আমরা প্রায় সময়ই শত্রু-মিত্র চিনতে ভুল করি। শত্রুকে মনে করি বন্ধু, আর বন্ধুকে মনে করি শত্রু। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনুল কারীমে শত্রু-মিত্র যাচাইয়ের মৌলিক সূত্র বলে দিয়েছেন এবং কার সাথে কেমন সম্পর্ক কেমন হবে তাও তিনি সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুরা আলে ইমরানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا بِطَانَۃً مِّنۡ دُوۡنِکُمۡ لَا یَاۡلُوۡنَکُمۡ خَبَالًا ؕ وَدُّوۡا مَا عَنِتُّمۡ ۚ قَدۡ بَدَتِ الۡبَغۡضَآءُ مِنۡ اَفۡوَاهِهِمۡ ۚۖ وَ مَا تُخۡفِیۡ صُدُوۡرُهُمۡ اَکۡبَرُ ؕ قَدۡ بَیَّنَّا لَکُمُ الۡاٰیٰتِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۱۸﴾ হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের নিজেদের অর্থাৎ মুমিনদের ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের সর্বনাশ করতে ত্রুটি করবে না। তারা তোমাদের মারাত্মক ক্ষতি কামনা করে। তাদের মুখ থেকে তো শত্রুতা প্রকাশ পেয়েই গিয়েছে। আর তাদের অন্তরসমূহ যা গোপন করে, তা আরো ভয়াবহ। অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্ট বর্ণনা করেছি, যাতে তোমরা উপলব্ধি করতে পারো। (সুরা আলে ইমরান-১১৮) . এই আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা শত্রু-মিত্র বানানোর মূলনীতি বলে দিয়েছেন। মূলনীতিটা হলো আল্লাহ এবং রাসুলে বিশ্বাসী তাওহীদবাদী ছাড়া ভিন্ন কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা যাবেনা। যদিও তারা নিজেদেরকে আমাদের হিতাকাঙ্খী, কল্যানকামী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। তবুও তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে । কারণ উপরে উপরে তারা বন্ধুত্ব দেখালেও ভেতরে ভেতরে আমাদের শেষ করার ষড়যন্ত্র আঁকে। তারা যে আমাদের নিয়ে কত মারাত্মক ষড়যন্ত্র করছে তার কিছু অংশ তাদের বক্তৃতা লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে গেছে। . আমরা অনেক সময় তাদের ইফতার মাহফিলে অংশ গ্রহণ, ঈদ রোজায় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন বা মুসলিমদের নিয়ে দু চারটা ভালো কথা শুনে ধোঁকা খেয়ে যাই। ভাবতে থাকি তারাই আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে তারা আমাদের ধ্বংসের জন্য বাহিনী প্রস্তুত করছে এবং এর জন্য অন্যন্য শত্রুদের সাথে জোট করছে সেসব বেমালুম ভুলে যাই। . এই আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে এই শিক্ষা দিলেন, যেন আমরা তাদের বাহ্যিক ভালো আচরণ দেখে গলে না যাই এবং তাদেরকে বন্ধু বা আপন ভাবতে শুরু না করি। দু চারটা কথা শুনে কাফেরদের বন্ধু ভাবার পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ, তা ঐ সকল মুসলিমরা ভাল করেই জানে, যাদের অঞ্চলে কাফেররা আক্রমন করেছিল। এই তো কয়েক বছর আগে ভারতের গুজরাট, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা হয়েছে। সেসময় পাড়ার ওই সকল হিন্দুরাই মুসলিমদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, যাদেরকে তারা দাঙ্গা শুরু হওয়ার আগে ভাই-কাকা-দাদা বলে ডাকতো এবং আপন ভাবতো। . এজন্য আমাদের করণীয় হবে, আমরা যেমনিভাবে বৈশ্বিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর দু চারটা ভালো কথা শুনে তাদেরকে বন্ধু মনে করবোনা, তেমনি আশেপাশের আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ কাফেরটাকেও আপন বা বন্ধু বানাবোনা। তবে হ্যাঁ, পাড়া-পড়শী হিসেবে বা মানুষ হিসেবে কুশল বিনিময় করতে বা ভালো আচরণ করতে বাধা নেই, কিন্তু অন্তরঙ্গ বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে সাবধান থাকবো।
আমরা প্রায় সময়ই শত্রু-মিত্র চিনতে ভুল করি। শত্রুকে মনে করি বন্ধু, আর বন্ধুকে মনে করি শত্রু। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কুরআনুল কারীমে শত্রু-মিত্র যাচাইয়ের মৌলিক সূত্র বলে দিয়েছেন এবং কার সাথে কেমন সম্পর্ক কেমন হবে তাও তিনি সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। সুরা আলে ইমরানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡا بِطَانَۃً مِّنۡ دُوۡنِکُمۡ لَا یَاۡلُوۡنَکُمۡ خَبَالًا ؕ وَدُّوۡا مَا عَنِتُّمۡ ۚ قَدۡ بَدَتِ الۡبَغۡضَآءُ مِنۡ اَفۡوَاهِهِمۡ ۚۖ وَ مَا تُخۡفِیۡ صُدُوۡرُهُمۡ اَکۡبَرُ ؕ قَدۡ بَیَّنَّا لَکُمُ الۡاٰیٰتِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۱۱۸﴾ হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের নিজেদের অর্থাৎ মুমিনদের ছাড়া অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা তোমাদের সর্বনাশ করতে ত্রুটি করবে না। তারা তোমাদের মারাত্মক ক্ষতি কামনা করে। তাদের মুখ থেকে তো শত্রুতা প্রকাশ পেয়েই গিয়েছে। আর তাদের অন্তরসমূহ যা গোপন করে, তা আরো ভয়াবহ। অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্ট বর্ণনা করেছি, যাতে তোমরা উপলব্ধি করতে পারো। (সুরা আলে ইমরান-১১৮) . এই আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা শত্রু-মিত্র বানানোর মূলনীতি বলে দিয়েছেন। মূলনীতিটা হলো আল্লাহ এবং রাসুলে বিশ্বাসী তাওহীদবাদী ছাড়া ভিন্ন কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করা যাবেনা। যদিও তারা নিজেদেরকে আমাদের হিতাকাঙ্খী, কল্যানকামী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে। তবুও তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে । কারণ উপরে উপরে তারা বন্ধুত্ব দেখালেও ভেতরে ভেতরে আমাদের শেষ করার ষড়যন্ত্র আঁকে। তারা যে আমাদের নিয়ে কত মারাত্মক ষড়যন্ত্র করছে তার কিছু অংশ তাদের বক্তৃতা লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে গেছে। . আমরা অনেক সময় তাদের ইফতার মাহফিলে অংশ গ্রহণ, ঈদ রোজায় শুভেচ্ছা জ্ঞাপন বা মুসলিমদের নিয়ে দু চারটা ভালো কথা শুনে ধোঁকা খেয়ে যাই। ভাবতে থাকি তারাই আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধু, কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে তারা আমাদের ধ্বংসের জন্য বাহিনী প্রস্তুত করছে এবং এর জন্য অন্যন্য শত্রুদের সাথে জোট করছে সেসব বেমালুম ভুলে যাই। . এই আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদেরকে এই শিক্ষা দিলেন, যেন আমরা তাদের বাহ্যিক ভালো আচরণ দেখে গলে না যাই এবং তাদেরকে বন্ধু বা আপন ভাবতে শুরু না করি। দু চারটা কথা শুনে কাফেরদের বন্ধু ভাবার পরিণতি যে কতটা ভয়াবহ, তা ঐ সকল মুসলিমরা ভাল করেই জানে, যাদের অঞ্চলে কাফেররা আক্রমন করেছিল। এই তো কয়েক বছর আগে ভারতের গুজরাট, দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা হয়েছে। সেসময় পাড়ার ওই সকল হিন্দুরাই মুসলিমদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে, যাদেরকে তারা দাঙ্গা শুরু হওয়ার আগে ভাই-কাকা-দাদা বলে ডাকতো এবং আপন ভাবতো। . এজন্য আমাদের করণীয় হবে, আমরা যেমনিভাবে বৈশ্বিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর দু চারটা ভালো কথা শুনে তাদেরকে বন্ধু মনে করবোনা, তেমনি আশেপাশের আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ কাফেরটাকেও আপন বা বন্ধু বানাবোনা। তবে হ্যাঁ, পাড়া-পড়শী হিসেবে বা মানুষ হিসেবে কুশল বিনিময় করতে বা ভালো আচরণ করতে বাধা নেই, কিন্তু অন্তরঙ্গ বন্ধু বানানোর ক্ষেত্রে সাবধান থাকবো।
বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির নির্মাণের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল এক শতাব্দীরও আগে। সর্বপ্রথম ১৮৮৫ সালে হিন্দু নেতা মহন্ত রঘুবীর দাস বাবরী মসজিদ প্রাঙ্গনে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে ফৈজাবাদ আদালতে মামলা করে। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে সাতচল্লিশে দেশভাগের পর আবার শুরু হয় ষড়যন্ত্র। দেশভাগের দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে মসজিদের পাশে এক জায়গায় আটদিনব্যাপী রামনাম সংকীর্তনের আয়োজন করা হয় এবং বলা হয় শেষদিন রামের আবির্ভাব হবে। ঠিকই ২২/২৩ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে অভিরাম দাস নামক এক হিন্দু কুলাঙ্গার মসজিদের ভেতর কথিত রামের শিশুমূর্তি রেখে আসে। তখন স্থানীয় মুসলিমরা এই কুচক্রীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর (অভিযোগ) দায়ের করলেও সেটাকে আমলে নেয়নি প্রশাসন। এদিকে হিন্দুত্ববাদীরা চারদিকে ছড়িয়ে দেয় যে, রাম নিজেই মসজিদে আভির্ভূত হয়েছেন। একথা শুনে বিভিন্নস্থান থেকে হাজারো হিন্দু মসজিদ প্রাঙ্গনে পূজা করতে ছুটে আসে। ততকালীন প্রশাসন এসব বন্ধ না করে সংঘাতের আশংকার কথা বলে নামায বন্ধের নির্দেশ দেয়। সেই থেকে ১৯৯২ সালে আরএসএস, শিবসেনা, বজরংদল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অন্যন্য উগ্রহিন্দুত্ববাদী কতৃক মসজিদের শাহাদাত পর্যন্ত নামায আদায়ের অনুমতি পায়নি মুসলিমরা। . মসজিদ ধ্বংস ও দাঙ্গা- ১৯৮৪ সালে বিশ্বহিন্দু পরিষদ রাম মন্দির নির্মাণের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির প্রধান বানানো হয় বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানিকে। এই কমিটি গঠনের পর মন্দির নির্মাণের ষড়যন্ত্র আরো জোরদার হয়। এর দুবছর পর ১৯৮৬ সালে ফৈজাবাদ আদালতের জজ কে এম পান্ডে মসজিদের তালা খুলে হিন্দুদের পূজা আর্চনার অনুমতি দেয়। এরপর ১৯৮৯ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় মন্দিরের ভিত্তিস্থাপন করে এবং ১৯৯০ সালে মসজিদের আংশিক ক্ষতি করে। এই ঘটনার দুই বছর পর ১৯৯২ সালে সম্মিলিত উগ্র হিন্দুত্ববাদী বাহিনী আক্রমন করে পুরো মসজিদকে শহীদ করে দেয়। ঐ সময় পরিকল্পিত দাঙ্গায় প্রায় দুই হাজার মুসলিম শাহাদাত বরণ করেন। এর ঠিক দশ বছর পর ২০০২ সালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মসজিদ প্রাঙ্গনে মন্দির নির্মাণের জন্য হাজার হাজার সমর্থক জড়ো করে। এখান থেকে ট্রেনে করে ফেরার পথে নিজেদের মধ্যকার ঝগড়ার জেরে দেয়া আগুনে অর্ধশতাধিক করসেবক পুড়ে মারা যায়। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে মুসলিমদের নাম জড়িয়ে 'গুজরাটের কসাই' খ্যাত মোদির নেতৃত্বে গুজরাতে মুসলিম গণহত্যা শুরু হয়। এতে দশ সহস্রাধিক মুসলিম শাহাদাত বরণ করেন। . বিজেপির উত্থান- ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি মাত্র ২টি আসন লাভ করে, তখন তারা রামমন্দির ইস্যুকে নিজেদের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে। এই ইস্যুকে জিইয়ে রাখার জন্য তারা সভা সেমিনার/রথযাত্রা ইত্যাদির আয়োজন করে। এতে তারা সফলও হয়। মাত্র পাঁচ বছরে তাদের সংসদ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৬ তে। ১৯৯০ সালে আদভানীর নেতৃত্বে রথযাত্রা শুরু হয়, একে রথযাত্রা না বলে রক্তযাত্রা বলাটাই মনে হয় বেশি শ্রেয় হবে। সে সময় হিন্দুরা জায়গায় জায়গায় মুসলিমদের উপর আক্রমণ করে এবং বাড়িঘরে আগুন লাগায়। এই ঘটনায় অনেক মুসলিম শাহাদাত বরণ করেন। এরপর ১৯৯২ সালে এই আদভানীর নেতৃত্বেই বাবরী মসজিদ শহীদ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ২৮২ আসন নিয়ে 'গুজরাটের কসাই' খ্যাত মোদীর নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। . মন্দির নির্মানের রায় ও উদ্বোধন- ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদের জায়গা তিনভাগ করে এক ভাগ মুসলিম পক্ষকে আরেকভাগ নির্মোহী আখড়াকে এবং বাকি অংশকে হিন্দুদের দেয়ার রায় দেয়। কিন্তু উভয়পক্ষ এই রায়ের ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করে। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ওই স্থানে মসজিদের নিচে মন্দিরের কোন অবকাঠামো না পাওয়া স্বত্ত্বেও হিন্দুদের খুশি করার জন্য তাদের পক্ষে রায় দেয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় মন্দির নির্মাণের। শুরু হয় মন্দির নির্মাণের কাজ। গত ২২শে জানুয়ারী কসাই মোদী মহাসাড়ম্বরে মসজিদের স্থানে মন্দিরের উদ্বোধন করে মুসলিমদের বুকে ছুরিকাঘাত করে। . মসজিদের কান্না- প্রিয় মুসলিম উম্মাহ! আমরা হয়তো এক বাবরী মসজিদ ধ্বংসের ইতিহাসই জানি। কিন্তু ভারতে এমন ঐতিহাসিক কয়েক হাজার মসজিদ আছে। যেগুলোকে মুশরিকরা মন্দিরে রুপান্তর করার পরিকল্পনা করেছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা সহ অনেক রাজ্যে এমন হাজারো মসজিদ এখন একজন মাহমুদ গজনবীর মত বীরের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। . আল্লাহর এসব ঘর আমাদের ডেকে ডেকে বলছে; হে মুসলিম উম্মাহ! আমাদের যেই মিনার হতে শত শত বছর ধরে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষনা হয়েছে সেই মিনারে আজ শিরকের পতাকা ওড়ানো হচ্ছে। যেই জমিন সিজদার জন্য সর্বদা পবিত্র রাখা হতো সেই জমিন আজ পূজা করে নাপাক বানানোর পায়তারা চলছে। যেই মেহরাবে দাঁড়িয়ে ইমাম সাহেব নামায পড়াতেন এবং মানুষকে হেদায়াতের বাণী শোনাতেন সেই মেহরাব আজ কুফর শিরকের আখড়া বানানোর সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে। . আমাদের এই অবস্থা দেখে কি তোমাদের একটুও মন কাদেনা? আমাদের উদ্ধারে তোমরা কি মুহাম্মাদ বিন কাসিম ও মাহমুদ গজনবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারোনা? আমাদের উদ্ধারে কবে আসবে তোমরা? কবে আমাদের জমিনে পুনরায় এক আল্লাহকে সিজদা করে শত বছরের জমানো ব্যাথা দূর করবে? ...তোমরা আসবে এই অপেক্ষায়!