RLNODLI

RLNODLI

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

RLNODLI

کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الۡقِتَالُ وَ ہُوَ کُرۡہٌ لَّکُمۡ ۚ وَ عَسٰۤی اَنۡ تَکۡرَہُوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ خَیۡرٌ لَّکُمۡ ۚ وَ عَسٰۤی اَنۡ تُحِبُّوۡا شَیۡئًا وَّ ہُوَ شَرٌّ لَّکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۲۱۶﴾

  • Male | |

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 649 বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 649 বার
1 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 491 বার
3 টি উত্তর দেখা হয়েছে 158 বার
10 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

জান্নাতে যেতে হযরত আলী রাঃ ৬ উপদেশ

মুমিনের সর্বোচ্চ চাওয়া। শেষ আশ্রয় স্থল। এ কারণে কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনায় জান্নাতের অগণিত নেয়ামতের কথা বলা হয়েছে। এ জান্নাত পাওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক পথে চলা। বিশেষ করে ৬টি গুণ নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করা জরুরি। জান্নাত লাভের সেই কাঙ্ক্ষিত ৬ উপদেশ কী?

হজরত আলি (রা) বলেছেন, ‘যার মধ্যে ৬ টি গুণ থাকবে, সে এমন কোনো রাস্তায় পা দেবে না; যা তাকে জান্নাত থেকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। জান্নাত পাওয়ার সেই ৬টি গুণ বা কাজ হলো-

> আল্লাহ তাআলাকে চেনা এবং তার আদেশগুলো মেনে চলা।

> শয়তান সম্পর্কে জানা এবং শয়তানকে অমান্য করা। অর্থাৎ শয়তানের পথে ও মেতে জীবন পরিচালনা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

> সত্য জানা এবং সত্যতার অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করা।

> মিথ্যা সম্পর্কে জানা এবং মিথ্যার আক্রমণ ও প্রতারণা থেকে দূরে থাকা।

> দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে জানা এবং দুনিয়ার ক্ষতিকর লোভ-লালসা ও জীবনাচার এড়িয়ে চলা।

> পরকাল সম্পর্কে জানা এবং পরকালের সফলতা লাভে কামিয়াবির পথ অনুসন্ধান করা।

(ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন)মনে রাখা জরুরিময়াবি এ দুনিয়ায় জীবন পরিচালনা ও বিচরণ করা সহজ; কিন্তু দুনিয়ার মায়াজাল থেকে বেরিয়ে সঠিক পথের ওপর জীবন পরিচালনা করা খুবিই কঠিন। যারা হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু ঘোষিত ৬টি গুণ নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারবে। তারাই দুনিয়া ও পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে হবে সফল।

সুতরাং মুমিন মুসলমানে উচিত, ভালো কাজের দিকে অন্তর আকৃষ্ট করতে সচেষ্ট থাকা। বেশি বেশি এ দোয়া করাও জরুরি-

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ

উচ্চারণ : ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত কালবি আলা দিনিকা।’

অর্থ : ‘হে মনের পরিবর্তনকারী!আমার মনকে তোমার দ্বীনের ওপর স্থির রাখো।’ (তিরমজি)

এতে আল্লাহ তাআলা বান্দার অন্তরকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন। সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন। কেননা তিনি সর্বোত্তম অন্তর পরিবর্তনকারী।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার সব মায়াজাল থেকে বেঁচে থেকে পরকারের প্রস্তুতি ও জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

0 likes | 1649 views

মুমিনগণ সফল হয়ে গিয়েছে৷

মুমিনগণ সফলকাম হয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাযে বিনয়-নম্র; যারা অনর্থক কথা-বার্তায় নির্লিপ্ত, যারা যাকাত দান করে থাকেএবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না৷ অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।এবং যারা আমানত ও অঙ্গীকার সম্পর্কে হুশিয়ার থাকে। এবং যারা তাদের নামাযসমূহের খবর রাখে। তারাই উত্তরাধিকার লাভ করবে৷ তারা শীতল ছায়াময় উদ্যানের উত্তরাধিকার লাভ করবে। তারা তাতে চিরকাল থাকবে৷(সুরা মুমিনুন আয়াত ১থেকে ১১)

0 likes | 1631 views

সহি হাদিসের আলোকে জীবন গড়ি৷

হযরত আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃতিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন : আমার উম্মাত (ক্বিয়ামাতের দিন) আমার নিকট উপস্থিত হবে। আর আমি লোকদেরকে তা (হাওয) থেকে এমনভাবে বিতাড়িত করবো, যেভাবে কোন ব্যক্তি তার উটের পাল থেকে অন্যের উটকে বিতাড়িত করে থাকে। লোকেরা বললো, যে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আমাদেরকে চিনতে পারবেন? জবাবে তিনি (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ। তোমাদের এক নিদর্শন হবে যা অন্য কারো হবে না। উযুর প্রভাবে তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে পড়বে। উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত অবস্থায় তোমরা আমার নিকট উপস্থিত হবে। আর তোমাদের একদল লোককে জোড় করে আমার থেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। ফলে তারা আমার কাছে পৌঁছতে পারবে না। তখন আমি বলবো, হে আমার রব! এরা তো আমার লোক। জবাবে ফিরিশতারা আমাকে বলবে, আপনি জানেন না আপনার অবর্তমানে তারা কি কি নতুন কাজ (বিদ’আত) করেছে।

(হাদীস সহীহ : সহীহ মুসলিম হাদিস নাম্বার/৬০৫)

0 likes | 1626 views

কুরআন কি ইস্ত্রীকে মারার অনুমতি দেয়৷

<<<< কুরআন কি স্ত্রীকে মারার অনুমতি দেয়? >>>>(কুরআনের যে আয়াতটি ইসলাম-বিরোধীদের অন্যতম প্রিয় তা হলো সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াত। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া-ঝাঁটির একটি বিশেষ সিনারিও ৩৪-৩৫ নং আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে এবং সে সময় কি করতে হবে তার গাইডলাইন দেয়া হয়েছে। নারীবাদীরা ৩৪ নং আয়াতটা পড়েই হাঁ হাঁ করে ওঠে – “দেখ দেখ এখানে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স কে উৎসাহিত করা হচ্ছে!” কিন্তু আসলে বিষয়টা কি তাই? প্রাসঙ্গিক তাফসীর, গবেষণা ও বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারের বক্তব্যের আলোকে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করে হয়েছে এই লেখায়।)

<<<< প্রাসঙ্গিক হাদিস: >>>> 

ইসলাম-পূর্ব আরব সমাজে স্বামীরা স্ত্রীর আচরণে ক্ষুব্ধ হলে তাদের গায়ে হাত তুলা একটি গ্রহণযোগ্য ব্যাপার ছিল [১]। মদীনার সমাজের একটা বড় অংশ ছিল ইহুদীরা। তাদের আইনেও স্ত্রীর গায়ে হাত তুলার অনুমতি ছিল [২]। কিন্তু , রাসূলুল্লাহ(সা) স্ত্রীকে মারার ব্যাপারটি ভীষণভাবে অপছন্দ করতেন এবং সাহাবাদের এ ব্যাপারে নিষেধ করেছিলেন (সুনান আবু দাউদ ২১২৬[৪,৩,৫])।

সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াতের আসবাব-আন-নুযুল হিসাবে তাফসীরগ্রন্থে নিচের হাদিসটিকে উল্লেখ করা হয়।আল-হাসান বলেন: কিসাস বা বদলার আয়াত (২:১৭৮, ৫:৪৫) যখন নাজিল হয়েছিল, তখন এক ব্যক্তি (যিনি আনসারী তথা মদীনাবাসী ছিলেন) তার স্ত্রীকে আঘাত করেছিল। স্ত্রীটি রাসূলুল্লাহ(সা) এর কাছে এসে এই ব্যাপারে অভিযোগ করে এবং বলে আমি বদলা চাই। জবাবে রাসূলুল্লাহ(সা) তার সাথে একমত হয়ে বলেন – তবে বদলাই হোক। রাসূলুল্লাহ(সা) যখন তার সাথে কথা বলছিলেন তখন আল্লাহ সূরা নিসার ৩৪ নং আয়াত নাজিল করেন (যেখানে স্ত্রী পাল্টা আঘাত করতে পারবে এরকম বলা হয়নি)। তখন রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন – আমরা চেয়েছিলাম এক, আর আল্লাহ চেয়েছেন আরেক। (আল-ওয়াহিদি [৬])।

এই হাদিস থেকে বুঝা যায় – রাসূলুল্লাহ(সা) চেয়েছিলেন স্বামীরা স্ত্রীর গায়ে হাত তুললে উত্তরে স্ত্রীও স্বামীর গায়ে হাত তুলতে পারবে। কিন্তু, আল্লাহ এই বদলা আঘাতের অনুমতি দেননি। এর কারণ খুব সম্ভবত এই যে – পাল্টাপাল্টি মারামারি শুরু হলে, পুরুষদের শারিরীক শক্তি বেশী থাকার কারণে নারীদের ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশী থাকবে। [৭, ২৬]

এবার আসুন আয়াত ৩৪-৩৫ এর অর্থ জেনে নেয়া যাক।৩৪) (সামর্থ্যবান) পুরুষেরা নারীর (আর্থিক, শারিরীক ও মানসিক) রক্ষণাবেক্ষণকারী, কারণ আল্লাহ মানুষের কাউকে কারো চাইতে বেশী সামর্থ্য দিয়েছেন, এবং কারণ তারা তাদের সম্পদ থেকে (পরিবারের জন্য) ব্যয় করে।

পূন্যবতী নারী হলো তারা যারা (আল্লাহর প্রতি) নিবেদিত এবং স্বামীর অবর্তমানে আল্লাহ তাকে যা রক্ষা করতে বলেছে (অর্থাৎ তার সম্ভ্রম এবং সংসারের সম্মান) তা রক্ষা করে। এবং যেসব নারীর (এসব বিষয়ের) ক্রমাগত বিদ্রোহ তোমার মধ্যে (সংসার ভেঙে যাওয়ার) ভয়ের সঞ্চার করে, (তখন প্রথমে) তাদের সদুপদেশ দাও, (এতে কাজ না হলে) বিছানায় তাদের থেকে আলাদা হয়ে যাও, (এতেও কাজ না হলে হাল্কা/প্রতিকী) আঘাত কর (যদি এতে তার শোধরানোর সম্ভাবনা থাকে)। কিন্তু, তারা যদি তোমার কথা শুনে, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন পথ খুঁজবে না। নিশ্চয় আল্লাহ সুউচ্চ ও সুমহান।

৩৫) আর যদি তোমরা দু’জনের মধ্যে (সম্পর্কের) ভাঙ্গনের আশংকা কর, তবে তার (স্বামীর) পরিবার থেকে একজন সালিশ ও ওর (স্ত্রীর) পরিবার থেকে একজন সালিশ নিযুক্ত কর (যারা মিল বা বিচ্ছেদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে)। যদি তারা উভয়ে মিল করে ফেলতে চায়, তবে আল্লাহ তাদের মধ্যে বোঝাপড়া এনে দিবেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবিশেষ অবহিত।         

<<<< আয়াতের ব্যাখা: >>>>৩৪ নং আয়াতের প্রথম অংশে পরিবারের প্রতি পুরুষের দায়িত্ব কি তা বলা হয়েছে। আল্লাহ ছেলেদেরকে “ক্বাওওয়াম” হতে বলেছেন যার অনেক অর্থ হয় [৭,৮]। যেমন – উদ্যোগী হওয়া, বার বার সম্পর্ক নবায়নের চেষ্টা করা, মানসিক, শারিরীক ও আর্থিকভাবে প্রতিরক্ষা করা, প্রয়োজন পূরন করা (to fulfill her needs) ও ন্যায্য আচরণ করা। স্ত্রীর মানসিক, শারিরীক ও আর্থিক চাহিদা পূরন করা স্বামীর অবশ্য কর্তব্য।

দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছে পরিবারের প্রতি নারীর কি দায়িত্ব সেই ব্যাপারে। সংসারের কাজের জন্য একজন স্ত্রীকে সাধারণত একজন স্বামীর চেয়ে বেশী কাজ করতে হয়। দিনের পর দিন এই কাজগুলো করতে যেয়ে নারীরা হতাশ হয়ে পড়তে পারে। আল্লাহ তাই মেয়েদেরকে বলছেন “কানিতা” তথা আল্লাহর প্রতি নিবেদিতপ্রাণ হতে। স্বামীর অনেক আচরণে হয়ত সে ক্ষুব্ধ হবে, বিরক্ত হবে, কিন্তু তাও পরিবার ও সন্তানের প্রতি দায়িত্বগুলোতে অবহেলা করবে না – এই কাজগুলো সে করে যাবে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা চিন্তা করে। এর পর তাকে বলা হয়েছে “হাফিযা হতে”। স্বামীর অনুপস্থিতিতে অন্য অনেকে তার প্রতি আকর্ষণ বোধ করবে, তার কাছে আসতে চাইবে, কিন্তু নারীকে তার সম্ভ্রম ও সংসারের সম্মান রক্ষা করতে হবে।

৩৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে সংসার যখন কোনভাবেই আর টেকানো সম্ভব হচ্ছে না তখন কি করতে হবে – কিভাবে দুই পরিবারের সদস্য নিয়ে বিষয়টা মীমাংসা করার চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু, তার আগে ৩৪ নং আয়াতের মাঝ থেকে শেষের অংশে বলা হয়েছে এমন এক সংসারের কথা যেখানে স্বামী একজন ভালো মানুষ, যে তার সব দায়িত্ব ঠিক মত পালন করে (খারাপ স্বামীর আলোচনা কুরআনের অন্য জায়গায় যেমন সূরা নিসার ১২৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে), কিন্তু স্ত্রীটি “ভিন্ন রকমের”।

৩৪নং আয়াতে “ভিন্ন রকম” এই স্ত্রীদের বর্ণনা করতে যেয়ে বলা হয়েছে – “যেসব নারীর ‘নুশুয’ তোমার মধ্যে ভয়ের সঞ্চার করে …” – দেখুন এখানে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো “নুশুয” বা বিদ্রোহ। বিদ্রোহ কিন্তু এক-দুইবার ঘটে যাওয়া কোন বিষয় না। বিদ্রোহ এমন এক আচরণ যা একজন মানুষ বার বার বুঝানোর পরেও তার ঐ সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকে। আর এখানে কোন্‌ বিদ্রোহের কথা বলা হচ্ছে? যে স্ত্রী “কানিতা” ও “হাফিযা” হতে না চেয়ে বিদ্রোহ করে। অর্থাৎ, এখানে এমন স্ত্রীর কথা বলা হচ্ছে যে ক্রমাগত বিদ্রোহ করছে আল্লাহর প্রতি বা আল্লাহর দেয়া কোন সরাসরি দায়িত্বের প্রতি (যেমন – সন্তানের দেখাশুনা করা)। অথবা সে “হাফিযা” না হতে চেয়ে অন্য পুরুষের সাথে অশ্লীল সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জড়িয়ে পড়েছে এবং এ সম্পর্কে কিছু বুঝাতে গেলে উল্টো বিদ্রোহ করে বসে। আর এই অবস্থায় স্বামী যখন বুঝে যাচ্ছে এই সংসার আর টেকানো যাচ্ছে না, তার মধ্যে ভয় ঢুকে যাচ্ছে যে তার সন্তানরা হয়ত তাদের মাকে হারাতে যাচ্ছে – এরকম আশংকাজনক এক পরিস্থিতির কথা এখানে বলা হচ্ছে। ইমাম কুরতুবী ও তাবারীর মতে এটা কোন সন্দেহের ভয় নয়, বরং হাতে-নাতে প্রমাণ পাওয়ার পর স্ত্রীর অপরাধ নিশ্চিত বুঝে যাওয়ার পরের ভয়। [৯,১০]

এই পরিস্থিতিতে স্ত্রীর উপর রেগে গিয়ে চিৎকার চেচামেচি করা নয়, প্রথম ধাপে তাকে সদুপদেশ দিতে বলা হয়েছে। এভাবে কিছুদিন চলার পর কাজ না হলে, দ্বিতীয় ধাপে তার থেকে আলাদা বিছানায় শুয়ে বুঝাতে হবে যে কলহের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। এভাবে আলাদা থাকার পর, স্ত্রীটির যদি সংসার ও স্বামীর প্রতি কোন দরদ বা ভালবাসা থেকে থাকে, সে কিন্তু ফিরে আসবে। কিন্তু এতেও যদি স্ত্রীটির বোধোদয় না হয়, এবং সে যদি বিশেষ করে এর পরেও “হাফিযার” মত আচরণ না করে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে [১০], তখন তৃতীয় ধাপে বলা হয়েছে “ইয়ুদরিবহুন্না”, তথা স্ত্রীকে “দারব” কর। এই আয়াতের সবচেয়ে আলোচিত অংশ এটাই – এই “দারব” শব্দটা, এর অর্থ কি হবে?

“দারব” এর আক্ষরিক অনুবাদ হলো “আঘাত” করা। কিন্তু, কুরআনের যে কোন আয়াত ব্যাখার নিয়ম হলো সেই আয়াতটিকে অন্য আয়াতগুলোর সাপেক্ষে বুঝতে হয়, প্রাসঙ্গিক হাদিসগুলোতে এর প্রয়োগ দেখতে হয়, সাহাবীরা আয়াতটিকে কিভাবে বুঝেছিলেন তা দেখতে হয় এবং সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এর প্রয়োগ বুঝতে হয়। এই উৎসগুলোর ভিত্তিতে, স্কলারেরা “দারব” শব্দটির অর্থকে মূলত: দুইভাবে বুঝে থাকেন। এক – এর অর্থ হাল্কা আঘাত করা, দুই – এটা সত্যিকারের আঘাত নয়, প্রতীকী আঘাত বুঝায়। এখানে আরেকবার বলছি – এখানে এমন পারিবারিক কলহের কথা বলা হচ্ছে যখন স্বামী সঠিক পথে আছে, স্ত্রী ভয়াবহ রকম গর্হিত কাজে (যেমন পরকীয়া) স্পষ্টভাবে জড়িত আছে। আর “দারব” শুধু তখনই প্রয়োগ করা যাবে যখন এর মাধ্যমে সম্পর্ক ঠিক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে [২০]।

এবার আসুন এই আয়াতে ব্যবহৃত “দারব” শব্দের প্রচলিত দুইটি অর্থে।

১) “দারব” বলতে “(হাল্কা) আঘাত করা” বুঝায়। কিন্তু, এই আঘাত এতই হাল্কা হবে যে কোন দাগ থাকবে না, জখম করা যাবে না এবং মুখে আঘাত করা যাবে না (আবু দাউদ ১১/২১৩৭ [১১], ইবনে মাজাহ ৯/১৯২৪) [১২]। এই আঘাতের উদ্দেশ্য শাস্তি দেয়া নয়, সম্বিৎ ফেরানো (a way to bringing her to presence) এবং সম্পর্ক রক্ষার শেষ চেষ্টা [৯, ১৭]। এই আঘাত শুধু বিশেষ পরিস্থিতিতে (exceptional circusmstances) করা যাবে (যেমন – যখন স্ত্রী প্রকাশ্যে অশ্লীলতা করবে – ইবনে মাজাহ ৯/১৯২৪)। উস্তাদ নুমান আলি খান এর বিস্তারিত ব্যাখা করেছেন এখানে [১০])। বেশীরভাগ ক্লাসিকাল তাফসীরগুলো “দারব” শব্দের এই প্রথম অর্থের সাথে একমত পোষণ করে [৯] – যেমন ইবনে কাসির, কুরতুবী, তাবারী। কোন কোন স্ক্লার “দারব” এর অর্থ “চাপড় মারাও” (Tap) বলে থাকেন [১৩,১৪], ঠিক যেমন তায়াম্মুমের সময় মাটিতে হাত চাপড় মারতে হয়।

উল্লেখ্য, স্বামী যদি স্ত্রীকে শারিয়া বর্ণিত গাইডলাইনের বাইরে যেয়ে নিজের ঝাল মেটাতে স্ত্রীকে মেরে থাকে, তাহলে স্ত্রী এর জন্য ইসলামিক আইন বা কোর্টের শরণাপন্ন হতে পারবে (সূরা নিসা:১২৮, [৯],[১৫],[২২] )।

২) “দারব” বলতে “প্রতীকী আঘাত” বুঝায়। অর্থাৎ, এটা আসলে কোন আঘাত নয়, বরং এটা একটা প্রতীকী সংকেত (symbolic gesture) যার মাধ্যমে স্ত্রীকে বুঝানো হচ্ছে তুমি আর বাড়াবাড়ি করলে আমাদের বিচ্ছেদ হয়ে যেতে পারে। সাহাবীদের মধ্যে কুরআনের সবচেয়ে বিখ্যাত তাফসীরবিদ আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের (রা) (মৃত্যু ৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দ) দৃষ্টিতে – “দারব” বলতে বুঝায় মিসওয়াক (টুথব্রাশ) দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করার মত। (আমাদের সময়ে এটা অন্য এমন কিছু হতে পারে যার মাধ্যমে স্ত্রীকে “লাস্ট ওয়ার্নিং” দেয়া হবে।) বিশিষ্ট তাবেঈ ও মক্কার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফকিহ আতা’ ইবনে রাবাহ (মৃত্যু ৭৩২ খ্রীষ্টাব্দ) এই অর্থের পূর্ন সমর্থক ছিলেন যে “দারব” হলো এমন প্রতিকী সংকেত (symbolic gesture) যার মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করা হয়, কিন্তু এর অর্থ গায়ে হাত তুলা নয় [২২]। ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম স্ত্রীকে আঘাত করার বিরোধিতা করে তাদের হাদিসগ্রন্থের অধ্যায়ের নামকরণ করেছেন [১৫, ২২]। সুনান আবু দাউদের হাদিসেও আছে যে – তোমরা স্ত্রীদেরকে মের না (আবু দাউদ ২১৪৩) [১৬]। ফাতহাল বারীর রচয়িতা ইবনে হাজার (মৃত্যু ১৪৪৯ খ্রিষ্টাব্দ) এর মতে স্ত্রীকে আঘাত করা মাক্রুহ [২৪]। উল্লেখ্য, রাসূলুল্লাহ(সা) নিজে সূরা নিসার এই আয়াতে বর্ণিত ৩টি পদ্ধতির মধ্যে প্রথম দুইটি (উপদেশ দেয়া ও বিছানা পৃথক করা) তার নিজের বৈবাহিক জীবনে প্রয়োগ করলেও তিনি কখনোই তাঁর স্ত্রীদের গায়ে হাত তুলেননি [৯]।

<<<< দুই অর্থের মধ্যে কোনটি নেব? >>>>সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, “দারব” শব্দের দুই অর্থ হতে পারে – “হাল্কা আঘাত” বা “প্রতিকী আঘাত (যেটা আসলে কোন শারীরিক (physical) আঘাত নয়”)। কোন অর্থটা আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে? আমাদের যুগে এই আয়াত নিয়ে বিশদ গবেষনা করেছেন তিউনিশিয়ার শাইখুল ইসলাম ইবনে আশুর (মৃত্যু ১৯৭৩ খ্রীষ্টাব্দ)। তাঁর মতে – এই আয়াতের অর্থ নির্ভর করবে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের উপর ও সামাজিক ভাবে কোন আচরণটা গ্রহণযোগ্য তার উপর [১৫, ২২, ২৩]।

মহান আল্লাহ সূরা নিসার ১৯ নং আয়াতে বলেছেন – নারীদের সাথে “মা’রুফ” আচরণ করতে (https://quranwbw.com/4#19)। মা’রুফ শব্দের অর্থ হলো সামাজিক মানদন্ডে ভালো আচরণ (কারণ, মা’রুফ শব্দটি এসেছে উ’রফ বা culture থেকে) [১৮]। প্রাচীণ আরব সমাজে ও বহু বেদুইন সমাজে এটাকে স্বাভাবিক মনে করা হত যে স্ত্রীরা অতিরিক্ত পর্যায়ের ভুল করলে তাদের স্বামীরা তাদেরকে শাসন করবে। ঐ সকল সমাজে “হাল্কা আঘাত” একটি সার্বজনীনভাবে গ্রহনযোগ্য সমাধান। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে – আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন পড়া না পারলে আমাদের স্কুলের শিক্ষক আমাদের মারবে, আমার মা-বাবা রাও এরকমটাই চাইত – এটা সামাজিকভাবে একটা গ্রহণযোগ্য আচরন ছিল। (পৃথিবীর বহু উন্নত দেশ যেমন অস্ট্রেলিয়া ও ক্যানাডাতে শাসনের জন্য এখনো বাচ্চাদের হাল্কা মারধর করা মা-বাবার জন্য আইনত বৈধ[২৭]) কিন্তু, বর্তমানে সমাজ অনেক বদলে গেছে, এখন স্কুলে কোন শিক্ষক কোন বাচ্চাকে শাস্তি দিলে এটা সাধারণত: গ্রহনযোগ্য নয়। একইভাবে, বর্তমান যুগে, একটি সংসারে নারী-পুরুষের দায়িত্ব-সম্পর্ক অনেক বদলে গেছে। বর্তমান সময়ে, একজন স্বামী তার স্ত্রীর গায়ে হাত তুললে, সেটা প্রায় সকল ক্ষেত্রেই সংসার গড়া নয়, ভাঙ্গার দিকে নিয়ে যাবে। কাজেই বর্তমান সমাজ-ব্যবস্থায় “দারব” এর সঠিক অর্থ হবে – “প্রতীকী আঘাত” – তথা এমন কিছু বলা বা করা যার মাধ্যমে স্ত্রীকে লাস্ট ওয়ার্নিং দেয়া হবে [১৫, ২২]। (উল্লেখ্য, পারিবারিক সম্পর্কের অনেক ইসলামিক বিধানই সামাজিক রীতি-নীতির উপর নির্ভরশীল [২১]।)

কাজেই উপরের আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি, এই আয়াতটি বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ দেশে ও সমাজেই স্ত্রীর গায়ের হাত তুলার অনুমতি একদমই দেয় না [১৫, ২২]। বর্তমান সময়ের স্বনামধন্য স্ক্লার শেইখ ইয়াসির কাদি [৫], হামযা ইয়ুসুফরাও [১৭] এই মত পোষণ করেন।

পরিশেষে আবার উল্লেখ করছি – স্ত্রী যদি মনে করে তার উপর অত্যাচার হচ্ছে, সে সব সময়ই আইনের শরণাপন্ন হতে পারবে [১৫, ২১, ২২, ২৬ ]। বাস্তব হলো – এই আয়াতে তিন ধাপে পারিবারিক কলহ মেটানোর যে ফর্মুলা দেয়া হয়েছে সেটা বরং রাগের মাথায় স্ত্রীকে মারধর করার বিরোধিতা করে [৯]। পত্রপত্রিকায় আমরা যেসব অমানুষের কথা পড়ি, যারা তাদের স্ত্রীকে হঠাৎ করে রেগে মারধর করে – কুরআনে বর্ণিত ধাপগুলো মেনে চললে আর হাদিসের নির্দেশগুলো মনে রাখলে – তাদের মাথা এমনিতেই ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে আসত, মারপিট করা লাগত না।

এই ভিডিওটি দেখার অনুরোধ থাকল: https://youtu.be/4WbEul3whOg

<<<<< লেখক: আদনান ফায়সাল >>>><

<<<< মূল লেখার লিঙ্ক: https://bit.ly/3pKmbeo >>>>>>

<<<<< পাদটীকা ও রেফারেন্স: >>>>>এখানে কুরআন মজিদের ব্যাখাসহ অনুবাদ করা হয়েছে। ব্র্যাকেটের মধ্যে সংক্ষিপ্ত ব্যাখা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থ থেকে ব্যাখা নেয়া হয়েছে যেগুলো মূলত: আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট, শব্দের ব্যাকরনগত অর্থ, সামগ্রিক কুরআনের বৈষয়িক সামঞ্জস্য ও প্রাসংগিক হাদিস অনুসারে করা হয়েছে।

লেখাটি লিখতে বিভিন্ন গ্রন্থ, আর্টিকেল ও লেকচারের সাহায্য নেয়া হয়েছে, যার কয়েকটির নাম নিচে দেয়া হল:

১) Women in pre-islamic arabia https://en.wikipedia.org/wiki/Women_in_pre-Islamic_Arabia

২) ইহুদিদের আইনে স্ত্রী প্রহারের বিধান – https://www.myjewishlearning.com/article/domestic-violence-in-jewish-law/

৩) The Meaning of the Holy Quran for School Children – Yahiya Emerick

৪) স্ত্রীকে মারা যাবে না সংক্রান্ত উমার(রা) এর হাদিসhttps://quranx.com/Hadith/AbuDawud/USC-MSA/Book-11/Hadith-2141/

https://sunnah.com/abudawud/12/101৫) শেইখ ইয়াসির কাদির “Domestic violence” লেকচার https://youtu.be/10yIceea5H0?t=419

৬) Asbab al-Nuzul by Al-Wahidi

https://www.altafsir.com/AsbabAlnuzol.asp?SoraName=4&Ayah=34&search=yes&img=A&LanguageID=2

৭) Why can’t a wife beat his husband – Dr. Zakir Naik

https://youtu.be/EeiI_KMoZpw

৮) “ক্বাওওয়াম” শব্দের বিস্তারিত অর্থ: নুমান আলি খানের লেকচার – Responsibilities of Husbands & Responsibilities of Wives – https://youtu.be/pbGir6-vUoU

৯) The Study Quran – Dr. Nasr et. al.১০) Abuse of women – Nouman Ali Khan (Malaysia tour 2015) – https://youtu.be/pFvw4XvVpOA

১১) চেহারায় আঘাত না করার হাদিস – https://quranx.com/Hadith/AbuDawud/USC-MSA/Book-11/Hadith-2137/

১২) দাগ ফেলা যাবে না সংক্রান্ত হাদিস – https://sunnah.com/urn/1319250

১৩) Wife beating and meaning of daraba – Mufti Ismail Menk: https://www.youtube.com/watch?v=tVJzFvGpZ0I

১৪) Meaning of daraba – Hamza Yusuf – https://youtu.be/gb6-1SJH0XM?t=1403

১৫) Islam and Violence Against Women: A Critical Look at Domestic Violence and Honor Killings in the Muslim Community – Dalia Mogahed et. al (Yaqeen Institute)

https://yaqeeninstitute.org/tesneem-alkiek/islam-and-violence-against-women-a-critical-look-at-domestic-violence-and-honor-killings-in-the-muslim-community

১৬) স্ত্রীকে না মারার হাদিস – https://sunnah.com/abudawud/12/98

১৭) Explanation of Quranic verse – On domestic violence – Shaykh Hamza Yusuf https://youtu.be/Ohq_dWOmVdE?t=152

১৮) মা’রুফ শব্দের অর্থ: সূরা বাকারাহ আয়াত ১৮০ নুমান আলি খানের লেকচার (https://www.youtube.com/watch?v=yXPVi55cp0A) ও শেইখ ইয়াসির কাদির “Domestic violence” লেকচার (https://youtu.be/10yIceea5H0?t=581)

১৯) নুশুয শব্দের অর্থ – শেইখ ইয়াসির কাদির Domestic violence লেকচার (https://youtu.be/10yIceea5H0?t=662), উস্তাদ নুমান আলি খানের Hitting women লেকচার (https://youtu.be/1azySjz4edk?t=440)

২০) Hitting one’s wife – Shaykh Saleh Al Munajjid (IslamQA) – https://islamqa.info/en/answers/41199/hitting-ones-wife

২১) Is it the Wife’s obligation to server her husband? – Shaykh Saleh Al Munajjid (AboutIslam.net)

https://aboutislam.net/counseling/ask-about-islam/wifes-obligation-serve-husband/

২২) Women in Islamic Law: Examining five prevalent myths – Dr. Nazir Khan et. al. (Yaqeen Institute) – https://yaqeeninstitute.org/nazir-khan/women-in-islamic-law-examining-five-prevalent-myths

২৩) Does Islam instruct men to beat women? (short video) (Yaqeen Institute) – https://youtu.be/4WbEul3whOg

২৪) Wikipedia about Sura Nisa verse 34 – https://en.wikipedia.org/wiki/An-Nisa,_34

২৫) Permission of beating only in case of clear indecency https://sunnah.com/ibnmajah/9/7

২৬) The Quran with Annotated Interpretation in Modern English – Ali Unal

২৭) Corporal punishment and spanking of children in Canada – https://jfcy.org/en/rights/corporal-punishment-aka-spanking

0 likes | 1659 views

জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার ছোট্ট একটি আমল ও দোয়া৷

তাআলা মানুষকে তার ইবাদাতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। যারা সঠিক উপায়ে তার হুকুম-আহকাম তথা ফরজগুলো পালন করবে তাদের সব নফল ইবাদতের মাধ্যমে তাঁদের মর্যাদা বেড়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা মুমিন বান্দাকে জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তির জন্য রহমত বর্ষণ করবেন।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই একটি ছোট্ট আমল ও দোয়ার কথা বলেছেন। যে দোয়ার নিয়মিত আমলে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি মিলবে। হাদিসে এসেছে-

হজরত আল-হারিস ইবনু মুসলিম আত্‌-তামীমী রাদিয়াল্লাহু আনহু তার পিতার সূত্র বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে চুপে চুপে বলেন, ‘যখন তুমি মাগরিবের নামাজ থেকে অবসর হয়ে সাতবার বলবে-اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِউচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আঝিরনি মিনান নার।অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।’তুমি তা বলার পর ওই রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে। আর যখন তুমি ফাজরের নামাজ শেষ করবে তখনও অনুরূপ বলবে। অতঃপর তুমি যদি ওই দিন মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে।’ (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে হিব্বান)

মুহাম্মাদ ইবনু শুআইব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আবূ সাঈদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আমাকে আল-হারিস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে তা চুপে চুপে বলেছেন, যাতে আমি আমার ভাইদের কাছে তা বিশেষভাবে প্রচার করি।’

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর এ দোয়াটি ৭ বার পড়া। আল্লাহ তাআলা হাদিসের সহজ আমল ও ছোট্ট মাসনুন দোয়ার মাধ্যমে তাঁর হুকুম-আহকাম পালনের পাশাপাশি জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

0 likes | 1720 views