো—এ দুটি ক্ষেত্রে দেশটির অবস্থান ১২তম এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের মানে ২৪তম। ১১ যুক্তরাষ্ট্র: বিমানে আসন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। বিমানবন্দর অবকাঠামোতে দেশটির অবস্থান পঞ্চম। তবে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক পেছনে, ৯৯তম স্থানে আছে। আর সড়ক ও রেলপথ অবকাঠামোতে দেশটির অবস্থান যথাক্রমে ১৪তম ও ১৫তম।
আমার এক বন্ধু ২০১৬ তে SSC এবং ২০১৯ HSC কথা হলো ২০২০ জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল র্ভতি হতে পারবে।
0 likes | 2044 viewsব্যবসা শাখা থেকে কী ক্রিমিনোলজি পড়া যায়?
0 likes | 2442 viewsআমার বোন এসএসসি দিয়েছে।সে ভবিষ্যতে Law নিয়ে পড়তে চায়।ইন্টারে মানবিক বিভাগের কোন কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ওর জন্য সুবিধা হবে?
0 likes | 2462 views