Recent Q&A
গত কয়েক বছর থেকে আমি একটি মানসিক সমস্যায় ভুগছি। তা হল অযাচিত টেনশন করা। আমি জানি, যে বিষয়ে আমি টেনশন করছি তা অমূলক, অযৌক্তিক। আমি টেনশন করতে চাই না, কিন্তু তা এমনিতেই মনে এসে যায়। একটা জিসিস নিয়ে টেনশন করলে তা অন্তরে স্থায়ী হয়ে যায়, হাজার চেষ্টা করলে অন্তর থেকে তা দূর করতে পারি না, সমাধান পেলেও বিশ্বাস করতে পারি না, তা নিয়ে টেনশন থেকেই যায়। নিজের প্রতি কোন আত্মবিশ্বাস নেই। মাজে মাজে মরে যেতে ইচ্ছে হয়। প্রচুর বিষণ্ণতা ও হতাশায় ভুগি। অন্তরে কোন আনন্দ ফূর্তী আসে না। মনে হয় পৃথিবিতে আনন্দ দেয়ার মত কোন জিনিস আমার জন্য নেই। সমস্যাটি অনেক বছর থেকে হয়ে চলছে। মাঝখানে কয়েক বছর পুরো ভালো ছিলাম। এখন আবার কয়েক মাস থেকে সমস্যাটি দেখা দিয়েছে। মানসিক ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তারের পরামর্শে ঔষুধ খাচ্ছি। কিন্তু কোন সুফল পাচ্ছি না। এই সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ পরিত্রাণ পাওয়ার কোন ব্যবস্থা আছে কি? বা কিভাবে এ সমস্যা থেকে আমি মুক্তি পেতে পারি? কোন চিকিৎসক ভাই থাকলে দয়াকরে একটু পরামর্শ দেন।
0 likes |
2684 views
আসসালামু আলাইকুম। আলেম ও ইসলামিস্টের কাছে জানতে চাই। আমার একজন বিবাহিত ওয়াসওয়াসার রুগী বন্ধু আছে। সে সর্বদা তালাক নিয়ে ওয়াসওয়াসায় ভোগে। বলতে গেলে ওয়াসওয়াসা এটা একটা তার রোগ। যাকে সুচিবাই বলা হয়। কোন একটা কথা বললে তার সন্দেহ জাগে, তালাকের কোন কথা উচ্চারিত হয়ে গেলো কি না ইত্যদী। তার তালাক নিয়ে একটা ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যার সমাধান জানতে চাই। সমস্যাটি হল, একদিন সে তার কোন এক বন্ধুর সাথে তালাক নিয়ে আলোচনা করতেছিলো। তো আলোচনার এক ফাঁকে সে বলল, যে "রহমতপুর গ্রামের সালেহ আহমাদ তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে"। এ কথা বলার সময় সে অনিচ্ছায় মনে মনে ভাবল, আসলে সালেহ আহমদ সে নিজেই। অর্থাৎ উল্লেখিত বক্তব্যটি তার। কথাটি কিন্তু সে কেবল মনে মনে ভেবেছে। অথচ সে কোন সালেহ আহমাদ নয় এবং তার স্ত্রীকেও সে কখনো কোন তালাক দেয়নি। এখন তার প্রশ্ন হল, বন্ধুর সাথে বলা তার উক্ত বক্তব্যটি বলার সময় সে মনে মনে যে কথাটা ভেবেছে তার দ্বারা তার স্ত্রীর কি কোন সমস্যা হবে? আরো একটি প্রশ্ন, কেউ যদি কারো সাথে কাহারো তালাক নিয়ে আলোচনা করে এবং মনে মনে উক্ত আলোচনাকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় নিজের দিকে ইঙ্গিত করে অর্থাৎ যদি বলে " আব্দুর রহমান সাহেব তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে" কথাটা বলার সময় নিজের দিকে ইঙ্গিত করেছে। এতে কি তার স্ত্রী তালাক হবে? এতে তো সে আব্দুর রহমানের কথা উচ্চারণ করেছে কিন্তু নিজের কথা উচ্চারণ করেনি। দয়া করে প্রমাণসহ সমাধান দিবেন। সাথে আরো একটা জিনিস জানালে উপকৃত থাকব। উক্ত সমস্যাগুলোর ক্ষেত্রে তার উচ্চারণকৃত শব্দ উদ্দেশ্য হবে? না কি তার মনের ভাবনার? হুজুর জানি না প্রশ্নগুলো আমি বুঝাতে পারলাম কি না। না বুঝলে একটু অনুগ্রহের সহিত বললে আরো বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।
0 likes |
2753 views
আসসালামু আলাইকুম। আমার একজন ওয়াসওয়াসার রুগী বন্ধু আছে। কয়েকদিন যাবত দুটি মাসআলার সমাধানের জন্য খুব জোর করতেছে। আমার নিকট মুতা'লার কোন কিতাব না থাকায় আমি তাকে প্রশ্নগুলোর জোরালো সমাধান দিতে পারিনি তাই আপনাদের দ্বারস্হ হয়েছি। আপনাদের নিকট অনুরোধ, মাসআলাদুটির সমাধান দিয়ে দ্বীনের পথে চলার জন্য আমাদের পথকে সুগম করুন। মাসআলা নং ১ : কেউ যদি মনে মনে নিজ স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলে, “তুমি আমার জন্য হারাম” তাহলে কি তার স্ত্রী তালাক হবে? মাসআলা নং ২ : তা'লিকে ( ﺗﻌﻠﯿﻖ ) তালাকের জন্য কি তালাফ্যুজ ( ﺗﻠﻔﻆ ) শর্ত? যদি কেউ মনে মনে বলে যে, "স্ত্রী যদি ওমুক কাজ করে তাহলে সে তালাক"। অথবা তা'লিকের উক্ত বাক্যটি মুখের ভিতরে বলেছে যাতে কেবল জিহ্বা নড়েছে। কিন্তু কোন শব্দ বা আওয়াজ হয়নি। এখন যদি তার স্ত্রী উক্ত কাজটি করে পেলে তাহলে কি স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হবে? অনুগ্রহপূর্বক মাসআলাগুলোর সমাধান দিলে খুবই উপকৃত হতাম। মা'আস্সালাম।
0 likes |
1664 views