Md Rasel Rana

Md Rasel Rana

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

Md Rasel Rana

  • 2022 – Present at Dhaka
  • Male | Single | Islam

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 0 বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 0 বার
0 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 0 বার
0 টি উত্তর দেখা হয়েছে 0 বার
0 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কী?

0 likes | 16 views

প্রবন্ধ রচনা: বর্ষাকাল |বাংলার বর্ষা | বর্ষায় বাংলাদেশ | বাংলাদেশের বর্ষা

ভূমিকা : বাংলাদেশে দ্বিতীয় ঋতু । আষাঢ় ও শ্রাবণ এ দুই মাস বর্ষাকাল । গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে মানুষ , অন্যান্য প্রাণী ও তরুলতা অস্থির হয়ে উঠে । সকলে তখন কামনা করে , বৃষ্টি নামুক । বৃষ্টির জন্য সকলের এ আকুলতায় ‘ আল্লা মেঘ দে , পানি দে , ছায়া দেরে তুই ’ গানে মূর্ত হয়ে উঠে । অবশেষে মেঘ আসে , বৃষ্টি নামে , ধরণী সুশীতল হয় । কৃষি নির্ভর বাংলাদেশে বর্ষা বিধাতার এক অকৃপণ দান ।


বর্ষার কারণ : বাংলাদেশ মৌসুমী জলবায়ুর অন্তর্গত একটি ক্রান্তীয় দেশ । গ্রীষ্মের প্রখরতায় দক্ষিণের ভারত মহাসাগর হতে প্রচুর জলীয় বাষ্প উথিত হয় । ঐ মেঘরাশি ক্রমশ ঘনীভূত হয়ে বায়ুপ্রবাহ উত্তর - পূর্ব দিকে হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায় । আসলে বর্ষাকাল গ্রীষ্মেরই একটা অংশ । দীর্ঘকাল স্থায়ী মেঘভারে আকাশ আচ্ছন্ন থাকে ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় বলে একে বর্ষাকাল বলে ।


বর্ষার বৈশিষ্ট্য : বর্ষাকালে আকাশ প্রায়ই মেঘাচ্ছন্ন থাকে । সারাদিন কখনও অল্পক্ষণ স্থায়ী বা দীর্ঘ স্থায়ী বৃষ্টিপাত হয় । দমকা বাতাস , বিদ্যুতের চমক ও মেঘের গর্জনে বর্ষাকালকে অন্যান্য ঋতুর চেয়ে অনেক বেশী জীবন্ত মনে হয় । অবিশ্রান্ত বৃষ্টিপাতে প্রকৃতি শীতল হয় , গাছপালা সজীব হয়ে উঠে । অনেক সময় চন্দ্র - সূর্যের মুখ পর্যন্ত দেখা যায় না । মেঘ ঘন হয়ে উঠলে চারদিকে যেন আঁধারে ঢেকে যায় । বর্ষার প্রথম দিকে ব্যাঙের ডাকে খাল - বিল মুখরিত হয়ে উঠে । মানুষের মনেও বর্ষা গভীর ভাবের সৃষ্টি করে । একটা বিষাদ , বিরহ বা দীর্ঘস্থায়ী ভাবাকুলতা মানুষের মনকে আচ্ছন্ন করে । তাই বাংলাদেশের বর্ষাকে অবলম্বন করে বহু কবিতা ও গান রচিত হয়েছে । বাংলা সাহিত্য বর্ষার জয়গানে মুখর ।


বর্ষার বর্ণনা : বর্ষার পানিতে নদ - নদী , খাল - বিল প্রভৃতি কানায় কানায় পূর্ণ হয় । গ্রামাঞ্চলের কাঁচা রাস্তাগুলাে কাদায় পূর্ণ হয়ে উঠে । স্থলপথে চলাচল অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে । বিরামহীন বৃষ্টিধারায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায় । আকাশের একপ্রান্ত হতে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত বিদ্যুতের চমকে ঝলসে উঠে । তারপরই শােনা যায় কান ফাটানাে মেঘের গর্জন । বাইরের সবকিছু ভিজে একাকার হয়ে যায় । পাখী ও বন্য প্রাণীর দল উপযুক্ত আশ্রয়ের অভাবে নীরবে ভিজতে থাকে । কদম , বকুল ইত্যাদি ফুল বর্ষাকালে ফোটে । নদী - নালা , খাল - বিল পানিতে ভরে উছলে উঠে ও আশ - পাশ প্লাবিত করে । কাঁঠাল , তাল ইত্যাদি এ সময়ের ফল । আকাশ অবিরাম মেঘাচ্ছন্ন থাকে । জনপদে সাপ ও অন্যান্য সরীসৃপের অত্যাচার বেড়ে যায় । কখনও কখনও দুই তিন দিন সূর্য বা চন্দ্রের আভাস মাত্র দেখা যায় । আকাশ পরিষ্কার হয়ে গেলে , সূর্যের কিরণ আরাে তীব্র বােধ হয় ও প্রচণ্ড গরম অনুভূত হতে থাকে । আবার পরক্ষণেই মেঘে আকাশ ঢেকে যায় ও চারদিক আঁধার করে অঝাের ধারায় বৃষ্টি নেমে আসে । বর্ষার উপকারিতা : বর্ষাকালের উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না । বর্ষার বৃষ্টিপাতের জন্য এ দেশে নানা প্রকার ফসল জন্মিতে পারে । বর্ষা না হলে এদেশে নদী - নালা কিছুই থাকত না , দেশ মরুভূমি হয়ে যেত । বর্ষা নামার সাথে সাথে কৃষকেরা জমিতে ফসল ফলাবার প্রচেষ্টায় রত হয় । কর্মব্যস্ত কৃষাণের গানে মাঠ মুখরিত হয়ে উঠে । বর্ষাকালের বৃষ্টিধারায় নদী - খাল - বিল ভরে যাওয়ায় একদিকে যেমন যাতায়াতের সুবিধা হয় , অন্যদিকে তেমনি আবহাওয়া সহনীয় হয়ে উঠে । পানিতে মাছের বংশ বৃদ্ধি পায় ।


বর্ষার অপকারিতা: অনেক সময় ঘন বর্ষার দিনে মজুরদের কাজকর্মের অভাব হয় । ফলে , পরিবার সমেত তাদের অনাহারে থাকতে হয় । প্রবল বর্ষণে বন্যার আর্বিভাব ঘটে ও তাতে শস্যহানি ও প্রাণহানি ঘটে থাকে । এ সময় নানা প্রকার রােগের প্রাদুর্ভাব ঘটে । বিশেষ করে পানিবাহিত রােগগুলাে সহজে বিস্তার লাভ করে । সবদিক দিয়ে বিচার করলে বর্ষাঋতুকে বাংলাদেশের পক্ষে আর্শীবাদ বলা যেতে পারে । উপকারিতার তুলনায় অপকারিতা নামমাত্র বললেও চলে ।


উপসংহার : আমাদের দেশের কৃষি বর্ষার উপর নির্ভরশীল । যে বছর বর্ষার প্রকোপ কম , সে বছর দুর্যোগ নেমে আসে । দীর্ঘস্থায়ী বর্ষায় ফসলের কিছু ক্ষতি হলেও পরে রবিশস্য চাষে তা পূরণ করা যায় । যান্ত্রিক জলসেচে বর্ষার অভাব পূরণ করা কখনও সম্ভব হবে না । তাই বর্ষাকাল আমাদের নিকট অতীব প্রয়ােজনীয় ঋতু।

0 likes | 32 views